পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や、

  • द्धि झछा डिन ইথে নাহি ভিন

মাণিক গাঙ্গুলী বোধ হয় কতকগুলি ঘটন। অপ্রাসঙ্গিক বিবেচনায় ত্যাগ করেছিলেন। পৌরাণিক আখ্যায়িকার প্রভাব ধৰ্ম্মমঙ্গলকারগণের মধ্যে যতটা দেখা যায়, প্রাচীনতর গ্রন্থে ততটা পাওয়া যায় না । শৃষ্ঠ্যপুরাণে ব্ৰহ্মা-বিষ্ণুশিবের স্থান যে খুব উচ্চে নয় তা আমরা দেখেছি ; তাদের জন্ম হলো আদ্যার কাম থেকে । তার! সব ধৰ্ম্মের নির্দেশমত যে যার কাজ ভাগ করে নেন । ধৰ্ম্ম চারি জনের উপর স্তষ্টি পরিচালনের ভার দিয়ে নিশ্চিন্ত হলেন । মাণিক গাঙ্গুলীও ভাই করেছেন বটে, কিন্তু প্রত্যেক দেবতার একটি করে শক্তি জুটিয়েছেন, যেমন ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী, শিবানী । তার পর দেখা যায় যে ব্ৰহ্মাদি তিনজন দেবভ ধৰ্ম্মের ধ্যানে বসেছেন এবং ধৰ্ম্ম তাদের পরীক্ষা করবার জন্য বের হয়েছেন । মাণিক এখানে দেবতাদের জবানী ধৰ্ম্মের ঘে স্তব জুড়েছেন সেটা একেবারে পৌরাণিক ছাদে গড় । মাণিক গাঙ্গুলীর ধৰ্ম্মমঙ্গলের সৃষ্টি-অধ্যায়ট পড়তে পড়তে বেশ দেথা যায় যে তিনি ধৰ্ম্ম দেবতার সম্মান ও ব্রহ্মাদির সম্মান দুই রাখবার জন্য ব্যস্ত। তাই ব্রহ্মাদির উৎপত্তি যে বৌদ্ধ-স্বষ্টিতত্ত্ব-সম্মত এটা জানাতে তিনি কুষ্ঠিত বলেই উলুক হটির পরেই প্রকৃতি হতে ব্ৰহ্মাদির উৎপত্তি দেখালেন। পুরাণে মত থেকে ধৰ্ম্মমঙ্গলকারগণ অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন । এতক্ষণ আমরা শূন্তপুরাণ ও ধৰ্ম্মমঙ্গলগুলির সৃষ্টিতত্ত্বের কথাই বল্লাম । এখন বৌদ্ধস্থষ্টিতত্ত্বের সঙ্গে এর মিল-অমিলগুলি দেখানো যাক । বুদ্ধদেব যদিও স্বষ্টিতত্ত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করতে নিষেধ করেছিলেন, তথাচ লোকে তার নিষেধ বেশীদিন মানেনি। ব্রাহ্মণ্য স্বষ্টিতত্ত্বের উপর তার নিজেদের হষ্টিতত্ত্ব গড়ে তুললেন। নেপালের বৌদ্ধধৰ্ম্মের মধ্যে "সৃষ্টিতত্ত্বের বেশ একটা ছবি আমরা পাই । তাদের মতে আদিবুদ্ধ হচ্ছেন পরমদেবতা। ওল্ডফিল্ড ( oldfield ) লিখেছেন— “The system of, theology taught in the Buddhist scriptures in Nepal is based upon a belief in the divine supremacy of Adi-Buddha as sole and selfexistent spirit pervading the universe.”-Sketches ol Mepal, Völ. Il, p. 1 i i. প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড

    • H (Iladgson ) নেপালের বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধে

থেঞ্চপ খেটেছিলেন, এ পণ্যস্ত অত পরিশ্রম আর কেউ করেছেন কি না সুন্দহ। তার মতটা নিয়ে উদ্ধত করে দিচ্ছি। স্বয়ম্ভূ-পুরাণ-মতে অ দিতে শূন্ত ছাড়া আর কিছুই ছিল না ; গুণকুরগুবৃ্যহে লেখা আছে যে যখন কিছুই ছিল না—তখন স্বয়ম্ভু ছিলেন এক ; কেবল তিনিই আদিতে ছিলেন বলে তাকে বলতে আদিবুদ্ধ। র্তার বহু হবার কামনা হলো—সেই কামনা হচ্ছেন প্রজ্ঞ। বুদ্ধ ও প্রজ্ঞার যোগে প্রজ্ঞা-উপায় বা শিব-শক্তি ব! ব্রহ্মা-মায়ার স্মৃষ্টি । এই কামনার উদ্রেকের সঙ্গে পঞ্চদেব বা পঞ্চবুদ্ধের জন্ম হলে । সেই পঞ্চ বদ্ধ হচ্ছেন বৈরোচন, অক্ষোভ্য, রত্নসম্ভব, অমিতাভ বা পদ্মপাণি, অমোঘসিদ্ধি। প্রত্যেক বুদ্ধের উপর এক এক বোধিসত্ত্ব সৃষ্টি করবার আদেশ হলো আদিবুদ্ধের । বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বের সম্বন্ধ পিতাপুত্রের ন্যায় । চার বুদ্ধ ও বুদ্ধকল্প গত হয়েছে। বৰ্ত্তমান কল্প হচ্ছে বোধিসত্ত্ব পদ্মপাণির রাজত্ব। পদ্মপাণি বোধিসত্ত্ব ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবকে সৃষ্টি করলেন—এবং জগতের স্বজন পালন ও সংহারের কাজে জুড়ে দিলেন। বৌদ্ধস্তষ্টিতত্ত্ব পড়লে বেশ দেখা যায় যে হিন্দুদের প্রধান দেবতাদের স্থান আদিবুদ্ধ, বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বেরও নীচে । শূন্তপুরাণ ওঁ মঙ্গল-সাহিত্যে আমরা দেখতে পেয়েছি যে ব্রহ্মাদি প্রধান দেবতার উৎপত্তি মোটেই হিন্দুশাস্ত্র-সঙ্গত নয়। এরা সকলে ধৰ্ম্মের কন্য। আদ্যার পুত্র-স্থানীয়। এখানে আমরা যেমন দেখলাম ব্ৰহ্মাদির অবস্থা, পরে প্রসঙ্গক্রমে হিন্দু অন্যান্য দেবদেবীর স্থান ও মানের কথা আসবে। সেখানে দেখা যাবে যে ইন্দ্রাদি দেবগণ ধৰ্ম্মের দেহারায় উপস্থিত হচ্ছেন ! শুধু তাই নয়, তারা ধর্মের জন্য রীতিমত তপস্তা করছেন। বৌদ্ধ (মহাষান) মতানুযায়ী হষ্টিতত্বের সঙ্গে শূন্তপুরাণোক্ত স্বষ্টিরহস্তের খানিকটা মিল আছে। মূলতত্ত্বটা বৌদ্ধমতের উপর প্রতিষ্ঠিত বলেই দেখা যাচ্ছে। আগামীবারে আমরা পণ্ডিতদের বিষয় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেখাবো যে শূন্তপুরাণের সহিত নেপালী বৌদ্ধধর্মের যোগ আরও কত ঘনিষ্ঠ । • প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়