পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতির পাঠশালা বস্তুর রঙের বিভিন্নতার কারণ কি ?—আলোকরশ্মির মধ্যে সাতটা রং আছে—বেগুনী নীল অসমানী সবুজ হলদে কমলা লাল ; রঙের নাম কটা মনে রাখবার জন্তে প্রত্যেক নামের আদ্য অক্ষর একসঙ্গে জুড়ে একটা কথা আমরা তৈরি করতে পারি—বেনী-আসহ-কলা । একটা তেশির কাচের ভিতর - দিয়ে যদি স্বৰ্য্যরশ্মি চালনা করা যায়, তবে স্থধ্যের সাদা আলো ভেঙে সাত টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায় বেনীআসহকল সাত রঙে। আমরা বস্তু দেখতে পাই যখন সেই বস্তু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে এসে আমাদের চোখে সেই বস্তুর আকারের একটি ছায়াপাত করে, আর সেই প্রতিকৃতির অনুভূতি থেকে আমাদের বস্তুজ্ঞান জন্মে। বস্তুর গায়ে যখন আলো গিয়ে পড়ে, তখন আলোর সবটুকুই আলোর গা থেকে ঠিকৃরে বেরিয়ে আসে না, কতকটা আলো সেই বস্তু নিজে শোষণ করে নেয়। যে-বস্তু প্রায় সবটুকু আলোই প্রতিফলিত করে, সেই বস্তুকে আমরা সাদা অর্থাৎ সাতরঙের সমষ্টি দেখি-ধেমন কাগজ দুধ, চুন ইত্যাদি ; যে বস্তু কেবল মাত্র লাল রংটুকু ছেড়ে দিয়ে বাকী ছুয় রং আত্মসাৎ করে সে বস্তু আমাদের চোখে ঠেকে লাল-ধেমন পদ্ম গোলাপ, পাকা মাকাল, তেলাকুচো ; এইরূপে কোনো বস্তু বা কেবল হলদে, কেবল সবুজু, অথবা কেবল নীল স্ক ত্যাগ করে, আর বাকী অস্ত কটাকে গ্রাস করে,—সৈ-সব বস্তু তাদের ত্যক্ত রঙের ছোপেই আমাদের দৃষ্টিতে প্রতিভাত হয় ; কোনো বস্তু আবার নিজের অঙ্গের এক অংশ থেকে এক রং ছাড়ে ও অন্ত অংশ থেকে অন্ত রং ছাড়ে, তাই সি দুরেসামে আপেলে স্থার দোপট প্রভৃতি ফুলে একসঙ্গেই অনেক রকম রং দেখতে পাওয়া যায় ; যে বস্তু সমস্ত আলোটুকুই শোষণ করে, কিছুই ত্যাগ করে না, তার রং দেখায় কালো—অর্থাং সকল eবর্ণের অভাব । বস্তুর এই যে আলোর কিছু শুষে নেওয়া ও কিছু ছেড়ে দেওয়৷ ধৰ্ম্ম, এর কারণ এখনো নির্ণয় হয়নি , বৈজ্ঞানিকের । মনে করেন,~~ভিন্ন ভিন্ন বস্তুর, অণু-সংস্থানের তারতম্যই এর কারণ | আলো জিনিসটা কি ?—বহু প্রাচীনকালেই আদিম মানুষ আবিষ্কার করেছিল যে আলো জিনিসটা একটা গতি ; যে আলোর তেজ আর উজ্জলত যত বেশী সে আলো তত বেশী দূর পর্য্যন্ত যায়। "যায় ত; কিন্তু ক্টি যায় ? এ প্রশ্নের উত্তর নিউটন এই দিলেন বে-আলে৷ থেকে সেই বস্তুর অতি স্বল্প কণা ছুটে গিয়ে আমাদের দৃষ্টিকে ও অবাধ স্থানকে ভরিয়ে তুললেই সেখানে আলোর অনুভূতিও প্রকাশ হয়। সবাই এই কথা বহু কাল মেনে চলেছিলেন—প্রমাণিক সত্য বলে নয়, নিউটনের মতন একজন অতবড় বৈজ্ঞানিক আন্দাজ কবৃছেন এইজন্যে। কিন্তু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে শাস্ত্র আর গুরুর দোহাই চলে না ; লোকে নিউটনের সিদ্ধান্তে সন্দেহ করে সন্ধানে লেগে গেল—সত্য যা কেবল তাই মান্ত, সত্যকেই পেতে হবে এই সঙ্কল্প নিয়ে। শেষে আবিষ্কার হল যে আলো একরকমের অদৃশ্ব অনুভূত পদার্থের তরঙ্গ —এই পদার্থ সৰ্ব্বব্যাপী এবং এর নাম ঈথার বা ব্যোম । সর্দার পোড়ো গাটা তেওয়ারী (হিন্দুস্থানী গল্প) • রাজামশাই সভায় বলে ৰিমুচ্ছেন-চারিধারে পাত্র মিত্র, জ্ঞানী গুণী সকলে তাকে ঘিরে রয়েছে ; কারুর মুখে একটিও কথা নেই, সকলেই চুপচাপ এমন সময় একটি