পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Со е তাহারা যতুটা লাভ করিতে পরিবেন, দরিদ্র বিধ্বস্ত বিরুদ্ধ-ভাবাপন্ন ভারতবর্গে বাণিজ্য করিয়া তাহ পাইতে পারেন না। R ভারতবর্ষের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের বিপক্ষে লর্ড লিটনের সর্বাপেক্ষ প্রবল যুক্তির পরিচয় এই কয়টি কথায় পাওয়া যায় : "That is a goal which the British .....can never accept...... , but must contest every inch of the way with them. To prevent its ever being reached, the whole strength of our people weuld, if necessary, be used.” জগতের অতীত ইতিহাসে আমরা অনেক জাতিষ্ট স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে বলিয়া পাঠ করি। বিগত মহাযুদ্ধের মধ্যে এবং পরে, অনেক জাতিই স্বাধীন হইয়াছে। সত্য হউক বা না হউক, ইচ্ছা করিলে বঙ্গ যাইতে পারে, যে, স্বাধীনতা লাভের ফল তাহাঁদের পক্ষে মন্দ হইয়াছে। বলা যাইতে পারে, লে, অধীনতা বা আংশিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণ স্বাধীনতার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । বলা যাইতে পারে, অন্য জাতির পক্ষে ধেমনই হোক, স্বাধীনত। ভারতবর্ষের পক্ষে অকল্যাণকর। ইচ্ছা করিলে বলা যাইতে পারে, সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ ও বক্ষা করিবার শক্তি ই ভারতের নাই। কিন্তু লর্ড লিটন এই সকল বাধি গতের একটিও উচ্চারণ করেন নাই । তিনি সোজাস্বজি বলিতেছেন, “তোমরা যাহাতে স্বাধীনতা লাভ করিতে না পার তাহার জন্য আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিব।” ইহাকে ‘মোটা লাঠির যুক্তি' বলা চলে, অর্থাং আমার যুক্তি যেমনই হোক, তাহ থাক্ বা না থাক, লাঠির জোরে তোমাকে আমার আদেশ মানিতে বাধ্য করিব। কিন্তু ভারতীয় স্বাধীনতা-প্রয়াণীর দল অহিংসাবাদী, তাহারা মোট বা সরু কোনপ্রকার লাঠি অন্তের উপর প্রয়োগ করিতে চান না, সুতরাং মোট লাঠি দেখিয়া ভয় না পাইতে পারেন। আদর্শকে লুক্ষ্য করিয়া যাহারা চলেন, পার্থিব ক্ষতি, পাশব শক্তি, দুঃখ যন্ত্রণ, এমন কি মৃত্যুভয়ও তাহাদিগকে পথভ্রষ্ট করিতে পারে না । ষে-পথে তাহারা চলিয়াছেন, তাহা অস্বাভাবিক, নীতিবিরুদ্ধ, ও

  • - প্রবাসী--জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯

AAMAMA eAMAMAMAMMAMM AAMAMAMAMAMMAMMM AAAA AAAA AAAAMeMMeMAMAAMA eAeeeMSAMAeMA AeAeJS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড ধৰ্ম্মবিরোধী, ইহা প্রমাণু কুরিতে পারিলে তবেই তাহদিগকে বিরত করা যায় । তাহার, হয় মৃত্যু নয় জয়, এই পণ করিয়াই বাহির হইয়াছেন। মৃত্যুকে তাহারা বরণ করিতে প্রস্তুত,-কিন্তু অন্তকে -মৃত্যুদণ্ড-দিতে বা লঘুতর আঘাত করিতেও তাহার চান না। জরাগ্রস্ত যাহার, তাহারা বিপদের আশঙ্কা বর্জন করিয়া আরামে থাকা শ্রেয় মনে করেন, ঐশ্বৰ্য্যলাভকে পুরুষত্ব ও আত্ম- ' সম্মানের উপরে স্থান দেন, কিন্তু এই আদর্শপন্থীর দল চিরনবীন অৰ্ব্ব চীনের দল। অন্যের কাছে যাহা উন্মাদের কল্পনাপ্রস্থত আকাশকুন্ত্রম মাত্র, তাহারই অনুসরণে র্তাহার জীবন উৎসর্গ করেন। লর্ড লিটনের যুক্তিগুলিকে যদি স্বাগপ্রস্থত বলিয়া ধরা যায়, তাহা হইলে উহা বোঝা সহজ হয়। কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের বিরুদ্ধাচরণ করিবার নৈতিক কি কারণ থাকিতে পারে ? ভবিষ্যতেও ভারতবর্ষের স্বাধীনতালাভের প্রচেষ্টাকে বাধ, দিবার এমন কি কারণ থাকিতে পারে যাহা শাশ্বত ধৰ্ম্ম নীতি ও ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত ? * কাঠবিড়ালকেও যেমন বিড়াল বলা যায়, লর্ড লিটনের কন্সটিটিউশ্যন্তাল ইণ্ডিপেণ্ডেন্স ও তেমনি ইণ্ডি- ' পেণ্ডেন্স, বা স্বাধীনতা। কাঠবিড়াল যেমন বিড়ালের মত ইঁদুর ধরে না, লাটসাহেবের নামিত ইণ্ডিপেণ্ডেন্স ও তেমনি প্রকৃত স্বাধীনতার কাজ করিতে পারে না। কথায় যেমন চিড়া ভিজে না, তেমনি শুধু নাম দিলেই আসল জিনিসের কাজ পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষের এক রাজনৈতিক দল যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা চায়, তাহ রেখাল বা জাতিগত বলিয়। লাটসাহেবের . পছন্দসই নহে, কিন্তু আমেরিকার ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকের অষ্টাদশ শতাব্দীতে যে স্বাধীনতা লাভ করিয়াছিল, তাহ রেখাল বা জাতিগত ছিল না বলিয়া কি তাহা ব্রিটিশ জাতির খুব পছন্দসই হইয়াছিল? বীরের সম্মান { আনন্দ-বাজার পত্রিকায় নিম্নমুদ্রিত “নিবেদন” প্রকাশিত হইয়াছে।