পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০২ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ SeSSeSSeSSeSSeSSeA MA AMMMM AA AMAAA AAAA AAAAeeMAMMAMAAA AAAA AAAA AAAASeM M AAAS S ASAAeeAAA AAAA AAAA AAAAeeM MAeMAe AA MeM MMM SAAA MAAA S AAAAA AAAA AMMM AA AMM AMMAM AAAAA [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড রমল৷ .( 8 ) রজত ঘরে যাইবে বলিয়া বাহির হইল বটে কিন্তু তাহার ঘরে যাওয়া হইল না। 'পথেই চাকর মনিয়া আসিয়া জানাইল, সাহেব ডাকিতেছেন। দোতলায় যোগেশ-বাবুর লাইব্রেরীতে মনিয়া লইয়া গেল । কালো ওভাবৃকোট মুড়ি দিয়া ইজিচেয়ারে হেলান দিয়া শুইয়া যোগেশ-বাবু একখানা ৰই পড়িতেছিলেন, রজত প্রবেশ করিতেই বইখানি টেবিলে বইয়ের গাদায় রাখিয়া চশমাটা খুলিয়া বলিলেন,–আস্বন, আমি ভাবছিলুম আপনি বেড়াতে গেছেন । নমস্কার করিয়া রজত জানলার কাছে এক চেয়ারে বসিল, ধীরে ৰলিল,—ন, এই বেরুচ্ছিলুম। —বেশ বেড়াবার জায়গা, কেমন লাগছে আপনার ? —খুব স্বন্দরই লাগছে, কলকাতার ধোয়া খেয়ে c१८:न उठ-- —ই, আমারও জায়গাটা ভারি পছন্দ, এই ধরুন retire করে’ পাচ বছর হয়ে গেল বরাবরই এখানে আছি, তবে গ্রীষ্মকালটা কোন hillএ চলে যেতে হয় । –পাচ বছর আছেন ? --ই, একবার বেড়াতে এসে আমার স্ত্রীর এ জায়গা ভারি পছন্দ হয়েছিলো, তাই পেনসন নিয়ে এইখানেই বাড়ী কবুলুম। ত, তাকে আর এ বাড়ী ভোগ করতে হল না, এসে প্রথম বছরেই মারা গেলেন—ওই বে পাশের ঘরট, ওই ঘরটায়, ওটা বন্দই থাকে— বৃদ্ধের গম্ভীর কণ্ঠ উদাস হইয়া উঠিল, তার শুভ্র ক্রর তলায় গ্রন্থপাঠক্ষিণ বড় বড় কালো চোখ জলছলছল হইয়া আসিতেছে দেখিয়া রজত কথার ধারাট। অন্যদিকে চালাইবার পথ খুজিতে লাগিল, কিন্তু কিছু বলিতে ন৷ পারিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। বৃদ্ধ আপনাকে দমন করিয়া ধীরে বলিলেন,—ওই মা-হারা মেয়ে আমার মা হয়ে আছে । কোথায় মাধবী-মা ? —তিনি নীচে আছেন । —আচ্ছা থাক্ । —আপনার কোনো ছেলে নেই ? —ছেলে ? কি জানো বাবা, তাদের নিজের সংসার হয়েছে, বুড়ো বাপের সঙ্গে কি সম্বন্ধ বলে ? ই; আছে বৈ কি, এক ছেলে রাওলপিণ্ডিতে ডাক্তার, আর এক ছেলে সিমলা সেক্রেটেরিয়েটে আছে,—আর মেয়েই বা কি আপন বলুন, মেয়েকেও ত পরের ঘরে পাঠাবার জন্তে মানুষ করা, তা হলেও সে মেয়ে । এই ঘরভরা বই দেখছেন, এই বই আর মা-টিকে নিয়ে বেঁচে আছি। যাক, আপনাকে ডেকে পাঠালুম, আপনার ছবি ভারী ভালো লেগেছে ; তুলির টানগুলো দিয়েছেন, যেমন bold তেন্নি আইডিয়ায় ভরা। ভাবলুম কত রাজ্যের বই কিনে ত টাকার শ্রাদ্ধ করছি, একজন দেশের আর্টিষ্টের একটু সাহায্য করা যাকৃ—তাই— —আমি আপনার ছবি যথাসাধ্য ভালো করেই অঁাকবো-ছোট বেলা থেকেই ছবি আঁকার সুখ, সারাজীবন যদি রাখতে পারি— —ই, ছবি একে এ দেশে পেট চলা মুস্কিল, তবে আপনার ছবি,—না, ছবি আঁকা কিছুতেই ছাড়বেন না । আর দেখুন, মাধুর ছবি আঁকার ভারি সখ, ওকে একটু শিখিয়ে দিতে হবে, ও নিজে চেষ্টা করে যা একেছে, ওর একটা talent আছে বোধ হয় ; না, আপনি জীবনে যে professionএই যান, ছবি আঁকা ছাড়বেন না। যোগেশ-বাবু নীরব হইলেন। কথা শেষ হইয়া গেল ভাবিয়া রজত উঠিয় দাড়াইতেই যোগেশ-বাবু বলিলেন,— ও কি উঠছেন যে, বসুন। রজ ত তাহার দুঃখরেখাঙ্কিত বাদ্ধক্যজীর্ণ মলিন মুখের দিকে চাহিয়া বসিল । সন্ধ্যার ছায়ায় সেই কালো ওভাবুকোট-জড়ানো মূৰ্ত্তিকে বড় করুণ দেখাইতেছিল। বাধানে দাতগুলি বাহির করিয়া মৃদু হাসিয়া যোগেশ-বাৰু উদাস স্বরে বলিলেন,—কি জানেন রজত-বাবু, স্থখ জিনিষটা, ওটা বড় রহস্যের, বড় আশ্চর্য্যের । ও কথন আসে কখন যে যায়,—আজ আপনাকে দেখে কেমন একটা আনন্দ হচ্ছে,—আর ওই রমলাকে দেখে কাল যে কি