পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কামরূপরাজমালাঞ্জ শ্রীরমাপ্রসাদ চন্দ লাঙ্গালার এবং বাঙ্গালার পাশ্ববৰ্ত্তী কামরূপ, মিথিলী, মগধ, উৎকল, কলিঙ্গ প্রভৃতি জনপদের প্রাচীন কালের ধারাবাহিক কোন ইতিহাস না থাকিলেও ইতিহাসের উপাদানের অভাব নাই । এই সকল টুপীমীন ইংরেজী ভাষার যোগে নানা পত্রে প্রকাশিত হইয়া বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রহিয়াছে । যাহার। ইংরেজী জানেন এমন অনেক লোকের পক্ষেও এই সকল পত্র সুলভ নহে। অথচ ইতিহাসের উপাদানগুলি স্থলভ ন হইলে জনসমাজে ইতিহাসের যথোচিত অনুশীলন সস্তব গঠতে পারে না। এইজন্য বরেন্দ্র-অমুসন্ধান-সমিতির উদ্যোগীরা লাঙ্গালীর ইতিহাসের নানা শাখার মূল উপাদান সংগ্ৰহ করিয়া বাঙ্গালা ভাবি যোগে কয়েকখানি আকরগ্রন্থ প্রকাশ করিবার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন । এই পৰ্য্যায়ের একখানি মাত্র গ্রন্থ, ৮ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ধষ্ঠাশয়ের সঙ্কলিত ‘গৌড়লেখমালা", প্রথম খণ্ড, বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে পকাশিত হইয়াছিল। এত কাল পরে এই শেণীর অার একপাণি গ্ৰন্থ, পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত পদ্মনাথ ভট্টাচার্য মহাশয়ের “কামরূপশাসনাবলী” পাইয়। বঙ্গসাহিত্যানুরাগী এবং ইতিহাদানুরাগী বাঙ্গালী মাত্ৰই মাথায় তুলিয়া লইবেন। বাঙ্গালার যে ভাগ করতোয় নার পূর্বল পারে অবস্থিত তাহা প্রাচীন কামরূপের অন্তর্গত ছিল । কামশপের ইতিহাস না বুলিলে বাঙ্গালার ইতিহাস ভাল করিয়া বুঝা সাইতে পারে না । প্রায় পচিশ বৎসর কাল পরিশ্রম করিয়া ভট্টাচার্য মহাশয় এই "স্তকের উপাদান আহরণ করিয়াড়েন। তাহার নিষ্ঠার ফলে সূচনা উঠতেই ভাগ্যবিধাতাও উrহার প্রতি প্রসন্ন ছিলেন। পূৰ্ব্বপ্রকাশিত লিবঙ্গার মুল তাম্রশাসন লইয়া তাহার হাতেখড়ি। সঙ্গে সঙ্গেই অপ্রকাশিত ধৰ্ম্মপালের (পুষ্পভদ্রা) শাসন তাহার হস্তগত হয় । %স্করবম্মার সুদীর্ঘ শাসনের ছয়খালি ফলকের আবিষ্কার ভট্টাচার্য। শঙ্গাশয়ের প্রধান কীৰ্ত্তি। হজ্জরঞ্জার তাম্রশাসনের একখানি ফলক লাভ ও কম সৌভাগ্যসূচক নহে। ভরসা করি এই শাসনের অপর দুইখানি ফলক আর বেশ দিন তাহার আকর্ষণ এড়াইতে পরিবে ন, এবং তিনি দীর্ঘজীবী হইয়া আরও অনেক শাসন আবিষ্কৃত এবং প্রকাশিত করিয়া যাইবেন । ভট্টাচাৰ্য মহাশয় একখালি (ধৰ্ম্মপালের শুভঙ্কর পাটক শাসন) ভিন্ন আর সকল শাসনই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রে প্রকাশিত করিয়াছেন। "কামরূপরাজাবলী" নামক ভূমিকাটিও পূৰ্ব্বে প্রকাশিত হইয়াছে । কিন্তু এই সকল প্রবন্ধ সংশোধিত হইয়া গ্রন্থাকারে একত্র প্রকাশিত হওয়ায় ইহাদের মূল্য অনেক বাড়িয়াছে। যাগ বাড়ির সকলে, পাড়ার সকলে, পড়িতে উৎসুক এমনতর বাঙ্গালী মাসিক বা ত্রৈমাসিক পত্র সঞ্চয় করিয়া রাখা সহজ নহে । সুতরাং গ্রন্থাকারে

  • কামরূপশাসনাবলী ভূমিকা কামরূপরাজাবলী সমন্বিত। এপদ্মনাথ ভট্টাচাৰ্য্য সঙ্কলিত। রঙ্গপুর সাহিত্য-পরিষৎ হইতে প্রকাশিত। ১৩৩৮ সাল। মূল্য ছয় টাকা।

