পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હાનાય গণানুৎ সবসঙ্কেতামজয়ৎ সপ্ত পাণ্ডবঃ । ততঃ কাশ্মীরকান্ধীরাণ ক্ষত্রিয়ান ক্ষত্রিয়ধভ: 1 (২৬।১০২৫) "পাণ্ডুপুত্র (অর্জুন) উৎসবদঙ্কেত নামক সপ্ত গণকে জয় করিয়াদিলেন : তারপর ক্ষত্রিয়শ্রেষ্ঠ (অৰ্জুন ) কাশ্মীর দেশীয় বার ক্ষত্রিয়গুণকে জয় করিয়াছিলেন।" কাশ্মীরের পর অর্জুন কর্তৃক যে-সকল জনপদ জয়ের কথা আছে তন্মধ্যে ত্ৰিগৰ্ত্ত, বাহ লীক, দরদ, কাম্বোজ উত্তর পশ্চিম ভাগে অবস্থিত। অৰ্জ্জুন কর্তৃক উত্তরদিকে বিজিত দেশের মধ্যে যে শকিলদ্বীপ বা শাকদ্বীপের কথা আছে তাহার যদি কোন ভৌগোলিক ভিত্তি থাকে তবে তাহ। মধ্য-এশিয়ার মালভূমির পশ্চিম ভাগ, সেখানে স্মরণাতীতকাল হইতে শকজাতি বাস করিত এবং যে দেশ গ্রীকদিগের নিকট স্থিীয় নামে পরিচিত ছিল । শাকলদ্বীপের নৃপতিগণকে লইয়। অৰ্জ্জুনের যে প্রাগ জ্যোতিষ আক্রমণের কথা আছে সে দেশ কোথায় ? মাত্র একশত শ্লোকের পরে মহাভারতকার ভামের পূর্ব দিগ বিজয়প্রসঙ্গে পুণ্ড-বঙ্গ-সুহ্মের পরে যে লৌহিত্য নদের উল্লেখ করিয়াছেন অৰ্জ্জুনের আক্রান্ত প্রাগ জ্যোতিধ তাহার তীববস্তু দেশ হইতে পারে না। সিথিয়ার বা শক ভূমির পূর্বদিকে মধা-এশিয়ায় এই প্রাগজ্যোতিধের স্থান নির্দেশ না করিলে মঙ্গা ভারতের সভাপর্বের অর্জুনের দিগ্বিজয়ের বিবরণের সহিত সঙ্গতি রক্ষা হয় ল । কালিদাসের রঘুবংশকাব্যের চতুর্থ সর্গে রঘুর দিগ্বিজয়ের বিবরণে লেখিতনদের তীরে প্রাগ জ্যোতিষের স্থান নির্দিষ্ট দেখা যায়। এই বিবরণে কপিত হইয়াছে, রঘু দিগ্বিজয়ার্থ প্রথম পূৰ্ব্ব দিকে না । কবিয়া ( "স ষয়ে প্রথমং প্রাচীং” ) সুহ্ম এবং বঙ্গ জয় করিয়া "কলদিশিত পথে” দক্ষিণে কলিঙ্গ আক্রমণ করিয়াছিলেন। দক্ষিণ দিকের জনপদের মধ্যে কালিদাস কেবল পাণ্ডোর ও কেরলের নাম করিয়াছেন । দক্ষিণ দিক জয় করিয়া বুধু পশ্চিমদিকে যাত্রা করিয়াছিলেন। পশ্চিমভাগের জনপদের মধ্যে কালিদাস পারসীকগণের এবং যবনগণের নাম করিয়াছেন। তারপর রঘু উত্তর দিকে যাত্র। করিয়া ছণ এবং কাম্বোজ দেশ জয় করিয়া হিমালয় পৰ্ব্বতে ( "গৌরীগুরুশৈল ) আরোহণ করিয়াছিলেন । হিমালয় প্রদেশের অধিবাসীদিগের মধ্যে কালিদাস কিরাতগণের নাম করিয়াছেন এবং তারপর— “শরৈর=উৎবদসংকেতান স কৃত্বা বিরতোৎসবান্‌” (৪৭৮) “শর নিক্ষেপ করিয়৷ উৎসবসংকেত নামক জনগণকে উৎসবশুন্ত করিয়া” অর্থাৎ উৎসবসঙ্কেতগণকে জয় করিয়— "চকম্পে তীর্ণ লৌহিত্যে তস্মিন প্রাগজ্যোতিধেশ্বর।” (৪৮১ ) "রঘু লৌহিত্যনদ পার হওয়ায় প্রাগজ্যোতিষের রাজা কম্পিত হইয়াছিলেন।” এক শ্লোক পরেই কালিদাস "প্রাগজ্যোতিষেশ্বরকে” “ঈশ কামরূপীণামূ", এবং তার পরের শ্লোকে “কামরূপেশ্বর" বলিয়াছেন । উপরে মহাভারতের সভাপর্ব হইতে অর্জুনের উত্তর দিগ্বিজয়ের যে বিবরণ দেওয়া হইয়াছে তাহাতে দেখা যাইবে অৰ্জ্জুন প্রাগজ্যোতিষপতি ভগদত্তকে পরাজিত করিবার পর অনেক জনপদ অতিক্রম করিয়া তবে সপ্ত উৎসবসঙ্কেতগণকে পরাজিত করিয়াছিলেন। কালিদাস উৎদবসঙ্কেতগণের পরাজয়ের পর রযুর প্রাগজ্যোতিষ-আক্রমণের উল্লেখ করিয়াছেন। এই ব্যতিক্রমের, প্রাগজ্যোতিষকে লৌহিত্যের তীরে কামরূপরাজমাল। \NA কামরূপে টানিয়া আনিবার