পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిeఫి খবরের কাগজ নিন্দা করিয়া লিখিয়াছেন, যে, সভাস্থলে যে মহিলাটি প্রবন্ধ পড়েন, তিনি বিলাতী কাপড় পরিয়া গিয়াছিলেন, আর-একজন বর্ষীয়সী মহিলা বিলাতী কাপড় পরিয়া গিয়াছিলেন, ইত্যাদি । এই-সব কথা জন্ত একটি বাংলা কাগজ উদ্ধৃত করিয়াছেন। সংবাদগুলি কিন্তু সত্য নহে। প্রবন্ধপাঠিকা খন্দর-পরিহিতা ছিলেন। বর্ষীয়সী মহিলা মহাশয় দেশী গরদের থান পরিয়াছিলেন। র্তাহাদের নিকটে উপবিষ্ট অন্ত একজন মাননীয়া মহিলা দেশী রেশমী কাপড় পরিয়াছিলেন। সংবাদের সত্যতা ত এইরূপ । “বাণী-ভবনের" বিরুদ্ধে মানুষের মনে মন্দ ধারণ। যাহাতে না জন্মে, তাহার জন্য অসত্য কথার প্রতিবাদ করিলাম। নতুবা তাহা করিবার প্রয়োজন ছিল না। প্রসঙ্গক্রমে আরও দুই-একটি কথা বলা আবশ্যক। যে খদ্দর পরে না, তাহার দ্বারা কি কোন ভাল কাজ হইতে পারে না ? বর্তমান সময়ে হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, ব্রাহ্ম অনেকে খন্দর পরেন, অনেকে পরেন না। এখন আমাদের মন উত্তেজিত ও অজ্ঞাতসারে পক্ষপাতগ্রস্ত রহিয়াছে। এখন তাহারা খন্ধর পরেন, র্তাহার, র্যাহারা উহা পরেন না, র্যাহাদিগের নিন্দা করিতে পারেন ; র্যাহারা খদ্দর পরেন না, তাহারা খন্ধরপরিহিতদের নিনা করিতে পারেন। সেইজন্য গত দুই-তিন বৎসরের কথা ছাড়িয়া দিয়া, প্রত্যেক শ্রেণীর লোকদিগকে বলি, ধে, আপনারা নিজের নিজের সম্প্রদায়ের সাধু ও সংকৰ্ম্মশীল লোক বলিয়া যাহাদিগকে গণনা করেন, মৃত বা জীবিত সেই-সব লোক ১৯১৮ সাল বা তৎপূৰ্ব্বে খঙ্গর পরিতেন কি না, তদ্বিষয়ে অনুসন্ধান করুন। দেখিতে পাইবেন, যে, তাহার খন্দর না পরিলেও চরিত্রে ও কৰ্ম্মে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। এখনও প্রসিদ্ধ ও অপ্রসিদ্ধ বিস্তর লোক আছেন, র্যাহার কোন সময়েই বা সব সময়ে খন্দর পরেন না, অথচ সংকৰ্ম্মশীল। আমরা ধর্মর পর ভাল মনে করি, কিন্তু খন্দর র্যাহারা পরেন না, তাহাদিগকে ঐ কারণে হেয় भट्न रुब्रिग्न प्रयञ्च९ श्रश्कांदब्र शौऊ झझे ना । शृणब्र श्रृंब्रिग्नां দ্বাৰ্ত্ত ও অহঙ্কত হওয়া যায় ; সংকৰ্ম্মশীল ও নম্রও প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড ^^^^^^^ *^* SAeeSAMAeeMAeeAeAeSAAA BBS হওয়া যায়। খন্ধর না পরিয়াও দুৰ্বত ও অহঙ্কত কিম্বা সচ্চরিত্র ও বিনয়ী হওয়া যাu । সহযোগিতা বর্জন এবং খন্দর পরিধান করিয়া যাহারা অহঙ্কত ও অন্ত লোকদের সম্বন্ধে অসহিষ্ণু হয়, মহাত্মা গান্ধী তাহাদের মনের ভাব ও আচরণ নিন্দনীয় বলিয়া গিয়াছেন । মৌলানা হসূরৎ মোহানীর শাস্তি মৌলানা হস্রং মোহানীর বিরুদ্ধে গবর্ণমেণ্টের মোকদমা ও তাহার শাস্তির বৃত্তান্ত অন্যত্র প্রদত্ত হইয়াছে। র্তাহার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগে তাহার শাস্তি হইয়াছে, অগুটিতে শাস্তি হওয়া উচিত কি না, তদ্বিষয়ে বিচাবুক, বোম্বাই হাইকোর্টের মত জানিতে চাহিয়াছেন। এই কারণে এখন এই মোকদ্দমা ও শাস্তি সম্বন্ধে কোন আলোচনা করিতে আমরা অনিচ্ছুক। কিন্তু এইটুকু বলিয়া রাখি যে মৌলানা সাহেবের আত্মপক্ষ-সমর্থন আমরা স্তায় ও যুক্তিসঙ্গত মনে করি। চাল রপ্তানীর ফল যখন ভারত-গবর্ণমেণ্টের আদেশ অনুসারে বিদেশে চালের রপ্তানী বন্ধ ছিল, তখন উহার দাম কিছু কম ছিল। রপ্তানী আবার আরম্ভ হওয়ায় দাম ক্রমাগত বাড়িতেছে। তাহা আমরা দৃষ্টান্ত দ্বারা বুঝাইতেছি। গত ১২ই মার্চ হইতে ১৭ই মার্চ পৰ্য্যন্ত মগরাহাটে আতপ চালের দর মণকরা ৬০/১৫ হইতে ৭% পর্য্যন্ত ছিল। গত ৫ই মে, অর্থাং রপ্তানী আরম্ভ হইবার ছমাসেরও কম সময়ের মধ্যে ৮৭৩/৪ হইতে ৯০ পর্য্যন্ত দর উঠিয়াছে। আমরা ১০ই মে এই কথা লিখিতেছি। ইতিমধ্যে সম্ভবতঃ দর আরও চড়া হইয়াছে। ১১ই ১২ই নাগাদ ১৯ টাকা মণ হইবে; ব্যবসাদারেরা এইরূপ অনুমান করিয়াছিলেন। সিদ্ধ চালের বাজার মধ্যে খুব চড়িয়া গিয়াছিল ; এখন কিছু নরম আছে। গবর্ণমেন্ট যখন রপ্তানী করিবার অনুমতি দেন, তখন বলিয়াছিলেন, যে, চালের দাম বেশী বাড়িলে আবার রপ্তানী বন্ধ করিবেন। এখনও কি যথেষ্ট বাড়ে নাই ? গবর্ণমেন্ট রপ্তানীর জবাবহিত পূর্বের এক