পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ts <, е е S TT AAAA AA S ASAS A SAS SSAS SSAS AAAA AAAA SAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA S S S S —সাকী"। —সদার ! বেণুবনপথে জ্যোৎস্না থমৃদ্ধ করতে লাগল। ধীরে বল্লুম—অনেক ত ঘোরা হলো, এবার আমায় বাড়ীর পথ চিনিয়ে দাও । ६५ হেসে বল্লে—বাড়ী ? বাড়ী কি হবে ?. —এ দেশে কি সবাই পথে পথেই চলে, কেউ ঘর বাধে না ? কারুর কি নিজের বাড়ী নেই ? তোমার কি ঘর নেই বন্ধু ? তার চোখে জল ভরে এলো, ব্যথিত স্বরে সে বল্লে— এদেশে সব স্থখ, শুধু ওই দুঃখ । প্রেম এখানে স্বরাট, বলে প্রেমের মিথ্যা অভিনয় তো এদেশে চলে না। দুই তরুণ-তরুণী প্রাণে মিলিত হলে যেমন প্রেমের সঙ্গে আননে ঘর বাধে, তেমি তাদের প্রেমে কোথাও একটু ফাকি হলেই আবার ঘর ভেঙে পথে বেরিয়ে পড়তে झग्न । দুজনে স্তন্ধ হয়ে চলুম। বন্ধু ধীরে বল্পে—এতক্ষণ হাসি শুনে এসেছ, কান্নার স্বরের মত একটা বঁাশী শুনতে পাচ্ছ—নদীর ওপারে বসে’ কোন বিরহী এক বাজাচ্ছে – আমার চোপ অশ্রীতে ভরে’ এলো । —৪ই ীে পথের বঁাকে বঁাশগাছের তলায় কুড়েট দেখৃছ, আল্পনাকাটা আঙিনায় একটি মাটির স্বতপ্রদীপ জলছে, দরজার গোড়ায় মাটির মঙ্গল-কলস বসানো, দেওয়ালে শঙ্খ ও চরকা আঁকা, ওই যে বাশের বেড়ার গা ধরে ঝুম্কো-লত উঠেছে, তার পাশে একটা হরিণ চাদের দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে—ওই খড়ে-ছাওয়া মাটির বাড়ীটায় আমি রোজ রাতে গিয়ে ওই বঁাশীর চেয়েও করুণ স্বরে সেতার বাজাতে বসি,—ওই আমার একা থাকবার বাড়ী। ভাঙা গলায় আমি বল্লুম—এখন তুমি কি ওখানে যাবে ? অামি তবে বিদায় নি । স্নান হেসে সে বরে—না চলে, আগে তোমায় নদীর কোনো ময়ুরপঙ্খীতে ঘুম পাড়িয়ে আসি—তারপর যাব। পথের শেষে নদীতে এসে পৌছলুম। কি স্নিগ্ধ অমল প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ S M SAM MA AMA SAMAAA SAAAAA SAAAAA SAAAAAeSAAAAAA SAAAAA SAAAA SAS S S S [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড • ആ ു.** ബു ബു . . ۔ ۔ مہم مہم۔صہ ۔ صہ ہ ۔ ۔ ۔ہ ۔ہ ۔ ہ ، ہ ، ء ۔ ء ۔ صبح ء ۔ ۔ ۔ ۔ জলধারা ! তীরে মিলের কদর্ধ্যতা, জেটির গুদামের সারি নেই, মখমলের মত সবুজ ঘাসের পাড় আর গাছের সারি। শৃঙ্খল-মুক্ত নদী আনন্দ্রে চলেছে। প্রকাও কল-দৈত্যের মত ষ্টিমার-লঞ্চগুলো বুকে চেপে নেই, ছোট ছোট নৌকো বলাকার মত অমল জলে যেন ঘুমিয়ে আছে। দুজনে গিয়ে একটা তরীতে উঠলুম, পেছন থেকে কে ডাক্লে—‘বন্ধু ! দেখি আমার ’েই সোসিয়ালিষ্ট বন্ধু! আনন্দে তার হাত জড়িয়ে বল্লুম—এসো ভাই। তিনজনে নৌকোয় গিয়ে বসূলুম। মণি-প্রদীপের মত একটা রেডিয়াম হালের কাছে জলতে লাগল। সোসিয়ালিষ্ট বন্ধটি বল্লে—আজ তো রাতে উৎসবের আনন্দ দেখলে, কাল দিনে কাজের আনন্দ দেখাব। সবপেয়েছির দেশের আনন্দ যেমন অফুরন্ত, তার দেখাও অফুরন্ত ; সময় চাই । আজ ঘুমোও – “এক রজনীর তরে হেথায় দূরের পান্থ এসে দেখতে না পায় কি আছে এই সব পেয়েছির দেশে ।” আমি ধীরে বল্লুম-আজ ছোট ছেলে-মেয়ে থেকে বৃদ্ধ সবাইয়ের মুখে যে হাসি দেখলুম, গান শুনলুম, তাতেই আমি ধন্য হয়েছি। নৌকোর এক কোণ থেকে সেতার বের করে সাকী ঝঙ্কার দিলে। একবার সাকীর অরুণ-বরণ সাজের দিকে আর-একবার উন্মুক্ত নীলাকাশের অনন্ত তারালোকের দিকে চাইলুম। মনে হলো, স্বষ্টির আরম্ভ হতে মানুষের বুকে একটি ক্ষুধা—তা প্রেমের ক্ষুধা, স্বষ্টির শেষ পৰ্য্যন্ত বুঝি এ অগ্নিশিখা অনিৰ্ব্বাণ থাকবে –মানুষের সব স্থখ হতে পারে, কিন্তু লাখ লাখ যুগ গেলেও প্রেম-তৃষিত অন্তর জুড়াবে না । g সেতারের স্বরলোক চারিদিকে স্বষ্টি হয়ে উঠল। জ্যোৎস্নাধারার দিকে চেয়ে অন্তর কানায় কানায় অশ্রীতে কি স্বধারসে ভরে উঠল জানি না। ধীরে ধীরে চোখ বুজে এলো । 舉 碘 碘 籌 碘 গিঙ্গার ঘড়িতে রাত এগারোটা বাজ্জ্বল। বারান্স