পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిy ক্রটির জন্য অনুতপ্ত হইয়া তিনি প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ স্বেচ্ছায় কঠোর শাস্তি লইয়াছেন। আমরাও কখন কখন তাহাঁর সমালোচনা করিয়াছি; ই তিনটি বিষয় ছাড়া আমাদের সেইসব সমালোচনী সত্য হইয়াছিল বলিয়া আমরা এখনও মনে করি । কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, যে, তাহার প্রভাব সত্যমূলক ; এবং মানবপ্রেমে অনুপ্রাণিত নিঃস্বার্থ সাধুজীবন উহার अप्लङ५ कोशू८ । গান্ধীর বিরোধীরা অনেকে মনে করেন ও বলিয়াছেন, যে, তিনি গবর্ণমেণ্টের প্রতি বিরাগ ও বিদেশীর প্রতি বিদ্বেষ প্রচার করিয়া শক্তিমান ও প্রভাবশালী নেত। হইয়াছেন। কিন্তু এক সময়ে গান্ধী গবর্ণমেণ্টের সঙ্গযোগিতা করিবার পক্ষে ছিলেন, এবং তদ্রুপ সহযোগিতা করিতে গিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের জীবনকে সঙ্কটাপন্ন করিয়াছিলেন। তিন বৎসর পূৰ্ব্বে গবর্ণমেণ্টের সহিত সহযোগিও স্বয়ং বর্জন করিয়া তিনি তখন হইতে অন্য সকলকেও উহা বর্জন করিতে অনুরোধ করিতেছেন। তখন হইতে র্তাহার প্রবন্ধ ও বক্তৃতাসকল গবৰ্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে বিরাগ উৎপাদন করিতেছে, মনে করিতে হইবে । ভারতবর্ষে ইংরেজ-রাজত্বকালে এমন কোন কোন লোক জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, এবং তন্মধ্যে কেহ কেহ এখনও জীবিত অাছেন, যাহারা গান্ধীর মত গবৰ্ণমেণ্টের সহিত সহযোগিতা কখন করেন নাই কিন্তু র্যাহাদের লেখা ও বক্তৃতা দ্বারা গবর্ণমেণ্টের প্রতি বিরাগই উৎপন্ন হইয়াছে। অথচ ইহার কেহই গান্ধীর মত লোকপ্রিয় ও প্রভাবশালী হইতে পারেন নাই। গবর্ণমেণ্টের প্রতি বিরাগ উৎপাদনের চেষ্টা গান্ধীর প্রভাবের একমাত্র বা প্রধান কারণ হইলে এই সকল লোক গান্ধী অপেক্ষা অধিক, অন্ততঃ উাহার সমান, প্রভাবশালী হইতেন । কিন্তু তাহা ঘটে নাই। মহাত্মা গান্ধীর এবং এইসকল লোকের গবর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধ আচরণ কেবল বক্তৃতা ও লেখায় আবদ্ধ। গবর্ণমেন্টের বিরুদ্ধে যাহারা যুদ্ধ করিয়াছে, উহার প্রতি বিরাগবশতঃ রক্তপাত করিয়াছে, তাহাজের বিরোধিতা আরো বেশী ; কিন্তু এই প্রকার বিদ্রোহীদের মধ্যেও কাহারও প্রভাব মহাত্মা গান্ধী প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ ১ম খণ্ড অপেক্ষ অধিক হয় নাই। অতএব গবর্ণমেণ্টের রিরোধিতা ছাড়া তাহার লোকপ্রিয়তার ও প্রভাবের জন্ত কিছু কারণ আবিষ্কার করিতে হইবে। ... . . बिरननै कां*टफ़ब्र ७बई १fकांजा गडाउांब्र बिक्रएक বস্তৃতা প্রদান ও লেখনী ধারণকেও তাহার প্রভাবের প্রধান কারণ মনে করা যায় না। কারণ, বাংলা দেশে স্বদেশী আন্দোলনের সময় শুধু বিদেশী কাপড় নহৈ, বিদেশী জিনিষ মাত্রকেই বর্জন করাইবার নিমিত্ত অনেক বক্তা ও লেখক প্রভূত চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ কেবল বিদেশী পণ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া, ক্ষান্ত হন নাই, বিদেশী সভ্যতা-বিদেশী ভাষা বিদেশী শিক্ষাপ্রণালী, সমুদ্বয়েরই বিরোধিতা করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহীদের কেহই গান্ধীর মত প্রভাবশালী হন নাই। গান্ধী সমুদয় বিদেশী সামগ্রী বর্জন করিতে বলেন নাই বটে, কিন্তু বিদেশী সভ্যতা ও ভারতবর্ষে বিদেশীদের প্রবৰ্ত্তিত বৰ্ত্তমান শিক্ষাপ্রণালীর প্রতি তিনিও বিরূপ । কিন্তু ইহা তাহার লোকপ্রিয়তার প্রধান কারণ নহে; কেন না, তাহা হইলে স্বদেশী যুগের পূৰ্ব্বোক্ত কৰ্ম্মীরাও তাহার মত বা তাহ অপেক্ষা শক্তিশালী হইতে পারিতেন। র্তাহার সামাজিকমত ও ধৰ্ম্মমত সকলের মধ্যে প্রচলিত হিন্দুত্ব কতক আছে, কতক নাই। যেমন, তিনি জন্মান্তর, বৈদিক অর্থে বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম, এবং অবতীরবাদ মানেন বলিয়াছেন, কিন্তু অন্ত দিকে কোন জাতি উচ্চ ও কোন জাতি নীচ ও অবজ্ঞেয় ইহা তিনি ধীকার করেন না। কোন জাতি যে অস্পৃগু, তাহা তিনি কথায় ও কাজে অস্বীকার করেন। মৃৎপ্রস্তুরাদি দ্বারা নির্মিত দেবদেবী মূৰ্ত্তির পূজা তিনি করেন না ; উহাতে তিনি অবিশ্বাস করেন না বটে, কিন্তু তিনি লিখিয়াছেন, যে, এই-সকল মূৰ্ত্তি দেখিয় তাহার মনে কোন ভক্তিভাবের উদয় হয় না। র্তাহার সামাজিক মত ও ধৰ্ম্মমত র্তাহার সম্পাদিত ইয়ং ইণ্ডিয়া কাগুজের ১৯২১ সালের ৬ই অক্টোবর তারিখের সংখ্যায় বাহির হইয়াছিল । সব কথা উদ্ভূত করিবার প্রয়োজন নাই। উপরে স্বাহ লিখিয়াছি, তাহার সমর্থক কথাগুলি উদ্ধৃত করিয়া দিতেছি। .