পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

థ \ყ$8 , W. 泳 S99ఉు স্বৰ্য্যের আবর্ভন পরীক্ষিত হইয়াছে। একবার আবৰ্ত্তিত হইতে স্বর্ষ্যের প্রায় ত্রিশ দিন লাগে । নক্ষত্রের আবর্তনের একটি পরোক্ষ নিদর্শন সম্ভবত যুগল-নক্ষত্রের স্বষ্টি। আকাশের স্থামে স্থানে অনেক যুগলনক্ষত্ৰ দেখিতে পাওয়া যায়। সিরিয়ুস ( Sirius ) ইহাদের অন্যতম। যুগল-নক্ষত্র পরস্পরের খুব নিকটবর্তী এবং একটি অপরটির চারিদিকে ভ্ৰাম্যমাণ । কোনও নক্ষত্র যখন শীতল হইতে হইতে বাপ অবস্থ৷ হইতে তরল অবস্থায় পরিণত হয়, জীন্‌স মনে করেন, এই তরল অবস্থায় প্রুত আবৰ্ত্তনের ফলেই যুগল-নক্ষত্রের জন্ম । বাষ্পীয় ও জলীয় পদার্থের উপর আবর্তনের ফল সম্পূর্ণ বিভিন্ন। তরল পদার্থ যখন আবৰ্ত্তিত হয়, প্রথমে ইহা ঈষৎ প্রিলম্বিত হয় সত্য, কিন্তু ক্রমেই আবৰ্ত্তন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইহার মধ্যস্থল সঙ্কীর্ণ হইয়া আসে এবং আবৰ্ত্তন আরও দ্রুত হইলে ইহা দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া যায় এবং পণ্ড দুইটি একে অস্তের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করিতে থাকে। খণ্ড দুইটি ছোট-বড় হইলেণ্ড ইহাদের আয়তনে খুব বেশী বৈষম্য থাকে না । যুগল-নক্ষত্র পরীক্ষা করিলেও দেখা যায় যে, ইহাদের আয়তনের তারতম্য অনেক স্থলেই খুব বেশী নহে । স্বল্প গণিতের ভিতরে না গিয়াও বলা যায় যে, দুই খণ্ডে বিভক্ত হইবার সময়ে নক্ষত্রের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড বিক্ষোভ অবশ্যম্ভাবী। এই আভ্যন্তরীণ চাঞ্চল্যের জন্তই হয়ত যুগল-নক্ষত্র সমানভাবে আলোক বিকীরণ করিতে পারে না। এ বিষয়ে এখনও সন্দেহের কারণ আছে। কিন্তু কৌতুহলের বিষয় • جے ملے صe е - 3গণ-লক্ষ-প্ৰেৰ ^_2 அரச এই যে, অনেক যুগল-নক্ষত্রেরই উজ্জলতা স্থির থাকে না । এক-একটি নির্দিষ্ট সময়ের আস্তে এবং কখনও কখনও অনিয়মিতভাবে ইহার হঠাৎ উজ্জল হইয় পড়ে। এইরূপ পরিবর্তনশীল (variable) একক নক্ষত্রও অনেক আছে। জ্যোতিষিগণ এই উজ্জলতা পরিবর্তনের নানা কারণ নির্দেশ করেন । তরল নক্ষত্র (liquid star ) ভাঙিয়া দুই খণ্ড হইবার পূৰ্ব্বে নক্ষত্রের আভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ হয়ত এই উজ্জ্বলতা পরিবর্তনের একটি কারণ। জীনস বলেন, সীফিন্ড ( Cepheid ) নামক প্রসিদ্ধ পরিবর্তনশীল নক্ষত্র গুলি যুগল মূৰ্ত্তি ধারণ করিবার ঠিক পূৰ্ব্ব মূহূৰ্ত্তে উপনীত হইয়াছে। এই যুগল মূৰ্ত্তির আবিড়াব প্রত্যক্ষ করিতে হইলে স্বদীর্ঘকাল অপেক্ষা করিতে হইবে—নক্ষত্র-জীবনের এক এক মুহূৰ্ত্ত কত সহস্ৰ বৎসর কে বলিবে ? যুগল-নক্ষত্রের বিবৰ্ত্তনধারায় কয়েকটি লক্ষা করিবার বিষয় আছে । ইহারা পরস্পর পরস্পরের এত নিকটবর্তী যে, ইহাদের মধ্যে প্রবল আকর্ষণের ফলে অভ্যধিক জোয়ারের গুষ্টি অবশ্যম্ভাবী । এই জোয়ারের ফলে পরম্পর প্রদক্ষিণকারী ঘূর্ণায়মান নক্ষত্র দুইটির পরিণাম কি গতি-বিজ্ঞান তাহার উত্তর দিয়াছে। প্রথমতঃ ইহাদের পরম্পরের ব্যবধান ক্রমশ বাড়িতে থাকিবে এবং আবর্তনের বেগও ক্রমে ক্রমে এই জোয়ারের পেলায় সমান সমান হইয়া যাইবে । পরিশেষে লক্ষ লক্ষ বৎসর অতিবাহিত হইলে নক্ষত্র দুইটির আবৰ্ত্তনকাল ও প্রদক্ষিণকালের মধ্যেও কোন বৈষম্য থাকিবে না। গতি-বিজ্ঞানের এই সিদ্ধাস্থ অনুসারে স্বদুর ভবিষ্যতে যুগল-নক্ষত্রের প্রত্যেকটি একে অন্তের দিকে কেবল একই পাশ ফিরাইয়া একে অন্তের চারিদিকে ঘুরিতে থাকিবে । এই ভবিষ্যদ্বাণী একদিন ফলিবে তাহার প্রমাণ এই যে, স্বৰ্য্য ও বুধ গ্রহের মধ্যে ঠিক এই রূপই এক অধটন ইতিমধ্যেই ঘটিয়া গিয়াছে । বুধগ্ৰহ আজ তাই তাহার একই পাশ স্বর্ষ্যের দিবে বরাবর ফিরাইয়া আছে। বলা বাহুল্য, সুৰ্য্য ও গ্রহে সম্বন্ধ যুগল-নক্ষত্রের সম্বন্ধ নহে, কিন্তু বুধগ্রহ স্বর্ষ্যে অত্যন্ত নিকটবর্তী বলিয়া যুগল-নক্ষত্রের ন্যায় ইহাদে মধ্যেও প্রবল জোয়ার একদিন থেলিয়া গিয়াছিল। ইহা ফলেই ষে অনতিবিলম্বে বুধগ্রহের প্রদক্ষিণকাল ”