পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミネb » به هم رسمی به همراه مه ها দুৰিত। ইচ্ছাপূর্বক বা অনিচ্ছাক্রমে ও অজ্ঞাতসারে তিনি প্রথম শ্রেণীর স্বরাজকে সৰ্ব্বপ্রকার গুণশালী বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন, দ্বিতীয় শ্রেণীর স্বরাজের অর্থাৎ সম্পূর্ণ স্বাধীনতার ভাগ্যে জুটিয়াছে সৰ্ব্বপ্রকার কু-অভিসন্ধি ও দোষ। তাহার মতে, প্রথম শ্রেণীর স্বরাজ পাইতে হইলে শাসনযন্ত্রকে কাৰ্য্যদক্ষ করা চাই। যেন পূর্বস্বাধীনতালি, ভারতবাসীর রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মাদিগকে কাৰ্য্যদক্ষ করিতে চান না। প্রত্যেক ভারতবাসীই ইহা আকাঙ্ক্ষা করেন, র্তাহার রাজনৈতিক মত যাহাই হোক না কেন । র্তাহারা সকলেই চান যে ইংরেজের অধীনে ভারতবর্ষের সরকারী কৰ্ম্মচারীরা যতখানি কৰ্ম্মকুশল ও দেখাইতেছেন, স্বাধীন ভারতের কৰ্ম্মীরা তাহা অপেক্ষা অধিক দেখান। হইতে পারে যে প্রায় সকল ইয়ুরোপ-অধিবাসীর মত লর্ড লিটরেনও ইহাই মত যে ইংরেজের কর্তৃত্ব ও পরিচালন ব্যতীত ভারতবর্যের শাসনকাৰ্য্য কখনও দক্ষতার সহিত চলিতে পারে না । কিন্তু সে হইল এক কথা এবং ভারতবাসীরা, কৰ্ম্মীদের কে কত কাজের তাহা না ভাবিয়া, কে কোন জাতির সেই কথাই বেশী করিয়া ভাবে, ইহা বলা আরেক কথা। আমাদের মনে হয় না, যে, ভারতবাসীর জাতিগত এমন কোন অক্ষমতা আছে যাহার জন্য তাহারা সুদক্ষ শাসক হইতে পারে না। এমন কি মডারেটু ধুরন্ধর প্রযুক্ত শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী মহাশয়ও যে তাহা মনে করেন না, তাহা তাহার এক বক্তৃত৷ হইতে বুঝা যায়। তাহাতে তিনি বলিয়াছেন, ভারতবর্ষ যে-কোন সময়ে অন্ত দেশের লোকদের সমকক্ষ লোক কৰ্ম্মক্ষেত্রে উপস্থিত করিতে পারেন। লর্ড লিটন মনে করেন, যে, গঠন করিবার ইচ্ছ। এবং গঠন-কার্য্যের ক্ষমতা নিয়মতন্ত্রাকুযায়ী-স্বাধীনতাপ্রয়াসীগণ অথবা সোজা কথায় মডারেটগণ একচেটিয়া করিয়া লইয়াছেন। ইহা সত্য নয়। ভারতবাসীদের সকলেই আমরা ভাই বলিয়া মনে করি, অতএব তাহার এই ধারণার সমালোচনা করিব না । মডারেট বা চরমপন্থী কাহারও যদি অন্যদল অপেক্ষা কোনও গুণ অধিক থাকে, তাহ সমানভাবেই দেশের কাজে লাগিবে। তাহা লইয়া আমরা গুহবিবাদ জন্মাইব না। প্রবালী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ AA MAAA AAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS * [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড লর্ড লিটন মনে করেন, যে, এই নিয়মতন্ত্রাঙ্ক উন্নতির প্রয়াসটির ভিত্তি জাতিতে জাতিতে প্রীতির উপর, এবং অন্তটির ভিত্তি জাতীয় বি.দ্বষ। আমাদের ভিতর কে অন্যের অপেক্ষা অধিক পরিমাণে ভালবাসিতে পারেন, বা বিদ্বেষ পোষণ করেন, সেকথার অালোচনা আমরা করিব না। কারণ, বিদেশীদের প্রশংসা বা নিন্দাকে উপলক্ষ্য করিয়া গৃহবিবাদের স্বষ্টি করা মূখতা। কিন্তু সাধারণ ভাবে কয়েকটি মন্তব্য প্রকাশ করা চলে। মানবচরিত্রের উন্নতি অসীম, তাহার সীমানির্দেশ করা চলে না ; তাহার বিকাশও সীমাবদ্ধ নয়। কিন্তু এখনও উহা সৰ্ব্বাঙ্গীন বিকাশ লাভ না করার জন্য, যে-কোন দেশে বা কালে আংশিক বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের জন্য যত প্রকার প্রচেষ্টার কথা আমরা জানি, কোনটাই অল্পবিস্তর বিদ্বেষ বা ঘৃণার ভাব হইতে মুক্ত হইতে পারে নাই। লর্ড লিটন নিশ্চয়ই জানেন, যে, তাহার নিজের দেশে, যেখানে জাতিগত স্বাধীনতা লাভের কথাই ওঠে না, সেখানেও নিয়মতন্ত্রানুযায়ী অধিকার লাভের চেষ্টার সময় অনেকবার যথেষ্ট রক্তপাত হইয়াছে, সকলে সকলের উপর গোলাপজল কেওড়া ছড়ায় নাই, রক্তরাঙা হোলী থেলিয়াছে । এবং তাহার দেশে রাজহত্যা পৰ্য্যস্ত হইয়াছে। কানাডা স্বায়ত্তশাসন লাভ করিবার পূৰ্ব্বে সে দেশে অনেকগুলি বিদ্রোহ-বিপ্লব হইয়া গিয়াছে। ইংরেজ যে-মিশরকে জাতিগত স্বাধীনতা দিয়াছেন বলিয়া ঘোষণা করিতেছেন, সেই মিশরেই ত সম্প্রতিও রক্তপাত হইয়া গিয়াছে। লর্ড লিটনকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যান্য অংশের ইতিহাস বা জগতের অক্ষান্ত দেশের ইতিহাস হইতে উদাহরণ আর বেশী বোধ হয় দেখানর প্রয়োজন নাই। হিংসা বা জাতীয় বিদ্বেষকে আমরা বিন্দুমাত্রও সমর্থন করি না। আমরা কেবল এইটুকু বলিতে চাই, যে, ইতিহাসে যখন দেখা যাইতেছে, যে, স্বাধীনতা লাভের প্রচেষ্টার মধ্যে প্রায়ই জাতীয় বিদ্বেষ ও রক্তপাতের আবির্ভাব হইয়াছে, তখন যাহা যথার্থই অহিংসামূলক এমন একটা আন্দোলনের ভিতর যদি দুই-চার ক্ষেত্রে বিদ্বেষ বা হিংসার প্রকাশের পরিচয়