পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শশাঙ্কের কলঙ্ক—রাজ্যবৰ্দ্ধন-হত্যা ীিরমাপ্রসাদ চন্দ খৃষ্টীয় যষ্ঠ শতকে গুথ-সাম্রাজ্য ছিন্নভিন্ন হওয়ার পর দুই দিকে সমানে আর্ষাবৰ্ত্তে প্রাধান্ত স্থাপনের উদ্যোগ আরম্ভ হইয়াছিল। আৰ্য্যাবর্তের সাৰ্ব্বভৌমের পদ অধিকার করিবার জন্ত পূৰ্ব্বদিকে দাড়াইয়াছিলেন গোঁড়াধিপতি শশাঙ্ক, এবং পশ্চিম দিকে দাড়াইয়াছিলেন স্থাণীশ্বরের অধিপতি প্রভাকরবর্দ্ধন। প্রভাকরবর্দ্ধন পুরুষাঙ্গুক্রমে যে-রাজ্যের রাজা ছিলেন হর্ষচরিতকার বাণভট্ট তাহার নাম করিয়াছেন “শ্ৰীকণ্ঠ” ( ঐকষ্ঠে নাম জনপদ: ) এবং যে-প্রদেশে লীকণ্ঠের রাজধানী ছিল তাহার নাম করিয়াছেন স্থাধীশ্বর নামক জনপদবিশেষ বা জেলা। স্বাধীশ্বর পুণাসলিলা সরস্বতীর তীরে অবস্থিত ছিল। পঞ্জাব প্রদেশের আম্বালা জেলার অন্তর্গত থানেশ্বর অপভ্রংশ আকারে এখনও প্রাচীন স্থাধীশ্বরের নাম বহন করিতেছে। হর্সের তাম্রশাসনে তাহার বৃদ্ধপ্রপিতামহ নরবর্দ্ধন, প্রপিতামহ ( প্রথম ) রাজ্যবৰ্দ্ধন, পিতামহ আদিত্যবৰ্দ্ধন "মহারাজ” বলিয়া উক্ত হইয়াছেন ; কিন্তু তাহার পিতা প্রভাকরবর্দ্ধন “ পরমভট্টারক ” এবং “মহারাজাধিরাজ” উপাধি ভূষিত হইয়াছেন, এবং র্তাহাকে “চতুঙ্গসমূদ্রাতিক্রান্তকীৰ্ত্তি” এবং “প্রতাপামুরাগোপনতাঙ্গরাজ” বলা হইয়াছে । হর্ষের সভাষদ বাণ *হর্ষচরিত” নামক গদাকাব্যে প্রভাকরবর্ধন সম্বন্ধে লিথিয়াছেন, তিনি “হণহরিণকেশরী” ছিলেন, অর্থাৎ সিংহ যেমন অতি সহজে হরিণ মারে, প্রভাকরবর্ধন তেমনি সহজে কুণগণকে পরাজিত বা বিধ্বস্ত করিতেন । তিনি “সিন্ধুরাজজর” ছিলেন, অর্থাৎ সিন্ধুরাজ ॐाशब्र चांकभt१ जब्राङ्कब्र बाखिन्द्र भड काउब्र इहेरउन ; তিনি “গুর্জর প্রজাগর” ছিলেন, অর্থাৎ তাহার ভয়ে গুর্জয়পতির ঘুম হইত না (তৎকালে রাজপুতানার পশ্চিমাংশ গুর্জর নামে পরিচিত ছিল ) । তিনি “গান্ধারাধিপগন্ধৰিপকূটপাকল" ছিলেন, অর্থাৎ গাদ্ধারাধিপতিরূপ ষে গন্ধযুক্ত হস্তী প্রভাকরবর্দ্ধন তাহার জরস্বরূপ বা নির্ধাতনকারী ছিলেন ; তিনি “লাট-পাটব-পাটচ্চর” ছিলেন, অর্থাৎ লাটপতির নৈপুণ্য বা বীৰ্ঘ্য চুরি করিয়াছিলেন (তৎকালে বর্তমান গুজবাত লাট-নামে পরিচিত ছিল ) । তিনি “ মালবলক্ষ্মীলতাপরশু ” ছিলেন, অর্থাৎ মালবের রাজলক্ষ্মীরূপিণী লতার কুড়াল বা ছেদনকারী ছিলেন । বাণ প্রভাকরবর্দ্ধনের এই ষে কয়টি বিশেষণ দিয়াছেন তাহার মর্শ্বকথা সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করিতে গেলে বলিতে হয়, প্রভাকরবদ্ধন গান্ধার, সিন্ধু, লাট, গুর্জর, মালব এবং হুণরাজা পদানত করিয়াছিলেন । আবার এই সকল বিশেষণের ভিতরকার কাব্যস্থলভ অতিশয়োক্তি বাদ দিয়া বলিতে গেলে বলা যাইতে পারে, প্রভাকরবর্দ্ধন অন্ততঃ এই সকল জনপদের অধিপতিগণকে পদানত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু কোনখানে তাহার চেষ্টা কতটা ফলবতী হইয়াছিল তাহা বলা কঠিন। মালবরাজ যে এক সময় প্রভাকরবর্দ্ধনের অক্ষগত ছিলেন তাহার প্রমাণ “হর্ষচরিতে” (চতুর্থ অধ্যায় ) পাওয়া যায়। প্রভাকরবদ্ধনের দুই পুত্র, রাজ্যবৰ্দ্ধন এবং হর্ষ যৌবনে পদার্পণ করিলে প্রভাকরবর্দ্ধন একদিন তাহাদিগকে ডাকিয়া বলিলেন— “আমার ভুজৰয়ের ন্যায় আমার দেহের সহিত অচ্ছেদ্য স্বত্রে সম্বন্ধ মালবরাজের দুই পুত্র, কুমারগুপ্ত এবং মাধবগুপ্ত, এই দুই ভাইকে আমি তোমাদের অনুচর নিযুক্ত করিয়াছি।” প্রভাকরবর্ধন কান্যকুণ্ডের মুখর-বংশীয় রাজা জনস্তবর্ণার জ্যেষ্ঠ পুত্র গ্ৰছৰৰ্ম্মার করে স্বীয় কস্তা রাজ্যত্রকে लांन कब्रिबांशिष्णन ।। ७दे विबांदइब्र क्रन कांनाकूड ब्रांखा हांशैश्वद्रव्रब्र भित्वब्रां८जा नब्रिणरङ इऎब्रांहिल । बां५ লিখিয়াছেন, প্রভাকরবর্জন কুণগণকে ধ্বংস করিবার জন্য