পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె& حبیبی-حصیه ۶میته بیست - عصیه حجی এদেশের পথ চিনি না, মানুষদেরও জানি না, তুমি যদি আমার সঙ্গী হও । তোমার কোন কাজ নেই ত ? তার পাশের সঙ্গিনীর কথা আমার সত্যি মনে ছিল না। বন্ধটি আবার অট্টহাস্য করে উঠল, বঙ্গে—এ দেশের ত পথ চিনতে হয় না, সব পথই ত পথ, অপথ কোথাও নেই ; আর লোকদের চেনা—পথের ধারে কি অচেনা ঘরে যাকে ভালে লাগবে, ভালো বাস্তে ইচ্ছে করবে, তাকে বন্ধু বলে ডাক্লেই হলে, সে তোমার চিরপ্রিয় হয়ে গেলে –আর কাজের বালাই এখানে মোটেই নেই, সব সময়ের ছুটি—যে যা করবে তাই তার কাজ । হাওয়ায় গোলাপকুঞ্জট দুলে উঠুল, কানের কাছে এস্রাজের ঝঙ্কার উঠল, ফিরে দেখি বন্ধুর তরুণী সঙ্গিনীর চন্দনকাঠের এস্রাজটা আমায় ডাক্ল বন্ধু ! _ws জ্যোৎস্নাধৌত আকাশের নীলিমার মত নীলসাড়ি অরুণ ওচুমঞ্জরী জড়িয়ে ঝলমল করছে, যমুনাজলের মত কালে কেশে কেতকীকদম্বের মালা জড়ানো, চম্পকঅঙ্গুলির স্পর্শে সোনার তারগুলিতে ঝঙ্কার দিয়ে তারার আলোর মত পথ-ভোলানো নয়নে চেয়ে ডাকলে,— ‘বন্ধু ! ধীরে এগিয়ে পদ্মের পাপড়ির মত তার আঙ্গুলগুলি জড়িয়ে আমিও ডাক্লুম,—"বন্ধু ? তরুণী মুখে কিছু বল্পে না, এস্রাজের তারে কথা বেজে উঠলে,—এসো, আমি তোমার সঙ্গিনী হয়ে এ দেশ দেখাচ্ছি। অবাক হয়ে আমার পুরানো বন্ধুর দিকে চাইলুম। তরুণী এস্রাজটা গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে ঝর্ণার স্বরে বল্লে,—‘এসো বন্ধু! আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে চল্প। অ্যানাবুকিষ্ট বন্ধুটি মুচুকে হেসে বল্পে, ‘না, না, আমি একটুও রাগ করছি না। জানে, এ দেশে ঈর্ষাবিদ্বেষ নেই। কোন ভয় নেই তোমার। ওই দেখৃছ লালডোরকাটা বাসন্তী রংএর সাড়ি-পরা ছোট খুকীটি, একটা খরগোস কোলে করে আসছে, ওর সঙ্গে ভাব করে আমি এখুনি এখানে বঁাশী বাজাতে বসে যাব।' - অন্য সময় হলে আমার বোধহয় ভয় হোত। সে দেশের হাওয়ার কি গুণ ছিল,—আমার একটুও দ্বিধা সঙ্কোচ প্রবাসী—-জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড হলো নং, দু'জনে হাত ধরাধরি করে চর্ম;"সবচেয়ে আশ্চৰ্য্য—তরুণীর সঙ্গে আমি গান জুড়ে দিলুম, গলা ঠিক মিলে গেল, একটু বেস্থর হল না। সে থেমে বরে—তুমি গান্ধীযুগের লোক, নয় ? —ই । কেমন করে বুঝলে ? —তোমার ওই মোট খন্দরের সাজ দেখে । আমি ইতিহাসটা ভালো করে পড়েছি কিন, তাই তোমায় সব দেখাবার ভার নিতে সাহস হলো । 够 —সাজটা এদেশের মত করে নিতে পারলে ভালে৷ হয় বোধ হয় । —কি দরকার, এখানে যে যার নিজের খুসিমত সাজে। ওই ছেলেটা দেখে ইউরিপিডিস্-যুগের গ্রীকের মত সেজে চলেছে আর তার পাশের বন্ধুটি ক্লিয়োপেট্রার সময়ের ঈজিপিয়ান নারীর মত সেজে যাচ্ছে । তোমার কি কাপড়জামা বদলাতে ইচ্ছে করছে ? —ই, এ দেশের মত । - —বল্লুম ত এ দেশের কোন বিশেষ সাজ নেই, আপন সৌন্দৰ্য্যবোধ অনুসারে ধে যা-খুসি সাজে, যে কোন গতশতাব্দীর ষে কোন দেশের সাজ পৰ্বতে পারে। পথের দুইধারে গাছের সারির মধ্য দিয়ে চলুম। গাছের পাতার মাঝে মাঝে লাল নীল সাদা নানা রংএর আলো মাণিকের মত জলছে। বল্লুম-ওগুলো কি ইলেক্টকের আলো ? : হেসে বল্লে,—না, ইলেক্‌টিক কি, আমরা রেডিয়ামের যুগও পার হয়ে এসেছি। ওগুলো হচ্ছে মণি, ওই ইন্দ্রনীলমণি, ওই চন্দ্রকাস্তমণি.. —কি স্বন্দর দেখতে, কিন্তু তোমার এস্রাজটা যে ফেলে এলে ! —ফেলে এসেছি ক ? 螺洲 —ই সেই গোলাপ-গাছের তলীয় । –ও, তুমি আজ নতুন কিনা, তুমি জানো না এ দেশের কথা; এখানে প্রত্যেক জিনিষ হচ্ছে সবাইয়ের জিনিষ, যার যখন তেনি দরকার সে সে-জিনিষ ব্যবহার করে ।—আমি ত এখন এস্রাজ বাজাচ্ছি না, অবগু কোনো দোকানে" রেখে এলে ভালো স্থত—ত