পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য ] হয়। এই অভ্যাচার, এই অবিচার, অক্ষমের অপমান, উীত গ্ৰন্ত দরিত্রের বেদনার পরিহাস বড় নিদারুণ। কিন্তু এই দুঃখকে জয় করা যায়। শিবতরাইয়ের প্রজার মার থাইয়াছিল, অবিচলিত সহাশক্তির দ্বারা ধনঞ্জয় বৈরাগী দেখাইলেন যে মারের উপরেও জয়ী হওয়া যায়। বৈরাগী ধৈর্ঘ্যের দ্বারা দুঃখকে জয় করিতে শিখাইয়াছেন, এ শিক্ষা সত্য শিক্ষা । যাহারা দুৰ্ব্বল, যাহার অত্যাচরিত তাহাঁদের পক্ষে এ শিক্ষা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা । কিন্তু আরেক প্রকার দুঃখও আছে, সমস্ত মানুষের মুখছুঃখকে একত্র করিয়া যে একটি পরম বেদনা, পরম প্রেম রহিয়াছে তাহাও সত্য । সেইজন্যই এক জায়গার বেদনায় অপর জায়গায় আঘাত লাগে, পাপের বেদনায় সমস্ত বিশ্ব কঁাপিয়া উঠে, সমস্ত মানুষের প্রায়শ্চিত্ত সকল মানুষকেই করিতে হয়। যে হৃদয় প্রীতিতে কোমল, দুঃখের এাগুন তাহাকেই প্রথম দগ্ধ করে । সমস্ত মানুষের বেদনাকে যে লোক হৃদয়ে অনুভব করিয়াছে সঙ্কশক্তির দ্বারা শুধু দুঃখনিবৃত্তি করিয়া তাহার নিষ্কৃতি থাকে না— “ছুটেছে সে নির্ভীক পরাণে সঙ্কট-আবর্তমাঝে, দিয়েছে সে বিশ্ব বিসর্জন, নির্ধ্যাতন লয়েছে সে বক্ষ পাতি ; মৃত্যুর গর্জন শুনেছে সে সঙ্গীতের মত !... • • • • শুনিয়াছি তারি লাগি রাজপুত্র পরিয়াছে ছিন্ন কন্থ, বিষয়ে বিবাগী পথের ভিক্ষুক ! মহাপ্রাণ সহিয়াছে পলে পলে সংসারের ক্ষুদ্র উৎপীড়ন, বিধিয়াছে পদতলে প্রত্যহের কুশাঙ্কুর, করিয়াছে তারে অবিশ্বাস মৃঢ় বিজ্ঞজনে, প্রিয়জন করিয়াছে পরিহাস অতিপরিচিত অবজ্ঞায়, গেছে সে করিয়া ক্ষমা নীরবে করুশনেত্ৰে-অন্তরে বহিয়া নিরুপমা ীেষ্মধ্য-প্রতিম p' উখরকুটের অধিবাসীরা স্বার্থের উত্তেজনায় কত মানুষকে পীড়া দিয়াছে। শিবতয়াইয়ের প্রজারা দুঃখ পাইয়াছে, বটুকু দুঃখ পাইয়াছে, স্বমনের মা দুঃখ পাইয়াছে, এ সকল ছঃখ সামান্ত নহে—কিন্তু এ সমস্ত দুঃখ ফিরিয়া পথ-মোচন SODNO জাসিয়া আঘাত করিল সকলের প্রিয় বেদনায় সকরুণ নীরব নম্র মহাপ্ৰাণ যুবরাজ অভিজিৎকে । যাহার চিত্ত-তন্ত্রীতে আঘাত করিলে সব চেয়ে বেশি বাজে তাহাকেই সমস্ত পৃথিবীর বেদন অধিক করিয়া আঘাত করে। তাগর চক্ষে তন্ত্র ছুটিয়া যায়, বেদনার আঘাতে বন্ধন খপিয়া পড়ে, দূরদিগন্তে সে শুনিতে পায় রুদ্রের ভৈরব-মন্ত্র তাহাকে আহবান করিতেছে — “তোমার পথের পরে তপ্ত রৌদ্র এনেচে জাহান রুদ্রের ভৈরব গান। बि इ'डि नि বাজে পথ শীর্ণ তীব্র দীর্ঘতান স্বরে, যেন পথ-হারা কোন বৈরাগীর একতারা।" সেইজন্যই, কুমার সঞ্জয় আসিয়া যখন মনে করাইয়া দিলেন "সকালে যে আসনে তুমি পূজায় বস, মনে আছে ত সে-দিন তার সাম্নে একটি শ্বেত পদ্ম দেখে তুমি অবাক হয়েছিলে ? তুমি জাগৃবার আগেই কোন ভোরে ঐ পদ্মটি লুকিয়ে কে তুলে এনেচে, জানতে দেয় নি সে কে— কিন্তু ঐ টুকুর মধ্যে কত স্বধাই আছে সে কথা কি আজ মনে করবার নেই ? সেই ভীরু যে আপনাকে গোপন করেচে, কিন্তু আপনার পূজা গোপন করতে পারেনি, তার মুখ কি তোমার মনে পডুচে না " যুবরাজ অভিজিৎ বলিলেন—“পডুচে বই কি ! সেইজন্যই ত সইতে পাচ্চিনে ঐ বীভৎসটাকে যা এই ধরণীর সঙ্গীত রোধ করে দিয়ে জাকাশে লোহার দাত মেলে হাস্য কবৃচে। স্বৰ্গকে ভালো লেগেচে বলেই দৈত্যের সঙ্গে লড়াই কবৃতে যেতে দ্বিধা করিনে।” সমস্ত মানুষের ক্ৰন্দন যুবরাজ শুনিয়াছেন, কে র্তাহাকে ঘরে ধরিয়া রাখিবে ? “না রে না রে হবে না তোর স্বর্গসাধন সেখানে যে মধুর বেশে ফঁাদ পেতে রয় রখের বঁাধন।” কুমার সঞ্চয় আসিয়া আবার বলিলেন—“যা কঠিন তার গৌরব থাকৃতে পারে, কিন্তু যা মধুর তারও মূল্য আছে।” অভিজিৎ উত্তর করিলেন—“ভাই, তারি মূল্য দেবার জন্যেই কঠিনের সাধনা। আমি কঠোরতার অভিমান রাখিনে – চেয়ে দেখ ঐ পাখী দেবদারু-গাছের চূড়ার ভাগটির উপর