পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ধৰ্ম্মপুজ రిషి) MMAMAMAMSMSMSMSMM AMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAASAASAASAASAAAS ধৰ্ম্মপূজা ( ধৰ্ম্মতত্ত্ব ) গতবারকার প্রবন্ধে আমরা সংক্ষেপে স্বষ্টিতত্ত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করে, দেখিয়েছি যে বৌদ্ধমতের সঙ্গে ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মতের কতকটা মিল আছে । ধৰ্ম্মতত্ত্ব আলোচনা করতে গিয়ে ধৰ্ম্মপূজার উপর মহাধানের প্রভাব আরও স্পষ্টতর হবে। মোটামুটি বলন্তে পারা যায় যে প্রাচীন বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম বা হীনযানের সহিত মহাযানের মতের পার্থক্য হচ্ছে ঈশ্বরবাদ নিয়ে । মহাধানের মধ্যে আস্তিকতাই হচ্ছে পূর্বের মতের থেকে বড় রকমের প্রভেদ । ধৰ্ম্মপূজায় আমরা পূরাপুরি আস্তিকতাই পাই। দেবতার নাম শূন্তমূৰ্ত্তি, নিরঞ্জন ও ধৰ্ম্ম। নিরঞ্জন হচ্ছেন হিন্দুদের পরব্রহ্ম ; ধৰ্ম্ম হচ্ছেন ব্ৰহ্মা ; একটি অব্যক্তি, অন্যটি ব্যক্তি । “ধৰ্ম্মপূজা-বিধান” গ্রন্থে যে নিরঞ্জন ও ধর্মের পৃথক স্তুতি আছে, তার মধ্যে একটাতে শূন্তমূৰ্ত্তি ও নিরাকার পরমেশ্বরের উৎকৃষ্ট বর্ণনা পাই, নিম্নে তার খানিকট উদ্ধৃত করে দিলাম— ওঁ ন স্থানং ন মানং ন চরণারবিন্দং রেখং ন রূপং ন চ ধাতুবৰ্ণং। দৃষ্ট ন দৃষ্টি: শ্রুতা ন শ্রুতি স্তস্মৈ নমস্তে নিরঞ্জনায় ॥৩৫ ওঁ ন শ্বেতং ন পীতং ন রক্তং ন রেতং ন হেমং স্বরূপং ন বর্ণ-কৰ্ণং। न 5याiर्हि-शिं ७ङ्गव्रं न खलुव: তস্মৈ নমস্তেহস্ত নিরঞ্জনায় ॥৩৬ ...ইত্যাদি ৪৪ শ্লোক পৰ্য্যন্ত সকলকে পড়তে অনুরোধ করি। সমস্ত নেতি নেতি করে যা থাকে সেইটাই শূন্ত নিরঞ্জন । যার অন্ত আদি মধ্য নেই,—যার কর চরণ কায় শব্দ নেই,—যার আকার আদিরূপ নেই,—যার ভয় মরণ জন্ম নেই, ইত্যাদি রূপ হচ্ছে শূন্তমূৰ্ত্তি। সেই শূন্তমূৰ্ত্তি নিরঞ্জনের ধ্যানমন্ত্র শূন্তপুরাণ ও ধর্মপূজাবিধানে আছে (পৃ ৮৯ )। নিরঞ্জন ও ধর্মের ধ্যান ও মন্ত্র পৃথক ছিল ; তার কারণ, নিরঞ্জন ছিলেন ভাব-রূপ, আর ধর্থ হচ্ছেন সাকার-মূৰ্ত্তি। ‘দ্বার-ভেটের সময়ে পণ্ডিতদের কতকগুলি প্রশ্নের জবাব দিতে হতো । अधं रुच्छ्-- O ৰাড়ি কোথ। পণ্ডিতের কোন জেৰ ভজ । কন মুৰ্ত্তি ধ্যান কর কন দেবে পুজ। কন মুখে পূজা কর কন্‌ বেঙ্গ পড়। সিস্ত্রগতি কছিলাম চতুরালি ছাড়। কোথা পালে তাম্ব বলা কেব৷ দিল করে। কিরূপে জৰ্ম্মিল জমা কহন মামাৰে ॥ প্রত্যুত্তর – বাড়ি মোর বল্লুকীর। পূজি শ্ৰীনৈরাকার । স্বস্ত মূৰ্ত্তি ধ্যান করি। मांकब्र भूर्डि उखि ॥ পুৰ্ব্ব মুখে পূজা পঞ্চম বেদ পড়ি। সিস্ত্রগতি কছিলtং চাতুরালি ছাড়ি। বিশ্বকৰ্ম্ম৷ এই তা করিলা নিৰ্ম্মান । এ কথা কহিলাঃ আমি তব বিদ্যমান। (১৬৫ পৃষ্ঠ ) এখানে স্পষ্টই রয়েছে, ‘শুন্যমূৰ্ত্তি ধ্যান করি, কিন্তু সাকারমূৰ্ত্তি ভজি। তবে কি ধৰ্ম্ম-পূজকদের কোনপ্রকার মূৰ্ত্তি ছিল ? বৰ্ত্তমানে কোনো মূৰ্ত্তি আছে বলে আমাদের জানা নেই। বীরভূম-বাঁকুড়াতে প্রতীক মাত্র ব্যবহৃত হয়। শূন্তপুরাণে কোনো মূৰ্ত্তির রূপ পরিকল্পিত না থাকৃলেও, প্রতীক ( symbol ) যে ব্যবহৃত হতে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ধৰ্ম্মপূজা-বিধানে ধৰ্ম্মের যে ধ্যান-মক্স আছে নিরঞ্জনের ধ্যান-মন্ত্রের সঙ্গে তার তুলনা হতে পারে না। ধর্মের ধ্যান— ধবলকারিণং দেবং ধবলসিংহাসনে স্থিতং । উল্লুকবাহনং ধৰ্ম্মমিহমাবান্ধয়াম্যহং । ( পৃঃ s ) মাণিক গাঙ্গুলি তার ধৰ্ম্মমঙ্গলে নিরঞ্জন ও ধর্শ্বের পৃথকু বন্দনা করেছেন । ধর্মের বন্দনায় তিনি লিখেছেন— উলুকংবাহনং ধর্ম কামিস্ত সহিতে শিবং। ধৌতকুন্দেন্দুধবলকায়ং ধ্যায়েন্ধৰ্ব্বং নমাম্যঃং ( পৃ: ৪ ) ধৰ্ম্মপূজাবিধানে উপরিউক্ত শ্লোকের অনুরূপ একটি শ্লোক আছে (পৃ ৭ ) । নিম্নে আর-একটি শ্লোক উক্ত গ্রন্থ থেকে পুনরায় উদ্ধৃত করছি ; সেটি থেকে আরও স্পষ্ট বোধ হচ্ছে যে ধর্থের মূৰ্ত্তি ছিল । শ্লোকটি ধর্থের নমস্কার । শ্বেতবর্ণং শ্বেতমালাং শ্বেতযজ্ঞোপবীতকং তোসৰংশেতাপ নিয়ন মনােতে। (পৃ ৮২)