পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা] د ه د م ه ۹ مه دمنه ده ،ح حم আমার কোন কথা বেন না বুঝতে পেরে তিনজনে আমার মুখের দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইল। . আমি আবার বল্লুম—কউ দাম, খুব বেশী নাকি ? তরুণী তথম মধুর হেসে বল্পে—এ আজ নতুন এসেছে। বন্ধু, এ দেশে ত কোন জিনিষের দাম দিতে হয় না ; সে ব্যবসার বর্বরতার যুগ অনেকদিন কেটে গেছে—আমাদের ত কোন টাকাই নেই! আমি কাপড়-জামাগুলো তুলে গুটিয়ে নিচ্ছি দেখে’ সে আরও হেসে বল্লে—ও কাপড়-জামার বোঝা কেন মিছে বয়ে মরূবে ? যদি পরে পরতে ইচ্ছে হয়, এ দোকানে কিম্বা যে-কোন দোকানে গিয়ে পাবে। আমার হাতের টাকা সিকি দুয়ানি দেখে ইরাণী • আনন্দে লাফিয়ে আমার হাতের উপর ঝুকে পড়ে’ নিজের হাতে ছিনিয়ে নিয়ে বল্লে—কি মজার জিনিষ, এগুলো কি ? —আমাদের দেশের টাকা । —আগেকার লোকগুলোর একটুও সৌন্দর্ষ্য-বোধ ছিল না, আমাদের দেশের ছেলেরা যে টাকাগুলো নিয়ে খেলা করে সেগুলো এর চেয়ে ভাল দেখতে। তাতে এর চেয়ে ভালো ছবি আছে –কি একটা ছবি-কার ? —আমাদের রাজার । —রাজ ! এই রকম রাজা ? রাজপুত বল্লে—চলে আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধুর কাছে, সে সব বলে দিতে পারবে—এ রাজা কোন যুগের কোন দেশের ছিল, এর মন্ত্রীরা কিরকম যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা कब्रुङ । আমি ধীরে বল্লুম—তোমাদের রাজা নেই ? তরুণী ধীরে আমার হাত ধরে বল্লে,—আছে বৈকি বন্ধু ! আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের রাজা ; আবার তুমি আমার রাজা, আমি তোমার রাজা ! এসো তোমায় বাজারটা দেখাই । বাইরে বেরিয়ে এলুম। দ্বধ}র ছোট ছোট বাড়ীর সারি, কোনটা কাঠ ও কাচের, কোনটা নানারংএর পাথরের, কোনটা পর্ণকুটার, কোনটা মন্দিরের মত ! মাঝে মাঝে বেণুপথ, তাকুঞ্জ, পুষ্পবীঞ্জিকা। বাড়ীর দেওয়ালে মাঝে সব পেয়েছির দেশে så A S SAAAS AAAAA AAS AAAAA AAAA AAAA MAeAAAS AAAAA AAAA AAAA T MeeS eSeS A S A S A S A S A S A S A S eAeeAeeS AAASASAS SSAS SSAS S S AAAA S సిగి মাঝে স্থনর স্বন্দর ছবি আঁকা ; থিয়েটারের, চুরুটের, ঔষধের বিজ্ঞাপন ইত্যাদি কোন বিজ্ঞাপনের বিক্র কাগজ মারা নেই, ব্যবসাদারদের সুপ্রচুর মিথ্যাকথায় ভরা লাল নীল নানা রংএর কাগজে কালীতে দেওয়ালগুলো কদৰ্য্য হয়ে ওঠেনি, এমনকি দোকানের সামনে কোন সাইনবোর্ডও নেই। জুতোর দোকানের সামনে মস্ত জুতো ঝুলছে, জামার দোকানের সামনে জামা –কি শান্ত স্নিগ্ধ সব ! শুধু মানুষের পায়ের চলার ধ্বনি, গানের স্বর আর হাসির শব্দ । এ পথ ছাড়িয়ে এক প্রশস্ত পথে এসে পড়লুম। এককোণে কয়েকটি মণির অক্ষরে জলছে, মালবিকা । বল্লুম—ওটা কি ! - 變 —ও হচ্ছে এ পথের নাম । মালবিকা এক প্রসিদ্ধা অভিনেত্রী ছিল, তার নামেই পথ। এ দেশে ত গভর্ণর বী বড়-লোক নেই যে তাদের নামে প্রতিদিনের চলবার পথ হবে ?—যারা সত্যিকার হৃদয়জয় করে যায়, যেমন শিল্পী কবি বৈজ্ঞানিক, তাদের নামেই পথ হয়। —আচ্ছা তোমাদের দেশে কি কোন গাড়ী নেই ? —আমরা পায়ে চলতে এত আনন্দ পাই যে গাড়ীতে চড়ি না। অবশ্য মোটর ট্রাম, সেই-সব বীভৎস শব্দকারী যন্ত্রযান-জন্তুগুলি নেই –আচ্ছা চলে মধুলিকা পথ দিয়ে । —মঞ্জুলিকা কে ? —সে ছিল এক গায়িক । স্বরসায়রের শতদলের মত ফুটে উঠেছিল। সে অফুরন্ত গান গেয়েছে আর তার বন্ধু ভক্তেরা তার গলার স্বরের সঙ্গে ঝুড়ির পর ঝুড়ি মাটি কেটেছে, রাস্তা তৈরী করেছে । - কিছুদূর গিয়ে এক শ্বেতপাথরের গম্বুজের সাম্নে স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে বল্লুম—কি স্বন্দর ! যেন এক-ফোট চোখের জল জমাট হয়ে গেছে, জ্যোৎস্নায় টলমল করছে। তরুণী বল্লে—ই, মধুলিকার গানে যে-সব শিল্পীদের প্রাণ জেগে উঠেছিল তারাই দিনরাত ধরে আপন প্রাণের ব্যথা ও আনঙ্গ দিয়ে গানের স্বরের সঙ্গে অশ্রজল মিশিয়ে এই নিৰ্ম্মল শুভ্র মর্থরতাজ গড়েছে –এ ত প্ল্যান করে, রাজমিস্ত্রীদের মাহিনী দিয়ে পাথরের পর পাথর বসিয়ে গড় নয় ?