পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

酸n so ংসাবশিষ্ট ইউরোপ মুসলমানের ধৰ্ম্ম অক্ষুণ্ণ রাপিতে বারবার প্রতিশ্রুত হইয়াও ইংরেজ কন তাহার মুসলমান প্রজাদিগকে অসন্তুষ্ট করিয়াও সেভাস সন্ধিতে তুরস্ব-শক্তিকে প্রায় সমুলে উৎখাত করিয়া গ্ৰীক্-শক্তিকে প্রবল করিবার প্রয়াসী হইয়৷ উঠিলেন তাহ বুঝিতে হইলে পশ্চিম-প্রাস্তিক প্রাচ্যের সমস্যাটিকে ভাল করিয়া বুঝিতে হইবে। রুশ-শক্তি যখন প্রবল ছিল তখন তাহার ভারত-অভিযান প্রতিরোধ করিবার জষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্কশক্তিকে প্রবল রাখা হুবিধাজনক বোধ হওয়াতে ইংরেজ তুরস্কের সহিত মুখে মিত্রত দেখাইয়৷ আসিয়াছেন, কিন্তু খৃষ্টান-ঐতি ও প্রাচ্যের প্রতি অবজ্ঞ। ইংরেজের মুনে বরাবরই প্রচ্ছন্ন থাকাতে ভিতরে ভিতরে তুরস্কের পৃষ্ঠান-প্রজা-বিদ্রোহগুলির অনুকুলত করিতেও দ্বিধান্বিত হন নাই। ইংরেজের মনোভাব তুরস্কের জান ছিল। ১৮৭৭ সালের জুনমাসে ‘নাইনটিন্থ সেঞ্চুরি নামক মাসিকপত্রে তুরস্কের প্রধান উজির মিথাৎ পাশ এক বিস্তুত প্রবন্ধে এই ব্যাপারের আলোচন-প্রসঙ্গে লিখিয়াছিলেন মে “Turkey was not unaware of the attitude of the English Government towards her : the British Cabinet had declared in clear terms that it would not int-rfcre in our dispute. This decision of the English Cabinet was perfectly well-known to us, but we knew still better that the general interests of Europe and the particular interests of England were so bound up in our dispute with Russia that, in spite of all the declarations of the English Cabinet, it appeared to us to be absolutely impossible for her to avoid interfering sooner or later in the Eastern dispute.” অর্থাৎ ইংরেজ সরকারের তুরস্কের প্রতি মনোভাব তুরস্কের অঙ্গন। নাই। বৃটিশ মন্ত্ৰীসভা পরিষ্কার ভাষায় বলিয়াছেন যে আমাদের বিবাদে হস্তক্ষেপ করিবেন না। ইংরেজ মন্ত্ৰীসভার এই সিদ্ধান্তু আমাদের বেশ জনাই ছিল কিন্তু আমরা আরও ভাল করিয়া জনিতাম যে রাশিয়ার সহিত আমাদের বিবাদের ফলাফলের সহিত সমগ্র, ইউরোপের এবং বিশেষ করিয়৷ ইংলণ্ডের স্বার্থ এমন ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত যে ইংরেজসরকার প্রাচ্য বিবাদে হস্তক্ষেপ না করিয়া পরিবেন না । ইংরেজের রুশষ্ট্ৰীতি যে-শুধু তুরস্ককেই প্রবল রাখিয়াছিল তাঁহাই নহে। ইয়াকেও প্রবল, করিয়া সাৰ্ব্ব-সুাষ্ট্ৰীয় আন্দোলনকে প্রতিহত করাও ইংরেজের রাষ্ট্রনৈতিক প্রয়োজন বলিয়৷ গণ্য হওয়াতে ইংরেজ অষ্ট্রয়াকে নানারূপে সাহায্য করিতে থাকে।