কারণ, কালিদাসের সময় কামরূপ প্রাগজ্যোতিষ নামে পরিচিত হইয়াছিল। কালিকাপুরাণেও আছে, বিষ্ণু নরককে এবং পৃথিবীকে সঙ্গে লইয়া গঙ্গায় প্রবেশ করিয়াছিলেন এবং— “নিমজ ক্ষণমাত্রেণ প্রাগজ্যোতিমপুরং গত: | মধ্যগং কামরূপস্ত কামাখ্যা যত্র নায়িকা ॥” (৩৮৯৫ }& "ব দিয়া ক্ষণমাত্রে প্রাগজ্যোতিষপুরে উপস্থিত হইয়াছিলেন। ( প্ৰাগজ্যোতিষপুর) কামরূপের অন্তর্গত এবং কামাথা দেবী দেপানকার নায়িক ।” বৰ্ত্তমানে প্রাগজ্যোতিষের এবং কামরূপের অভিন্নত সম্বন্ধীয় সংস্কার আমাদের মনে এমন বদ্ধমুল হইয়াছে যে, আমাদের সহজে মনে হয় বামায়ণে এবং মহাভারতে যেখানে প্রাগ জ্যোতিমের অন্তরূপ সংস্থান সুচিত হইয়াছে সেখানে ভুল আছে, কিন্তু এই প্রকার সংস্কার ত্যাগ করিয়া পিচার করিলে দেখা যাইবে, যেখানে কামরূপের পাস নাই সেখানেই প্রাগ জ্যোতিধের সংস্থান অন্যরূপ । ইহা হইতে সিদ্ধালু হয়, র্যাহার কামরূপের সহিত অপরিচিত ছিলেন তাহদের প্রাগ - জ্যোতিষ স্বতস্থ জনপদ ছিল। প্রাগ জ্যোতিম্বের নরক পৌরাণিক কল্পনার স্বষ্টি । সমসময়েব বিবরণমূলক স্বতন্ত্র প্রমাণু বাতিরেকে নরকের পুত্র এবং ইন্দ্রের সখা ভগদত্তের ঐতিহাসিকতাও স্বীকার করা কঠিন। মহাভারত অবঙ্গ ইতিহাস নামে কথিত হয়। কিন্তু এই ইতিহাস শব্দের অর্থ লোকপরম্পরাগত উপদেশপ্রদ আপ্যায়িক । এরূপ আখ্যায়িকায় হিষ্টরি-বাচক ইতিহাস থাকিতেও পারে, নাও পারে। মহাভারতে পশুপক্ষীর গল্প ও “অত্রাপুদাহরন্তীমমিতিঙ্গম পুরাতনম" বলিয়। সুচিত হইয়াছে । সুতরাং স্বতন্ত্র প্রমাণের সহায়তায় বিচার না করিয়া মহাভারতের কোন লৌকিক আখ্যানকেও হিঙ্গরিবাচক ইতিহাস বলা যায় না। আমার অনুমান হয়, পুস্তবমুপ্রতিষ্ঠিত রাজবংশের বংশাবলী প্রস্তুত করিবার সময় এই বংশেধ মহিম)বৃদ্ধির জন্য বংশপ্রশস্তিকার বংশলতার মূলকে পৌরাণিক প্রাগজ্যোতিনের নরক-ভগদত্ত-বজ্ৰদত্তের বংশের সহিত যুক্ত করিয়া দিয়াছিলেন, এবং এই সূত্রে কামরূপের এবং প্রাগ জোতিষের অভিন্নতা সম্পাদিত হইয়াছিল। ভাস্করবর্মার নিধনপুরে প্রাপ্ত তাম্রশাসনে শাসনপাণির এই প্রকার ইতিহাস আছে— “(ঈদৃশ ) মহারাজাধিরাজ কুশলী শ্ৰীভাস্করবর্মদেব চন্দ্রপুরি বিষয়ে (স্থিত) বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ বিষয়পতিগণ ও বিচারালয়সমুহ প্রতি আদেশ করিতেছেন, আপনার বিদিত হউন, এই বিষয়ান্তঃপতি ময়ুর শান্মলাগ্রহার ক্ষেত্র বাহা নরপতি ভূতিবৰ্ম্ম কর্তৃক তাম্ৰপট্টম্বারা প্রদত্ত হইয়াছিল, তাহ। এই ভাস্ত্রপট্টের অভাব বশতঃ করদ হুইয়। পড়ায় মহারাজ জ্যেষ্ঠ ভদ্রদিগকে জ্ঞাপন করিয়া পুনশ্চ পট্ট করুণান্ধে আজ্ঞা প্রদান পূর্বক চন্দ্রস্বর্য পৃখিবীর সমকাল কোনও কিছু (কর ) গ্রহণ যাহাতে না হয় সেই ভূমিচ্ছিদ্র স্তায়ানুসারে পূৰ্ব্বে ভোগকারী ব্রাহ্মণদিগকে (পূৰ্ব্বোক্ত অগ্রহার ক্ষেত্র ) প্রদান করিলেন” (৩৩ পূঃ) । এই শাসনের রাজবংশ প্রশস্তিতে দেখা যায় মহাভূতবৰ্ম্ম ভাস্করবর্ধার বৃদ্ধপ্রপিতামহ ছিলেন। বাণের “হর্ষচরিতে" ( ৭ম উচ্ছসি) ভাস্করবর্শার বৃদ্ধপ্রপিতামহকে ভূতিবৰ্ম্মই বলা হইয়াছে। সুতরাং তাম্র

  • পণ্ডিত পঞ্চানন ভর্করত্ন সম্পাদিত (স্বগ্নমালী ੇ

"कालिकाभ्रूोग” श्रेष्ठ अरे बम्ब ७९७ रहेन।