পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిes -رے-سے .۔ یرہ۔ سر حمص م۔ = বেশী বেজন দেওয়া হয়। এদেশের সর্জজের জাপানের প্রধান বিচারপতি অপেক্ষা বেশী বেতন পান। বাহিরে এইরূপ কেঁাচার পত্তন বলিয়াই আমাদের ভিতরে এরূপ ছুচোর কীৰ্ত্তন—দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ, অজ্ঞতা, রোগ, মহামারী, চিকিৎসার অভাব লাগিয়াই আছে ; তাহার সহচর কাপুরুষতা ও কুসংস্কারও লাগিয়া আছে। ব্যয়সংক্ষেপের মোটামুটি যে যে উপায় স্থচিত হইয়াছে, তাহা অবলম্বিত না হইলে, কখন ভারতবর্ষের উন্নতি হইবে না । বাংলা দেশে ডাকাতী । মধ্যে মধ্যে দৈনিক কাগজে দেখিতে পাই, বঙ্গে কোন সপ্তাহে বা দশাহে ৬০, কোন সপ্তাহে ৫৪, কোন সপ্তাহে বা ৪৬টা ডাকাতী হইতেছে। এখন অসহযোগ আন্দোলনের কৃপায় বেসরকারী লোকের আর “রাজনৈতিক ডাকাইতী” করিবার অভিযোগে ধৃত ও দণ্ডিত হয় না । কোথাও কোথাও পুলিসের লোকদের নামে লুটপাট করিবার অভিযোগ শোনা যায় বটে। কিন্তু তাহ অবশ্য রাজনৈতিক ডাকাতী নহে ; কোনও প্রকারের ডাকাতী বটে কি না, তাহাও বলা যায় না। যাহা হউক, উহার আলোচনা ছাড়িয়া দিয়া জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে, যে, আজকালকার বেসরকারী ডাকাতীগুলির কারণ কি ? উহা যখন রাজনৈতিক ডাকাতী নহে, তখন উহার কারণ দুদিকে ছুটি । এক দিকে অন্নাভাবগ্রস্ত লোকদের ‘মরিয়া হইয় ডাকাত হওয়া, কিম্বা দুবৃত্ত লোকদের বে-পরোয়া হইয়া ডাকাত হওয়া, অন্যদিকে আক্রান্ত ও হৃতসৰ্ব্বস্ব লোকদের ভীরুতা ও আত্মরক্ষার ক্ষমতার অভাব। এই দ্বিবিধ কারণ কি ইংরেজ-শাসনের সমধিক কাৰ্য্য-সাধন-ক্ষমতার পরিচয় দিতেছে ? জনৈক মুসলমান মহিলার কৃতিত্ব বেগম স্বলতানা মুয়াজিদ-জাদা বি-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইবার পর বি-এল পড়িতেছেন। তিনি বি-এলের প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার কবিয়াছেন এবং প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ T তদুপরি হিল আইনের পরীক্ষা প্রথম স্থান অধিকার [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড S AAAAAS SSAAAAS SAAAAAA AAAA AAAAAS S করিয়াছেন। ইনি হাবল মতীন নামক খবরের কাগজের সম্পাদকের কন্যা। ইহারা পারস্যদেশীয় মুসলমান । বিদ্যাবত্তার জন্য অনেক নারী প্রাচীন ও আধুনিক কালে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন ; অনেকে গবেষণাম্বারা জগতের জ্ঞান-ভাণ্ডারে নব নব রত্ন উপহার দিয়াছেন । তাহা হইলেও নারীদের মধ্যে জ্ঞানের বিস্তার পুরুষদের সমান এখনও না হওয়ায়, এখনও নারীদের এইরূপ কৃতিত্ব উল্লেখযোগ্য। বেগম-সাহেবার কৃতিত্বের উল্লেখ করিবার আর-একটি কারণ আছে। সকল দেশেই আইনজ্ঞানের সঙ্গে রাজনীতিজ্ঞানের যোগ আছে । আমেরিকার ব্রিটিশ উপনিবেশগুলি যখন স্বাধীন হয়, তখন হইতে আরম্ভ করিয়া তথাকার আইনজ্ঞগণ দীর্ঘকাল রাজনৈতিক নেতৃত্ব করিয়াছেন। আমাদের দেশেও আইনজ্ঞগণ, অসহযোগ আন্দোলন সত্ত্বেও, অনেকস্থলে এখনও রাজনৈতিক নেতা রহিয়াছেন। কিছুদিন হইতে নারীদিগকে রাজনৈতিক অধিকার দিবার চেষ্টা হইতেছে। অনেক প্রদেশে তাহার এই অধিকার পাইয়াছেন। বঙ্গে এখনও পান নাই । আপত্তিকারীরা বলেন, ধে, বঙ্গে পর্দার প্রচলন থাকায় নারীদের রাজনৈতিক জ্ঞানও কম এবং তাহাদিগকে অধিকার দিলে তাহারা সেই অধিকার ব্যবহার করিতে পারিবেন না । এসব যুক্তির উত্তর অনেকবার দেওয় হইয়াছে। পুনরুক্তি না করিয়া, জিজ্ঞাসা করা যায়, যে, বেগম-সাহেবার মত পর্দানশীন মহিলা যদি আইনজ্ঞান লাভ করিতে পারিয়া থাকেন, তাহা হইলে অন্তঃপুরিকার উহার সহচর রাজনৈতিক জ্ঞান লাভ করিতে নিশ্চয়ই পারিবেন না, এরূপ মনে করিবার কি কারণ আছে ? নিরক্ষর কৃষক দোকানদার প্রভৃতি লোকেরা ভোট পাইতে পারেন, অথচ বিদুষী বিদ্যাবতী মহিলারা উহার অনুপযুক্ত বিবেচিত হন, ইহা বড় আশ্চর্য্যের বিষয় । স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ ও রাজদ্রোহ অনেক রাজকৰ্ম্মচারীর এবং ভারতীয় অনেক বেসরকারী লোকেরও এইরূপ ধারণা আছে..যে, পরাধীন