পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وننا অতীতের প্রাণের লক্ষণগুলিকে আপন জীবনে ফুটিয়ে তুলতে চাই না –অতীতের সিদ্ধির উপর আমাদের লোভৰ্টুকু ষোল আনা আছে, কিন্তু তার জীবনব্যাপী কঠোর স. র কথা শুনেই আমরা আতঙ্কে মরে’ যাই । রবীন্দ্রনাথের কবিপ্রতিভা আজ শতদলপদ্মের মত বিকশিত হয়েছে। কিন্তু একটির পর একটি করে? এই শতদল ফুটেছে,–এর পিছনে আছে একনিষ্ঠ সাধন । গোখলে ইস্কুলমাষ্টার ছিলেন, শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রীও ছিলেন। পরাঞ্চপেও তাই । ৭৫ টাকা মাহিনায় গোখলে ফার্গুসন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। কিন্তু গোখলে আজ দেশপূজা, তার কারণ তিনি দেশসেবার সাধনা করেছিলেন। এই দারিদ্র্যব্রতধারীর বজেট-বক্তৃতায় ব্যবস্থাপুক সভায় লাট কর্জন কাপৃতেন। আর এক প্রাতঃস্মরণীয় মহামনীষীর কথা বলে আমার কথা শেষ করি ;–তিনিও দারিদ্র্যব্রতধারী, মহাসাধক মহাত্মা গন্ধী। গন্ধী আজ বিশ্ববিশ্রত। কিন্তু একদিনেই কি র্তার নাম সারা বিশ্বের বিস্ময় উৎপাদন করেছে ? ২১ বৎসর পূৰ্ব্বে আলবার্ট হলে দক্ষিণ আফ্রিকা-প্রবাসী ভারতবাসীদের দুর্দশ দেশবাসীর নিকট বিবৃত করতে আমিই প্রথম তাকে আহবান করি । স্বর্গগত নরেন্দ্রনাথ সেন সেই সভায় সভাপতি ছিলেন । গন্ধীর বক্তৃতার বিষয় ছিল--কেপ কলোনিতে ( Cape ভারতবাসীর অশেষ দুর্দশার কথা। মহাত্মা তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতবাসীদের নেতা। তিনি দেশবাসীর Colony) ভ্রমর ও প্রজাপতি জীবনটা এই—পথের ধারের ফুল, তুচ্ছ ভেবেই প্রজাপতি তার কাছ থেকে রয় দূর ; जभब्र क्रूि करब्र न cभांहॉड़े छूलসদ্ধানী সে যে, ব্যথার বদলে মধু খায় ভরপুর। শ্ৰীচণ্ডীচরণ মিত্র జాt-గాt, లిసిసి ( ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড হিতের জন্য আপনাকে একবারে নিঃশেষ করে উৎসর্গ করে? দিয়েছিলেন। নেটাল প্রদেশে তিনি তাদের সঙ্গে তুল্য ভাবে নিগৃহীত, নিপীড়িত, লাতি ও অত্যাচরিত হয়েছিলেন। মাসে ৫।৬ হাজার টাকা আয়ের ব্যারিস্টারী তিনি স্বেচ্ছায় ত্যাগ করে সবার ব্যথাকে বুক পেতে দিয়ে গ্রহণ করেছিলেন । কতবার জেলে গেছেন, কত কষ্ট সহ করেছেন, মেথরের কাজ পৰ্য্যস্ত করেছেন । তাই ত তিনি আজ জনসাধারণের হৃদয় মন অধিকার করতে পেরেছেন । আজি অন্ততঃ ২৭-২৮ বৎসর যাবৎ তিনি নিগৃহীত ভারতবাণীর নেতা—যেখানে অত্যাচার উৎপীড়ন, সেইখানেই মহাত্মা গন্ধী ; তাই আজ তার নামে দলিত জনসঙ্ঘের প্রাণ আনন্দে নেচে ওঠে—আশায় উৎফুল্ল হয়। এই অনন্তপ্রতিদ্বন্দ্বী-প্রভাবের পশ্চাতে রয়েছে মহাত্মাজীর আজীবন সাধন । রামমোহন রায়কে বাঙালীর ঘরে পাঠানো বিধাতার একটি বিশেষ বিধান বলে আমার মনে হয়। আমার স্থির বিশ্বাস, বাঙালীর দ্বারাই ভারতের সর্বাঙ্গীন উন্নতি সাধনের পথ উন্মুক্ত হবে। কিন্তু এই গৌরবের পদ অধিকার করতে হলে বাঙালীর জীবনে আজ চাই সাধনা —তিল তিল করে আত্মদান। বাঙালী আজি স্থিরপ্রতিষ্ঠ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে, ব্যক্তিগত মুখের আঙ্গীয় জলাঞ্জলি দিয়ে দেশের কাজে লেগে পড়ে থাকলে ভারতের নিদারুণ দুর্দশা ঘুচ বেই। আজ বিধাতার ইঙ্গিত—বাঙালীর সাধনা ভারতে সিদ্ধি আনয়ন করবে। জীপ্রফুল্লচন্দ্র রায় ভক্ত ও ভগবান મરલ્બર્ન ন-বাশা-৮ বলেক অজ খুদ জুদা ন- I ভগবৎ-ভক্ত জন ভগবান নয়— ভগবান হ’তে তবু ভিন্ন কেবা কয় ? कैयौबटूछट्टैबनांश tजन