পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S3 e SAA MASAM MAAA AAAA AAAA MA MA MAMSMSAAAAASA SAASAASSAAAAAASMSMSMSMMS একলা বসে আছে ; ও কি নীড়ে যাবে, না, অন্ধকারের ভিতর দিয়ে দূর প্রবাসের অরণ্যে যাত্রা করবে জানিনে ; কিন্তু ও যে এই স্বৰ্য্যান্তের আকাশের দিকে চুপ করে চেয়ে অাছে সেই চেয়ে থাকার স্বরটি আমার হৃদয়ে এসে বাজচে । স্বন্দর এই পৃথিবী, যা-কিছু আমার জীবনকে মধুময় করেচে সে সমস্তকেই আজ আমি নমস্কার করি।. ঐ দেখ সঞ্জয়, গৌরীশিখরের উপর স্বৰ্য্যাস্তের মূৰ্ত্তি। কোন আগুনের পার্থী মেঘের ডানা মেলে রাত্রির দিকে উড়ে চলেচে। অামার এই পথযাত্রার ছবি অস্তসূৰ্য্য আকাশে একে দিলে।" "ওরে যাত্রী ধূসর পথের ধুলা সেই তোর ধাত্ৰী ; চলার অঞ্চলে তোর ঘুর্ণাপাকে বক্ষেঙ্গে আববি’ ধরার বন্ধন হ’তে নিয়ে যাকৃ হরি’ দিগন্তের পারে দিগন্তরে । ঘরের মঙ্গল শঙ্খ নতে তোর তরে, নহে রে সন্ধ্যার দীপালোক, নহে প্রেয়সীর অশ্র-চোখ ।” বটুক যখন কাছে আসিয়া চুপে চুপে জিজ্ঞাসা করিল“তবে শুনেচ বুঝি ? ভৈরবের আহবান শুনেচ ?” অভিজিৎ বলিলেন—“শুনেচি " বটুক—“সৰ্ব্বনাশ ! তবে ত তোমার নিষ্কৃতি নেই?” অভিজিৎ —“না, নেই।” বটুক—“সইতে পারবে কি যুবরাজ, যখন বক্ষ বিদীর্ণ হয়ে যাবে ?” অভিজিৎ—“ভৈরবের প্রসাদে সইতে পারব।” বটুক—“চারিদিকে সবাই যখন শক্র হবে ? আপন লোকে ধিক্কার দেবে ?” অভিজিৎ—“সইতেই হবে।” বটুক -“ङ श्रल उग्न cनहे ।” अखिजि९-“न, उग्न ८महे ।” যুবরাজ অভিজিং জানিতেন যে রুত্রের প্রসাদ তাহার জন্ত অপেক্ষা করিতেছে । “পথে পথে অপেক্ষিছে কালবৈশাখীর আশীৰ্ব্বাদ, শ্রাবণরাত্রির বজ্ৰ-নাদ । পথে পথে কণ্টকের অভ্যর্থনা পথে পথে গুপ্ত সৰ্প গৃঢ়ফণা! নিন্দ দিবে জয়শঙ্খনাদ * *. এই তোর রুজের প্রসাদ ।” প্রবাসী—জাষাঢ়, ১৩২৯ [ २२* छां★, »ञ थes যুবরাজ অভিজিং বেশি কথা বলেন নাই, কারণ তাহার মনে কোন বিধা ছিল না। তিনি কাহাকেও ডাকেন নাই ; কাহাকেও তিনি সঙ্গে লইলেন না। তিনি বুঝিয়াছিলেন—“আমার উপর যে কাজ পড়েচে সে একলা আমারই ।” কুমার সঞ্চয় অনুরোধ করিলেন—“যুবরাজ, আমাকেও তোমার সঙ্গী করে নাও!” যুবরাজ সন্ধয়কে কঠোরভাবে বাধা দিয়াছেন, বলিয়াছেন—“না ভাই, নিজের পথ তোমাকে খুঁজে বের করতে হবে। আমার পিছনে যদি চল তাহলে আমিই তোমার পথ আড়াল করব।” কুমার সঞ্জয় যুবরাজকে ভালবাসিতেন ; নিজের ভালবাসাকে চরিতার্থ করিবার জন্যই তিনি যুবল্লাজকে অনুসরণ করিতে চাহিলেন। যুবরাজ একথা বুঝিতে পারিয়াছিলেন, তিনি জানিতেন যে সঞ্জয়ের নিকট মুক্তধারার রহস্তের কোন অর্থ নাই, সঞ্জয়ের কানে মুক্তধারার আহ্বান পৌছায় নাই, তাই সঞ্জয়কে তিনি ঠেকাইয়া রাখিলেন। যুবরাজের কর্মের পুনরাবৃত্তিমাত্র করিয়া কোন ফল নাই, যুবরাজ যেমন নিজের পথে চলিয়াছেন সঞ্জয়কেও সেই রকম নিজের পথ খুজিয়া চলিতে হইবে, যুবরাজের জীবনের ইহাই চরম শিক্ষা । অভিজিং জানিতেন যে প্রত্যেক মানুষকেই নিজের পথ খুজিয়া চলিতে হইবে ; এইজন্যই তিনি দল গড়িবার চেষ্টা করেন নাই। দলের মধ্যে নিজের পথ খুজিয়া পাওয়া শক্ত। যাহারা দলে ভিড়িয়া পড়ে তাহারা উপলব্ধি করিবার অবসর পায় না যে সত্যকে অন্তরে অনুভব করিয়াছে কি না। দশের ইচ্ছায় অভিভূত হইয়া বুঝিতে পারে না যে দলের আদর্শ সত্যই নিজের আদর্শ নহে। দলের মোহ ক্রমে অসত্যকে প্রশ্ৰয় দেয়, বাধা বুলি আবৃত্তি করিয়া সত্যকে বাধাগ্রস্ত করিতে থাকে, সফলতা মাত্রকেই বাহিরের দিক দিয়া পাইবার চেষ্টায় সত্যকে খৰ্ব্ব করে । অভিজিৎ বুঝিয়াছিলেন যে সংখ্যাবাহুল্য অথবা আয়তন-বিশালতার দ্বারা সত্যের মূল্য নির্ধারণ হইতে পারে না, তিনি জানিতেন যে বিন্দুপরিমাণ সত্যের মূল্যও অসীম, তাই তিনি বারংবার বলিয়াছেন নিজের অস্তরের মধ্যে যে সত্যবোধ তাহাকেই জাগ্রত কর,