বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কারের বাড়ী গুপ্তিপাড়। গুপ্তিপাড়। কালুণর একটু দক্ষিণুে গঙ্গার ধারে, শান্তিপুরের প্রায় মারপার। এখানে বহুদিন {fয়। অনেক সম্রাস্ত রাঢ়ীশ্রেণায় ব্রাহ্মণের বাস ।... 4াণেশ্বর শোভাকরের সন্তান । শোভাকর দেবীবর ঘটকের গুরু ছিলেন । খ্ৰীষ্টীয় ১৪৮২ সালে দেবীবর রাঢ়ীশ্রেণীর বড় বড় কুলীনকে একত্র 4ঃিয় তাহীদের মেলবন্ধন করেন। যোগেশ্বর পণ্ডিত ও দেবীবর পিতৃঙ্গে ভাই ছিলেন। যোগেশ্বর বড় কুলীন, দেবীবর শ্রোত্রিয়, সঙ্গ জন্তু যোগেশ্বর পণ্ডিত মাসীর বাড়ী ভাত খান নাই। তাহতে নবাবর অত্যন্ত চটিয়া যান, এবং কুলীনের যত দোষ আছে, সেগুলি প্রচার করিয়া দিবার জন্য সব কুলীনদের লইয়ণ সভা করেন । সভায় সব বড় বড় কুলীন উপস্থিত ছিলেন । মড হয় গুরু শোভাকরের বাড়তে। গুরুর বাড়ী ছিল অায়দায়। কালন হইতে দুই ক্রোশ পক্ষিণ-পশ্চিম । এই সভায় বত কুলীনের এক রকম দোষ ছিল, য়াং দের এক একটি মেল করিয়া দেওয়া হয়, তাহার। সেই মেলের মধ্যেই বিবাহ করিতে পারিবে, এদিক ওদিক্ করিতে পারিবে না। সে সকল দোৰ নানা রকম। সে সব পুরাণে কাশুনি আর ঘাটিয়া ক" নাই । এইরূপে ছত্রিশটি মেলের উৎপত্তি হয়। বড় দোষে ! ! মেল হয় ... শোভাকরের বংশ মায়দার চারি দিকে ছড়াইয় পড়িল ।... শোভাকরের বংশে গুপ্তিপাড়ায় রাম নামে একজন পণ্ডিত ছিলেন। :ইনি নয়ায়িক ছিলেন। বিচারে উপস্থার সহিত কেহ আঁটিয়া মুঠিতে পারিত না। বিচারকালে তাহাকে সিংহের মত বলিয়। মনে হত ; অথচ তিনি বেশ কধিও ছিলেন, তাহার কবিতায় অনেকে পদ্ধ হইয়াছিল। উহার পুত্র রাঘবেন্দ্র , তাহার খুব খ্যাতি-প্রতিপত্তি ষ্টি । তাছার পুত্র বিষ্ণু সিদ্ধাস্তবাগীশ ; ইণি পিতার নিকট মন্ত্র পাইয়। ণেই মস্ত্রে সিদ্ধিলাভ করেন । র্তাহার কাব্যে পাথরও গলিয়া যায়, জিও শিরীষফুলের মতন নরম হইয়া যায়। তাহার বিদ্যায় যশঃ চারি fদকে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। তাহার পুত্র রামদেব তর্কবাগীশ । রামদেবের পুত্ৰ বাণেশ্বল্প বিদ্যালঙ্কার । বাণেশ্বর ছেলেবেলায় খুব চালাক-চতুর ছিলেন, এবং বোধ হয়, বড় দুষ্টও ছিলেন । পিত। রামদেব বাণেশ্বরের আকার-প্রকার দেখিয়৷ বলিয়াছিলেন-কালে বাণুগু পণ্ডিত হবে। হইয়াছিলণ্ড তাই। বাণেশ্বর গুপ্তিপাড়ার লোকের মত সাহসী এবং স্পষ্টবাদী ছিলেন । BBBB BB BB BBBS BB BB BBBD BBBB BBB হইয়াছিলেন। কিন্তু একদিন কি রসিকতা করি। তিনি কৃঞ্চত্রেঃ কোপে পড়েন । তাই তিনি কৃষ্ণনগর ত্যাগ করিয়া বর্ধমানে খান এবং সেখানে রীজ চিত্রসেনের সভাপণ্ডিত হন। খ্ৰীষ্টিয় ১৬৯৬ সালে ববদা পরগণার রাজ শোভাসিংহ যখন উড়িষ্যার পাঠানদের সহিত মিলিয়। রাঢ়দেশে মন্থ। উৎপাত জারম্ভ করেন তখন রাজ কৃষ্ণরাম BBBBB BBS BDD DHBB BBBB BBB BBB BBBBB সেই কস্তার হাতে প্রাণ হারাণ, সে কথা ইতিহাসে প্রসিদ্ধ আছে । কৃষ্ণঃামের পুত্র জগৎ রায়। র্তাহীর পুত্র কীৰ্ত্তিচন্দ্র। কীৰ্ত্তিচন্দ্রের খুব নাম হইয়াছিল। তাহার পর চিত্রলেন রাজা হন । চিত্রসেন রাজার সময় রাঢ়ে বৰ্গীর হাঙ্গণমা হয় । রাজা চিত্ৰসেন বাণশ্বের