পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬e मबझला नां* তেজ বান্ধfকাশ 酸 হত হল্য রবি সসি । গত দিবা রীতি হত হুল্য খেতি চতুর্দশ ভুবন আদি । (খৃঃ ১৯১) মাণিক গাঙ্গুলী তার ‘ধৰ্ম্মমঙ্গলে লিখেছেন – অতল বিতল লপ্ত রসাতল সংনিধি সমুদ্র সাত । श्रट्रग्न किञ्चद्र আদি চরাচর সকলি হুইল পাত ॥ সৃষ্টি করি লর দেব দয়াময় আপনি রহিল শূন্যে। চিস্তামনি ভবে চিন্তিত বৈভবে স্বষ্টি স্বজিবার জন্তে । ( পৃঃ ৯ ) শূন্তপুরাণ-কারের মতে পরতু’, ‘মাআধর’, ‘করতা' হচ্ছেন পরম দেবতা। প্রথমে প্রভু ‘অনিলদের স্বষ্টি করলেন। তারপর তিনি পুরুষরূপে নিজেকে স্বষ্টি করলেন। এই পুরুষের চক্ষু অবয়বাদি কিছু ছিল না— “রজবীজে জনম তার নহিক বাপ মাও।” এই মত হচ্ছে মাধ্যমিক দর্শনের মত—অনুপপাদক । নাগাৰ্জ্জুনের এই মত যে কেবল তার মাধ্যমিক বৃত্তির মধ্যে ছিল তা নয়, বেদান্ত পৰ্য্যন্ত সেই মত গ্রহণ করেছিলেন । পুস্যা ( La Vellie Poussin) fitontgR CR– “The main idea that there is no biith, produciion, juti, utpada, that causation is impossible since the eause cannot be identical with, nor different from the effect, since neither being, nor non-being, nor being--non-being, can originate, is thoroughly madhyamika." (J. R. A. S., 1910 ; p. 136) এই পুরুষের নাম নিরঞ্জন । নিরঞ্জন শব্দের অর্থ আমরা জানি নিরাকার, অঞ্জন-রহিত। পূর্বের কায়াহীন চক্ষুহীন পুরুষের নাম যে নিরঞ্জন হবে তাতে আশ্চৰ্য্য হবার কিছু নেই। কিন্তু লোকে তার একটা সহজ ব্যাখ্যা বার করেছিল। প্ৰভু জলে (নীরেতে ) ছিলেন—“নীরেত নিরমল কায়া নাম নিরঞ্জন”—তাই তার নাম নিরঞ্জন হয়েছে বলে, সাব্যস্ত হয়েছিল ।* মাণিক গাঙ্গুলী কিন্তু এপ্রকার শব্দতত্ত্ব স্বষ্টি করেন নি ; তিনি লিখেছেন— “নিৰ্ব্বিকার, নিরাকার, নিরঞ্জন তুমি,” ইত্যাদি (১২১৮)। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯

  • এই রকম Sound Philology যে কেবল গ্রাম্য কবির করতেন তা নয়, বিষ্ণুপুরাণ-কার নারায়ণের অর্থ দিয়েছেন—

আপো নারা ইতি প্রোক্ত আপো বৈ নরগুনব: | স্বজনং তস্য তাঃ পূৰ্ব্বং তেন নারায়ণ: স্মৃত: । ১, ৪. উ । [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড -ーヘヘヘ トヘヘヘヘヘヘ、ヘヘヘヘ اسی کی- می ی* -که .s " عه যাই হোক, ধৰ্ম্ম নিরঞ্জন যোগে বসলেন ও চৌদ্দযুগ ব্ৰহ্মজ্ঞানে কেটে গেল। তার পর হাই তুলতে গিয়ে উলুক (প্যাচ ) হঠাৎ বের হয়ে পড়লো। এই উলুকমুনি প্রভুকে চৌদ্দযুগ টেনে টেনে শেষকালে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন ও প্রত্নকে কিছু খাদ্য দেবার জন্য বললেন। প্রভুর সম্বল ছিল মুখের নিষ্ঠীবন মাত্র । তাই দিয়ে উলুকের প্রাণ বাচালেন ; নিষ্ঠীবনের দুই এক ফোটা উলুকের মুখের বাইরে পড়াতে সাগর সৃষ্টি হলো । সেই সাগর-জলে উভয়ে ভাসতে লাগলেন। এই উলুক-হুষ্টি ধৰ্ম্মসাহিত্যের একটা বিশেষত্ব। উলুক হিন্দুদের কাছে খুব ঘৃণ্য। বেদে বার চারেক উলুকের উল্লেখ পাই ; মৃত্যুর সঙ্গে উলুকের সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠ * লৌকিক ধৰ্ম্মেও উলুকের স্থান নাই। এখন প্রশ্ন—ধৰ্ম্মসাহিত্যে ও ধৰ্ম্মপূজায় এই উলুক কোথা থেকে এল। আমার মনে হয়—মধ্যযুগে যখন হিন্দুধৰ্ম্ম ও পুরাণকথা লোকের মধ্যে প্রচারিত হচ্ছিল, তখন বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বীরা অনেক ভাব গল্প প্রবাদ অজ্ঞভাবেই গ্রহণ করেছিল। লৌকিক ধৰ্ম্মে যমকে ধৰ্ম্মরাজ বলে—ত আমরা জানি ; যমের সহিত উলুকের সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠ। বোধ হয় যম ও ধৰ্ম্মরাজের অর্থ ও ভাবের গোলমালে—উলুক ধৰ্ম্মপূজকদের নিকট অত বড় আসন পেয়েছে। ধৰ্ম্মরাজ ও যমরাজের আসন-পরিচ্ছদাদির মধ্যেও গণ্ডগোল মাঝে মাঝে দেখা যায় । সাহিত্যপরিষং থেকে "ধৰ্ম্মপূজাবিধান" নামে যে গ্রন্থখানি ছাপা হয়েছে—তাতে দুই জায়গায় স্বষ্টিতত্ত্ব ব্যাখ্যাত হয়েছে। শূন্তপুরাণের বিশদবর্ণনা ধৰ্ম্মপূজাবিধানে পাওয়া যায় না। প্রভু শূন্যের মধ্যে জন্ম নিলেন ; ८मझे भूछहे অনিল । অনিল নিরঞ্জনকে বলছেন যে তিনিই পিতা, তিনিই মাতা—তিনিই আদিতে বিস্তুকের মধ্যে ছিলেন, ইত্যাদি । এই গ্রন্থের মধ্যে আমরা

  • “A bird, either the owl or the pigeon (kapota), is said to be the messenger of yama apparently identified with death. In another place a demoness is compared with an owl. In the Sutras the owl is the messenger of Evil Soirits.”—s Macdonell-Vedic Mythology. , *