পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য } হাড়গুলি"ঢাকা দিয়ে রাখলেন। ধ্যানভঙ্গের পর আহার করতে গিয়ে নিউটন দেখলেন হাড়গুলি পড়ে আছে। তাতএব পণ্ডিতবর সিদ্ধান্ত করলেন তার আহার হয়ে গিয়েছে কিন্তু অত মনে নেই। তাই পাছে কেউ ঠাট্ট করে এই আশঙ্কায় চারিদিক চেয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন। কি আপন-ভোলা ভাব ! এরূপ তন্ময়ত্বের আরও কয়েকটি নিদর্শন দেখাই । রেনেসাস যুগে প্যারিস নগরে ঙ্গোমারভক্ত প্রোটেষ্টাণ্ট স্কালিগার আপন ঘরে পাঠে নিমগ্ন ; এদিকে বহিরে হত্যাকাণ্ড হ’য়ে গেল (Massacre of St. Hertholomew) ; কত প্রোটেষ্টাণ্টকে খুন করা হ'ল, কিন্তু তিনি এমনই তন্ময় যে ইত্যাকাণ্ডের ব্যাপার তার পরদিন জানলেন। এথেন্সের সৈন্যদলভূক্ত হয়ে জ্ঞানীশ্রেষ্ঠ সক্রেটস একটানা ২৪ ঘণ্টা নিস্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে চিন্তা করতেন, তবেই ত দুগ্ধ তত্ত্বসমূঙ্গের মীমাংসা পেতেন । গ্ৰীকদর্শনের ভিনি শ্রেষ্ঠ গুরু । প্লেভে র্তায় শিষ্য । ভাষ|তত্ত্ববিদ বৃদিয়স্ এর বিবাহদিনে গির্জায় কনে এসেছেন, অ্যান্য বরযাত্রী ও কন্যাঘাত্রীও উপস্থিত হয়েছেন । কিন্তু বর কোথায় ? বরকে ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তথন বরের পাঠগৃহে গিয়ে দেখা গেল তিনি ভাষাতত্ত্বের আলোচলায় মগ্ন আছেন , যার বিয়ে তার মনে নেই। রোমান সৈন্য যপন আৰ্কিমিডিলকে খুন করতে এসেছে তখন হা কিমিডিল বললেন—দাড়াও একটু, এ বৃত্তটা নষ্ট করে দিও না, এ প্রমাণটা শেষ করি। বর্বর সৈনিক তাকে খুন কবে জগতের মধুং সত্য উদঘাটনের পথ হয়ত রুদ্ধ ক’রে দিলে “গৈল । এমনই ক’রে আপনষ্টার। হ'য়ে সাধন না কলে কি কেটু কখনও কোন সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছে ? এই নিঃস্বর্থ সাধনায় সকলেই মুগ্ধ হয়েছে। সেখানে স্বার্থপরতা দেপানেই সঙ্কোচ—ম্বার্থক্কর ক্রোড়পতির কেউ সংবাদ লয় না। কিন্তু তার তীর্থ যখন জনহিতায় ব্যয় হয়, তখন তিনি হন শ্রেষ্ঠ ও মাষ্ঠ । জ্ঞানসাধকের সাধনলব্ধ যা-কিছুতে পৃথিবীর সকলেৱই সম্পত্তি। তাই তারা সকলেরই বড় আপনার জন। কিন্তু আমরা নষ্ট হয়েছি .সাধনার অভাবে, সঙ্গচিত ইয়েছি স্বর্থপরতার প্রভাবে । তাই বিদ্যাক্ষেত্রে ব্যাঙ্কুেশ সব ক্ষেত্রেই আমরা হ‘টে সাধনা ও 警, AMAMAeeeMM MAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAA AAAAJJA AA AMeMJS

  • ~ *

সিদ্ধি’ ઝઉં গিরে পিছনে পড়ে গেছি। সৰ্ব্বনাশকারী পল্লবগ্রাঠিভ। আমাদের নষ্ট করেছে। ৬প্রতাপ মজুমদার বলড়েন “জাপানীরা অপেক্ষুক্ত ছাদ, বাঙালী অতি বুদ্ধিমান।” সেইজন্যই বাঙালী আজ দুর্দশাগ্রস্ত । আত্মঘাতী উষ্ঠমহীনতা আমাদিগকে স্বল্পায়াসে কৃতকাৰ্য্যতা লাভ করতে চেষ্টিত করে। তাই অজ সব ক্ষেত্রেই চাই সাধন । অন্নদমস্ত, বস্ত্রসমস্ত, অর্থসমস্য, স্বাস্থ্যসমস্যা প্রভৃতি নfন[সমস্তয় পড়ে আমরা সব ব্লকমে মাটি হ’য়ে যেতে বসেছি। এখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সহকারে লেগে পড়ে থেকে এক একটি সমস্যার মীমাংস করতে না পারলে আমাদের আর বঁাচ বার আশ নেই। " আর একটা কথা। আমাদের সর্বদ স্মরণ রাখতে হবে চেষ্টমারেঙ্গ অথবা কিছুদিনের চেষ্টাভেক্ট লে এই-সকল কঠিন সমস্যার মীমাংসা হ’য়ে যাবে তা কখনই নয়। স্বতর কাজ আরম্ভ ক’রেক্ট ফলের আকক্ষ করলে চলবে না । মনে রাখতে হবে, প্রাসসাধ্য সকল কার্য্যেই করার আনন্দটাই মুখ্য, পাওয়ার আনন্দ নয় ; মৃগয়ায় ੱਕ অন্বেষণেষ্ট আমেদ, তেমনি প্রকৃতির গুরহস্য যার উদঘাটন করেন তাদের সেই চেষ্টাতেই অপার আনন্দআজ আমাদের তাই এই প্রচেষ্টার-আনন্দের আস্বাদ গ্রহণ করতে হবে । জৰ্ম্মান দার্শনিক লেসিং সম্বন্ধে একটা কথা আছে যে যদি ঈশ্বর এসে তাকে বে তন—তুমি সত্য চাও ন সত্যের সন্ধান চাও, তবে তিনি জবাব দিতেন—আমি সত্যের সন্ধান চাঙ্গ, কিসে পাব, কেমন করে পাব, এই সে দেপা দেবে, পরক্ষণে আড়ালে লুকোবে ; এই পোজের গেলার বিপুল আনন্দে আমি ভরপুর হয়ে থাকৃতে চাই। এই ত প্রাণবস্তের লক্ষণ • বাস্তবিক আনন্দ প্রাপ্তিতে নয়, অন্বেষণে । আর এই অন্বেষণ বা সাপনা একই কথা । ধৰ্ম্মজগতে বুদ্ধ, যীশু, মোঙ্গৰ্ম্মদ, চৈতন্য—এদের সিদ্ধিলাভের ইতিবৃত্ত একই । . জনক্লোলাহলের বাহিরে পর্বতে “ জঙ্গলে, গুহার মধ্যে জীবনের কিয়দংশ সাধন ক’রে এরা ভগবানের সান্নিপূ লাভ করেছিলেন । মরণ্যে লোকচক্ষুর অন্তরালে বৃহদারণ্যক উপনিষদ গ্রঞ্জিত হয়েছে। আবার বুদ্ধদেবেরও অপর নাম - এইজন্য “সিদ্ধাথ ; আমরা অতীতের গর্ব করে থাকি, কিন্তু