বিদ্যালঙ্কারকে গুপ্তিপাড়া হইতে আনাইয় আপনার সভাপণ্ডিত করেন এবং উহাকে চিত্রচম্পু নামে আপনার এক জীবনচরিত লিখিতে বলেন । ১৭১৪ খৃষ্টাব্দে যখন বগাঁর হাঙ্গাম খুব চলিতেছে, সেই সময়ে চিত্রচম্পূ লেখা হয়। গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত হইয় যে কাব্য হয় তাহার নাম চম্পূ । বাণেশ্বরের এই চম্পূ বাঙ্গালার এক অপূৰ্ব্ব কাব্য। এখন ইহার পুথি বড় পাওয়া যায় না । কোলব্রুক সাহেব একখানি পুথি সংগ্ৰহ করিয়া লগুনে ইণ্ডিয়া অফিদে দিয়াছেন। শপ একপানি সংস্কৃত-সাহিত্য-পরিষদের পুথিগানায় আছে । ইহা হইতে আমরা বগীর হাঙ্গামার অনেক কথা জানিতে পারি ... বাণেশ্বই বিদ্যালঙ্কার মহারাজ চিত্রদেনের মৃত্যুর পর বদ্ধমান ছাড়িয়া আবার কৃষ্ণনগরে আসেন এবং মহারাজ। কৃষ্ণচন্দ্রের সভাপণ্ডিত হন। তিনি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে পুবাণ পড়িয়া শুনাইতেন । এই সময়ে পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরাজের রাজত্ব তারস্ত হয় । বাণেশ্বর সকল সময়ই ইংরাজদের সহায়তা করিতেন । ইংরাজের ধৰ্ম্মশান্ত্রের ব্যবস্থ৷ লইতে হইলে তাহারই কাছে লইতেন । কিন্তু অল্পদিন পরে উহার একজন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হুইল । তিনি ত্রিবেণীর জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন । বাণেশ্বর অতি সাহসী পুরুষ ছিলেন। সেকালে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের। চাকরী করিতেন না, মাইনে লইতেন না, কাহারও হুকুমের ডাবে থাকিতেন না। তবে কথাই অাছে—‘অনাশ্রিতা ন তিষ্ঠন্তি পণ্ডিত বনিত। লতাঃ ; সেইজন্তু পণ্ডিত মহাশয়ের একজন না একজনকে ধরিয়া থাকিতেন । পঠন-পাঠন তখন ব্যবসায় ছিল। যে যেমন পড়াইতে পারিত, তাহার তেমনি বিদায়-আদায় ফেশী হইত। বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে ছাড়িয়া রাজা চিত্রসেনকে আশ্রয় করেন, আধার বদ্ধমানের আশ্রয় ছাড়িয়া কৃষ্ণনগরে আসেন, আবার কৃষ্ণনগর ত্যাগ করিয়া মহারাজা নবকৃষ্ণের আশ্রয়ে আসেন এবং উাহার দেওয়া জমীতে কলিকাতায় বাড়ী তৈয়ারী করেন । তিনি সাত্বিক নিষ্ঠাবান হিন্দু ছিলেন। প্রতিদিন অরুণোদয় কালে অবগাহন স্বান করিয়া, তান্ত্রিক এবং বৈদিক সন্ধা সমাপণ করিয়া তিনি মন্দিরে প্রৰেশ করিতেন। সেখানে সোন ও রূপার পাত্রে নানাবিধ পুজার উপকরণ সাজান থাকিত । পুষ্পপাত্রে বকুল, বঙ্গুল, কেতক, কেতকী, ক্ষমল, কৈৱৰ, চম্পক, কুরুবক, বক, ফোট মুচুকুল, কুন, করবীর, কাঞ্চন, পলাশ, কদম্ব কহলার, রক্তপদ্ম, কঙ্কেলি, মালতী, মহুর মাধবী, পুল্লাগ, নাগকেশর, যুৰী, জাতী প্রভৃত্তি পুষ্প রাশি রাশি থাঙ্কিত ; মলিয়টি তাহাজের গন্ধে আমোদিত হইত। সেখানে কুঙ্কুম, স্বর্ণনাভি, চান, বেণ, গুগগুলু এবং লাল রকম ধূপের গন্ধ তাহার DDD BBH DBDS BBttBD BBD DBB BB BBB थाकिठ ! ग्$िारांबू उांक्ररभङ्गी औब्र, बनी, लबि, क्लिनि, नानाकर्ण মোক, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পিঠে, লাড়, এবং তিঙ্গান্ধ ৰঞ্জ ভোগ, উপস্থিত করি দিতেন। রাজা তাহীনতাকে উৎসর্গ মিনিতেন। ;
- ~ *