প্রকাশিত না করিলে ভট্টাচার্য মহাশয়ের তাম্রশাসন সম্বন্ধীয় অনেক প্রবন্ধ অনেক পাঠকের অগোচর থাকিয়। যাইত। "কানরূপশাসনাবলী"তে গ্রন্থকার পদে পদে লিপি-পাঠে দক্ষতা, পাণ্ডিতা, এবং বিচারকৌশলের পরিচয় দিয়াছেন। এই শ্ৰেণং নিবন্ধ সহজপাঠ্য হইতে পারে না। যিনি একটু পরিশ্রম স্বীকার করিয়৷ এই পুস্তকখানি আগাগোড়া পাঠ করিবেন তিনি ইতিহাসের জ্ঞান ছাড়াও নানা প্রকারে উপকার লাভ করিবেন। এই পুস্তকে সংগৃহীত শাসনগুলির মধ্যে কয়েকখানি গদ্যপদ্যময় স্বন্দর সংস্কৃত কাব্য। স্ত্রী-পুরণে নদ নদীর এবং গ্রাম-নগরের নামের মধ্যে ভাষাতত্ত্ববিদের অনেক নুতন তথ্যের সন্ধান পাইবেন । অধিকাংশ কামরূপশাসনাবলীর মধ্যে রাজবংশের প্রশস্তির সঙ্গে সঙ্গে শাসন গৃহীত। ব্রাহ্মণের বংশের প্রশস্তিও আছে। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় অনেক পরিশ্রম স্বীকার করিয়া, অনেক অর্থ বায় করিয়া, এই উপাদেয় পুস্তকখানি প্রকাশিত করিয়াছেন। আশা করি স্বদেশের সাহিত্যামুরাগী ব্যক্তি মাত্রই এই পুস্তকের এক এক খণ্ড ক্রয় করিয়া পাঠ করিলেন । একবার মাত্র পাঠ করিলে এইরূপ পুস্তকের পূর্ণ আস্থা পাওয়া যায় না। ইহা পুনঃপুনঃ পাঠ করা আবশ্যক। বিশেষবিদের। এই পুস্তকে নান শিক্ষণীয় বিষয়ের সঙ্গে পুনর্বিচারের অনেক উপাদান পাইবেন । আমি এই প্রস্তাবে কামরূপের ইতিহাস-সম্পৰ্কীয় দুইটি বিষয়ের পুনরালোচনা করিব। আমার আলোচ্য একটি বিষয়, মহাভারতোক্ত প্রাগজ্যোতিষ এবং কামরূপ ভিন্ন দেশ না অভিন্ন দেশ ; দ্বিতীয় আলোচ্য বিষয়, কামরূপরাজ ভাস্করবম্ম কখনও স্থায়িভাবে কর্ণসুবর্ণ অধিকার করিয়াছিলেন কি না । ভাস্করবম্মার তাম্রশাসন হইতে জানা যায়, এই বৰ্ম্মণ বংশের প্রতিষ্ঠাত ভাস্করবর্মীর উদ্ধতন দ্বাদশ পুরুষ পুস্তবন্ধ। পূৰ্ববর্মার পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী যুগের ইতিহাস সম্বন্ধে ভাস্করবম্মার তাম্রশাসনে কথিত হইয়াছে— “সমুদ্র হইতে পৃথিবীর উদ্ধরণেচ্ছু কপট বরাহরূপী চক্ৰপাশির (বিষ্ণু) নরক (নামক) রাজশ্রেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। সেই অদৃষ্টনরক (অর্থাৎ নরকের সহিত অপরিচিত) নরক হইতে ইন্দ্রের সখা ভগদত্ত জাত হইয়াছিলেন। প্রসিদ্ধ দিগ্বিজয়ী অর্জুনকেও তিনি যুদ্ধে (স্পৰ্দ্ধসহকারে ) আহ্বান করিয়াছিলেন । সেই শত্ৰুহন্ত রাজার বজ্রগতি (অর্থাৎ বিদ্যুৎগতি) বজ্ৰদত্ত নাম পুত্র ছিলেন ; তাহার সৈন্তগতি অপ্রতিহত ছিল ; তিনি সৰ্ব্বদা যুদ্ধে ইন্দ্রকেও সস্তুষ্ট করিয়াছিলেন। তাহার বংশীয় নৃপতিগণ তিন হাজার বৎসর রাজপদ অধিকার করিয়া বেসাযুজ্য লাভ করিলে পুর্বপ্ন ক্ষিতিপতি হইয়াছিলেন” (কামরূপ*ाजनांतलैौ, २४ श्रृं:) । বাণভট্টের হর্ষচরিতে (সপ্তম উচ্ছাসে )ও আছে পুরাকল্পে বরাহের সংসর্গে নরকে গর্ভবতী পৃথিবীর নরক নামক পুত্র জন্মগ্রহণ করিয়া সমস্ত লোকের আধিপত্য লাভ করেছিলেন। এই স্থার বর্ণয় ভগদত্ত পুপদত্ত বজ্ৰদত্ত প্রভৃতি মেরুপৰ্ব্বতের তুল্য স্থা বহুতর भशैशाल ब्रांजप कब्रिवाब्र गत्व छाचब्रदर्थग्नि इंक aशिठाकर भशबाब