পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১য় সংখ্য}} চিকিৎসা-বিদ্যায় ব্ৰহ্মদেশীয়া মহিলা - রেজুলে ব্যাপৃটিষ্ট কলেজ হইতে বে ব্রহ্ম-মহিলা সৰ্ব্বপ্রথম গ্রাজুয়েট হন তাহার নাম মাস সা । ষ্টনি কলেজের পাঠ শেষ করিয়াই ক্ষান্ত হন নাই। ডাক্তারীর দিকে ইহার বিশেষ ক্টোক ছিল। ইনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতেও বি-এ পরীক্ষা দেন। তারপরে ভাক্তারী পড়িতে আরম্ভ করেন ও অস্ত্র-চিকিৎসায় বিশেষ অনুরাগী হইয়া উঠেন। ইনি ব্রহ্মদেশের সরকার হইতে এক বৃত্তি লাভ করিয়া বিলাত যান এবং ডালিনের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিসিয়ান ও সাঙ্গনস্ হইতে উপাধি লাভ করেন । দেশে ফিরিয়া আসিয়া ইনি রেঙ্গুনের ডাফরিন হাসপাতালের পরিচালিকা নিযুক্ত হন । বৰ্ত্তমানে মা স সা তাহার দেশের স্বাস্থ্যসম্বন্ধীয় নানা হিতকর অঙ্গঠানে নিযুক্ত আছেন । নারী-কারাগারের সংখ্যা হ্রাস কয়েক বৎসর আগে ইংলণ্ডে অপরাধিনী নারীদের জন্য এক শত কারাগার ছিল । বর্তমানে এক শতের জায়গায় মাত্র পচিশটি কারাগার টিকিয় আছে । তাহার কারণ ইংলণ্ডের নারীদের মধ্যে এখন অপরাধের মাত্র হ্রাস পাইয়াছে। ১৯২০ সালে এই পচিশটি কারাগারের মধ্যে ছয়টিতেও প্রতিদিন পঞ্চাশের অধিক অপরাধিনী আসিত না । স্ত্রীলোকদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সুশিক্ষার বিস্তার করিতে পারিলে তাহীদের মধ্যে অপরাধের মাত্রা হ্রাস হইতে বাধ্য। আমাদের দেশে অপরাধিনী নারীর সংখ্যা কম নয়, কেননা এখানে স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার নাই বলিলেই চলে। কবে আমরা আমাদের নারীদিগকে শিক্ষায় ও স্বাস্থ্যে উন্নত করিয়া সমাজের স্তুৰ্দ্ধেক অঙ্গ বলবান করিম তুলিব ? সঙ্গীতে নারী. ইংলণ্ডের রয়্যাল ফিলহাকুমনিক সোসাইটিতে আগে সঙ্গীত শিক্ষার জন্য নারীদের প্রবেশ-অধিকার ছিল না। . বর্তমানে নারীর সেখানে প্রবেশের অধিকার লাভ -জরিয়াছেন,। , এই সোসাইট যখন স্থাপিত হয় তখন মহিলা-মজলিস্—বাংলা মেয়ে, AMAMAMAMAMAMMAMAMAMAMAAAS సి(? -حیے &حیم، معقی মেয়ের কেবলমাত্র গায়িকারূপে হাজির হইতে পারিতেন । এখন তাহার এখানে সভ্য হইবার অধিকার পাইলেন, এমন কি অনেক বিভাগে পরিচালিকা হইবার ক্ষমতাও তাহারা পাইয়াছেন। - গুপ্ত চিত্র-শিল্পে বালিকার কৃতিত্ব ১৯২১ সালের—সগুনের যুজকীয় চিত্রশালায়, (Royal Academy of Arts) of Tö for of উপলক্ষে, কুমারী ইলিন শোপার নামে ১৫ বৎসর বয়স্ক একটি বালিকা, নিজে আঁকিয় দুপান। ছবি পাঠান। প্রতিযোগী ১২• • • হাজার বিখ্যাত চিত্রকরদের মধ্যে বে এ বালিকাটি স্থান পাইবে, ইঙ্গ কেহ কখনও স্বপ্নেও ভাবে নাই। কিন্তু বিচারকদের চক্ষে ইলিনের দুখান ছবি পুরস্কার পাইবার উপযুক্ত এবং প্রদর্শনযোগ্য বিবেচিত হয়। এত অল্পবয়সে কোনচিত্রকরই এরূপভাবে সম্মানিত হন নাই । ইলিন আর্ট স্কুলে পড়িয়ী চিত্র-বিদ্যা শিখেন নাই। এই বালিকা ছেলেবেলা হইতেই পিতার নিকট চিত্রাঙ্কণ-বিদ্যা অভ্যাস করেন। ইহঁার পিতা একজন বিখ্যাত চিত্র-শিল্পী, নাম জর্জ শোপার, আবৃ-ই । ১৩ বৎসর বয়স হইতেই ইলিন ছবি আঁকিতে আরম্ভ করেন। যশস্বী চিত্রশিল্পী বলিয়া ইলিনের নাম এখন জগদ্বিগ্যাত । শ্ৰীনগেন্দ্রচন্দ্র ভট্টশালী বাংলা মেয়ে ঘরের কোণে দুয়ার এটে বন্দী কেন রহিস্ নারী, পড়ি কেন যুগল-পায়ে অধীনতার শিকল ভারী ? শু ংি সেতে তোর ঘরের মাঝে ইপিয়ে-তোলা ধোয়ার কালে দাসত্বেরই পঙ্কিলতা—সেই কি তোমার লাগচে ভালে ? কারাগৃহের ঘুলঘুলিটুি খোলনি কি একটি বারে, চিরকালষ্ট বন্দী-শালায় রদ্ধ জালায় নিশাস ছাড়ে ? আকাশ সে কি নীল নয়নে ইঙ্গিতে হায় দ্যায়নি ডাক, জানলা খুলে উড়ন্ত ঐ স্থাপনি কি পাখীর বাৰু ? -