পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মহে r জার্মাদের খাদ্যে পলীয়ভাগ অল্প হইতেছে। কিন্তু লেখক সে মত জগ্ৰা করিয়া “সহজ পরিশ্রমী ? ] বয়স্ক বাঙ্গালী ভদ্রলোকের দৈনিক খাদ্যে" প্রায় s তোলা পলীয়, تا ۹ ه পললীয়, e তোলা স্নেহ जांक्छक बजिब्रांप्छन । अ३ मण्ङब्र cईंडू पाश३ इ७क, भांमा ८भाः २७ তোলা হয়, ভইটসাহেবের প্রমাণের অৰ্দ্ধেক । তা ছড়ি, সে ভদ্রলোক কোন সৌখিম বাৰু বাৰ্হার এত অল্প জাহারে দিন চলে! এত বিচারের পয়ে লেখক কিন্তু ভোক্তার ঘাড়ে সব মাত্রী চাপাইয় দিয়া মহর্ষি চরকের শরণ লইয়াছেন। লইয়াছেন বটে, কিন্তু তাইকে বিপন্ন করিয়াছেন। কারণ চরকসংহিতার যে স্বত্র উদ্ধত হইয়াছে তাঁহাতে লেপকের বিচার্য বিষয় নাই । চরক বলিতেছেন, মাত্রাভোজী হুইবে । লেখক জানিতে চান, আমিষ ও নিরামিষের ভাগ কত হুইবে । “খাদ্য সম্বন্ধে বিচার" নামক পরিচ্ছেদ সম্বন্ধে দুইএক কথা লিখিবার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে গৃভোজন হইয়া গিয়াছে। গুরুভোজন দুই কারণে হয়। মাত্র-জন্ত গুরু, আর সংস্কার-জন্ত গুরু। অর্থাৎ লঘু খাদ্য, যেমন ভাত, অধিকমাত্রায় খাইলে গুরুভাজন হয়, আর চলের পিঠ অল্পমাত্রায় খাইলেও গুরুভাজন হইতে পারে। খাদ্যকথা" সংস্কার-জন্ত গুরু হইয়াছে, আমার সমালোচনা মাত্র-জন্ত গুরু প্রবাসে বঙ্গসাহিত্য চর্চা । ২৩৫ হইয় পড়িল। তথাপি আর একটু লেখা কতব্য মনে করিতেছি। “খাদ্যকথার" লেখক গ্ৰন্থখানি আমায় তাহার শ্রদ্ধার উপহার সরূপ দিয়াছিলেন। চীল কঁাড় হউক, আর্কড়ি হউক, শ্রদ্ধায় প্রদত্ত হইলে উত্তম বলাই শিষ্টাচার, আমিও উত্তম বলিয়া গ্রহণ করিতে পারিতাম। কিন্তু তাঁহাতে কাহারওর হিত হইত কি ? দেশের কত লোক দেখিতেছি, বসনে ও ব্যসনে পয়সা খরচ করিতেছে, কিন্তু অশনে অতিশয় মিতব্যয়ী। রাঢ়ের বিশেষতঃ এই বাঁকুড়া জেলার লোকগুলির শীর্ণ ও বৃক্ষ দেহ দেখিলেই মনে হয়, ইহাদের জাহীরে পলীয় ও স্নেহের অত্যঙ্গ ভাগ। অমুসন্ধামেও জানিতেছি, উহাই বটে। কে তাহাদিগকে বুঝাইয়। বলিবে x SBBB BBS K HBBB BBBDDDS BBBDD DBD DDS ভযা ও পরিভাষা ব্যবহার করিতেই হইবে। নতুবা জ্ঞান প্রচার হইবে ন । ডাক্তারী ভাষা ও পরিভাষার নিদান অন্বেষণ করিতে গিয় অশিষ্ট হইয়াছি। বড় দুঃখে হইয়াছি। বিদ্যর এ-দেশ সে-দেশ নাই। তিনি সর্বত্র পূজনীয়। কিন্তু পূজার বিধি সবদেশে সমান নয়। একথা আমাদের ডাক্তারদিগকে স্মরণ করাইয় দিতে হইবে । কারণ তাঙ্কার দেশ ভুলিলেও দেশ তাহাদিগকে ভুলিতে পাবিলে না। . শ্ৰীযোগেশচন্দ্র রায় প্রবাসে বঙ্গসাহিত্য চর্চ প্রবাসে মাতৃভাষার সাধন ও প্রচারের উদ্দেশ্য যে শুধু মহৎ তাহা নহে ; ইহা আমাদের আত্মরক্ষা ও আত্মপুষ্টির জন্য নিতান্ত প্রয়োজনীয়। এ সঙ্কল্পের দুটি দিক আছে। একটি ভিতরের, অন্তটি বাহিরের। ভিতরের দিক, অর্থাৎ আমাদের নিজেদের দিক । আমরা প্রবাসী বাঙ্গালী, সাহিত্যের কেন্দ্র হইতে দূরে। বাঙ্গলা ভাষার সঙ্গে আমাদের সংশ্রব ততটা ঘনিষ্ঠ নহে। এমন কি, হয়ত যুক্ত প্রদেশে এখনও অনেক বাঙ্গালী আছেন ধাহাদের পক্ষে নির্দোষ বাঙ্গলা বলিতে কিম্বা লিখিতে পারা সাধ্যাতীত না হইলেও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। শুনিয়াছি এমন এক সময় ছিল যখন কোন কোন মাতৃভাষায় একেবারে অজ্ঞ ছিলেন । এ সম্বন্ধে হাস্যকর অনেক গল্প আছে, তাহার অবতারণা এখন করিব না। ’ প্রবালে যদি মাতৃভাষা চচ্চর্ণ ও প্রচারের স্থবিহিত ব্যবস্থা করা যায়, তাহা হইলে নিজভাষা সম্বন্ধে আমাদের ५ चशबान गप्यू4 जून श्रद। भश्या भांज३ भाङ्डाषांद्र গৌরব করে। বাক্ষলাভাষাও বাঙ্গুলীর বড় আদরের বস্তু। ; একখা সকলেই স্বীকার করিবেন যে মাতৃভাষার সঙ্গে সংযোগ রপিলার জন্য আমাদের সর্বদ। সচেষ্ট থাক। আবশ্যক। প্রবাসে সাহিত্য-সভার প্রথম সার্থকতা এই যে, ইহার সাহান্যে বাঙ্গলা ভাষার ও বাঙ্গল সাহিত্যের সঙ্গে এক অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ ঘটবে। এটি আমাদের নিজেদের দিক । বাঙ্গলা সাহিত্যের চর্চা দ্বারা বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনের ঐক্য ও সামঞ্জস্য সুসম্বদ্ধ হয়। সাহিত্য জাতীয় জীবনের সুদৃঢ় গ্রন্থি। আমরা বাঙ্গালীর যে যেখানেই থাকিনা কেন, যত দূরেই বাস করিনা কেন,সকলেই যে এক পরিবার-ভুক্ত, আমাদের সাহিত্য তাহা স্মরণ করাইয়া দেয়। বাঙ্গালীর জাতীয় চরিত্র, ভাব ও চিস্ত বাঙ্গলা সাহিত্যে পরিস্ফুট। স্বদেশগীতি, ভক্তি-প্রবণতা, ভাবুকতা, কাব্যাকুরাগ বাঙ্গালীর জাতীয় চরিত্রের বিশেষত্বের মধ্যে গণ্য। যখন বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম্, রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাংলা, দ্বিজেন্দ্রলালের ‘আমার দেশ', রায়ের ‘নিৰ্ম্মল সলিলে, আমাদের কানের জিঞ্জৰ দিয়া মরমে প্রবেশ করে তখন. বাঙ্গালীর হৃদয়ে যে স্বদেশ-প্রেমের তড়িত-স্রোত বহে, এমন আর কিসে হয় ? :