* - “ কিন্তু রুশ-জাপান যুদ্ধের পর ক্ল৭-শক্তি হীনবীৰ্য্য হইয় পড়াতে ভারতে ক্লশভীতি কমিয়া যায়। এদিকে জাৰ্ম্মানী ফরাসী-যুদ্ধের পর হইতেই এত শীঘ্ৰ শক্তিশালী হইয় উঠতে থাকে যে তাহার পূর্বঅতুিবানে ব্যাঘাত দেওয়া ইংরেজের পক্ষে একান্ত আবগুক হইয় উঠে। রাশিয়ার বলক্ষরে তুরস্কন্ধে প্রতাপশালী,করির রাখা আর ইংরেজের স্বার্থ রহিল না। তাই এসিয়াবাসী এই জাতির প্রতি শ্বেতকায়দিগের সহজাত-বিদ্বেষ ফুটয় উঠতে লাগিল | Sickman of Europeo ইউরোপ হইতে বিতাড়িত করিতে পারিলেই যেন ইংরেজ নিশ্চিন্ত হইতে পারে। কারণ ঠিক এই সময়েই কাইরে ও স্তম্বুলে । Pan-Islamic) সাৰ্ব্ব-মোসলেম আন্দোলনের উদ্ভব হয় এবং এসিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার মুসলমান জাতি-সমুহকে সংঘবদ্ধ করিয়া পরাক্রান্তু করিয়৷ তুলিবার চেষ্টা - চলিতে থাকে। ইসলামের এই সংহতিতে ইংরেজের স্বাৰ্থহানি হুইরার, সম্ভাবন যথেষ্টই ছিল। তাই ইসলামের এই জাগরণের প্রচেষ্ট৷ তাহাদর ভাল ন লাগিবরই কথা এবং জার্মানী ইসলামের জাগরণে সাহায্য করিয়া ইসলাম-ৰন্ধুরূপে প্রাচ্যে প্রভুজবিস্তারের হুযোগটি গ্রহণ করিতে আরম্ভ করায় ইংরেজ আরও ব্রুিব্রত হইয় উঠে । প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক হলও রোজ ( Holland Rosen vățgia ferațiile sferirea frrţei ( The Development of European Nations ) AtRE *RITEK “Iss *fēAILEA AR *jady” (New Groupings of Great Powers) zijwas eeftzg *Zola, “Constantinople and Cairo were the centres of this Pan-Islanic movement, which aiming at the eloser union of all Moslems in Asia, Europe and Africa around the Sultan threatened to enb irrass Great Britain, France and Russia. The Kaiser, seeing in this revival of Islam an effective force, took steps to encourage the ‘true believers' and strengthen the Sultan Germany and Austria were likely to undermine British interests in the Near East, while on the other hand, the diversion of Russia's activities from Central Asia and the alkan to thc Far East, lessencil the Muscovitc Menacc which had so long determinckl Moreover, Russia's ally France, showed conciliatory spirit. Forgetting the rebuff at Fashoda she aimed at expañsion in Mórocco. the trend of British policy. Now Korea and Morocco did not vitally concern us. The Bagdad railway and the Kaiser's court to PanIslamism were definite threat to our existence as an Empire ...The aggressive character of the German schemes explains why France, Great Fritain and Russia began to draw together for mutual support.” "কাইরে ও স্তমূল হইয়াছিল সাৰ্ব্ব-মোসলেম আন্দোলনের কেন্দ্র স্বরূপ। এই আন্দোলন, স্বলড়ানের সিংহাসনতলে ইউরোপ, এপিয়া ও আফ্রিকার মুসলমানদিগকে সৌহাৰ্দ্দাবন্ধনে আবদ্ধ করিবার প্রয়াস করিয়৷ গ্রেটব্রিটেন, ফ্রাঙ্গ ও রাশিয়াকে বিব্রত করিতেছিল। কাইজার মুসলমানদিগের জাগরণে জাৰ্ম্মানীর শক্তিসঞ্চয়ের স্ববিধ বুঝিয়া স্বলতানের• শক্তিকে দৃঢ় করিতে চেষ্টত হইলেন। জাপানী ও অষ্টির পশ্চিম