পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२२ ബ് ബ് عیاره ۶۹یص مییس کمیایی মাণিক গাঙ্গুলি যে বর্ণনা দিয়েছেন সেটিকে রূপক ভাবে নেওয়া হবে, না বর্ণে বর্ণে নেওয়া হবে, সেটা ভাববার বিষয়। তিনি লিখেছেন— १बल अरछङ्ग 6छाॉलि ধবল বর্ণের যুতি ५Tांनर्णमा शबल छूब* । ধবল চন্দন গায় ধবল পাছুক পায় ধবল বরণ সিংহাসন ॥ ধৰল বর্ণের ফোট৷ शवल छैश्चल छौं। ধবল বর্ণের টাদমালা । ধবল চাছুয়া খাট ধবল নিশান পাট ধবল বরণে ঘর আলী ॥ ধ, ম ; ৫, ১৭-২২ ধৰ্ম্মপূজাবিধানে আরও একটু স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ; সেখানে ধৰ্ম্মকে শ্বেতযজ্ঞোপবীতধারী চতুভূজ পদ্মনেত্র মহাবাহু মহাবল আজামুলম্বিত-মাল্য-শোভিত কপূরশুভ্ৰাম্বরধর ইত্যাদি বিশেষণ-যুক্ত করা হয়েছে (পৃ. ৮৭, ৯১ } । এ-সব বিশেষণ নিতান্ত অবাস্তব বলে মনে করে নেবার হেতু নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্মের মূৰ্ত্তি যদি এককালে পূজিত হয়েই থাকবে ত তা বৰ্ত্তমানে দেখা যায় না কেন ? বর্তমানে যা আছে সেটি হচ্ছে পাথর পূজা –সেই পাথর হচ্ছে ঐযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে স্তুপের বিকৃত রূপ । সেটি লৌকিক ব্যবহারে কচ্ছপ নামেই পরিচিত ; ধর্শ্বের আর-এক নাম কচ্ছপবাহন। আমাদের প্রশ্নের উত্তর নিম্নে দিবার চেষ্টা করবো। ধৰ্ম্মপূজাকে এখন আমরা হিন্দুধর্মের মধ্যেই দেখছি ; কিন্তু এমন এক সময় ছিল যখন দুই ধর্মের মধ্যে বেশ বিরোধ ছিল, এবং ‘ভদ্রলোক’ বা উচ্চবর্ণের কোনো লোক সাহস করে ধর্মের গান গাইতে সাহস পেতে না। মাণিক গাঙ্গুলি ত স্পষ্টই বলেছেন— জাতি যায় তবে প্রভু যদি করি গান। আচিয়াং অখ্যাতি হবেক দেশে দেণে । স্বপক্ষের সন্তোষ বিপক্ষ পাছে হাসে। পৃঃ ৯ এখানে বেশ দেখা যাচ্ছে স্বপক্ষ বিপক্ষ বলে’ দুটা দল, জাতি যাওয়ার ভয় ইত্যাদি রয়েছে। কিন্তু ধৰ্ম্ম তাকে আশ্বাস দিয়ে বলছেন যে তার কোনো ভয় নেই—ধর্মের আদিকবি ময়ূরভট্টকে তিনি বৈকুণ্ঠে স্থান দিয়েছেন ; তা ছাড়া সপক্ষে বিপক্ষে জামি করিব সমান। প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [२२* डॉभं, »भ श्रृंख AM AeeAMMAMMAA MMMAMeAJA AMA AMAMMSMMeAAASAAA S এই মহা-অাদর্শ তিনি কবিদের মনে জাগিয়েছিলেন। মঙ্গলকাব্যের মd্য দিয়ে যেমন এই হিন্দুকরণ কাৰ্য্য চলতে লাগলো—ধৰ্ম্মপূজা-বিধির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করাবার চেষ্টা তেমনি চললো। শূন্যপুরাণকে আমরা পুরাণে পূজাবিধি বলে মানতে পারি। আর ধর্মপূজা-বিধান হচ্ছে ধৰ্ম্মপূজার পুরাপুরি হিন্দু-সংস্করণ । তার রচয়িত হচ্ছেন জনৈক রঘুনন্দন । রঘুনন্দন হিন্দুদের স্থতিকার বলে এ পুথিকেও তার রচনা বলে চালাবার চেষ্ট হয়েছে। ধৰ্ম্ম-পূজাকে হিন্দু কংবার আরও চেষ্টা হয়েছে। রমাই পণ্ডিত সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে আমরা দেখবো যে রমাইএর জন্ম উচ্চকুলে নয় ; তিনি ছত্রিশজাতিৰে ধৰ্ম্ম বিলান, স্বতরাং শূদ্র বা নীচজাতের প্রতি র্তার রাগ হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ধৰ্ম্মপূজাবিধানে রমাই ত নীচজাতদের উপর রেগেই খুন ! ব্রাহ্মণজাতির গৌরব-বৰ্দ্ধনই র্তার উদ্বেগু ! ধৰ্ম্মপূজা শূদ্রের করত। সেই পূজা ব্রাহ্মণের হস্তগত করবার চেষ্টা করেন। সেইজন্য ধৰ্ম্মপূজাবিধান-রচয়িত বলছেন— মোর নাম করি শূদ্ৰ জত সব খায়। পিতৃ মাতৃ স্বশুর তার ঘোর নরক পায়। অস্ত্ৰ দেখিয় যেন পায় অতি স্বথে । চুসিতে চুসিতে যেন অঠি লাগে বুকে ॥ তেমন আমার দ্রব্য লোভেতে মরণ । সবংশে তাহারে নাশ করি জে নিধন । ঘরে ঘরে দেবতা হল, ভক্তি দেখিয়। দুই সন্ধ্য ব্রাহ্মণের নাগ পাবেক বসিয় ॥ ( ৬ পৃষ্ঠা ) আর-এক স্থানে ব্রাহ্মণদের ধৰ্ম্মপূজা যে অন্যায় নয়, ব্রাহ্মণ যে বড় জাতি ইত্যাদি প্রমাণ করতে গিয়ে লেখক লিখেছেন – আমার দুয়ারে দ্বিজ-ব্ৰাহ্মণের মান নাঞি । অন্নজল খায়বাইয়া স্বধাহ তার ঠাঞি ॥ ব্রাহ্মণ কেবল তনু ব্ৰাহ্মণ ঈশ্বর। ব্রাহ্মণের দুঃখ হলো কঁপি থর থর ॥ ( ৪ পৃষ্ঠ ) ধৰ্ম্মপূজার মধ্যে ব্রাহ্মণগণ প্রবেশলাভের যথেষ্ট চেষ্টা করেন ; এবং সেই চেষ্টারই প্রমাণ ধৰ্ম্মপূজাবিধান। ধর্মপূজাবিধানখানির মধ্যে শিব ও স্বর্ঘ্যের প্রতিপত্তি খুব বেশী। অধিকাংশই সংস্কৃতে লেখা। শূন্তপুরাণ ছিল খাটি ধাংলায় ; ধৰ্ম্মপূজা-বিধান তাকে