পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواران (ن রমলার মনে গতরাজের স্বপ্নের রেশ কয়েকখানি চিঠির পাতা ছিড়িয়া প্রায় কাটিয়া গিয়াছিল, কিন্তু আবার রজতের নিঃসঙ্গ আবির্ভাবে কি মায়া যেন তাহাকে অভিভূত করিতে লাগিল। দুইজনেই কিছুক্ষণ চুপচাপ रुनिब्रां ब्रझिल । शै८ब्र छूद्देखट्न छूहे विङिब्र फूग्नांब्र निग्न স্কুইদিকে বাহির হইয়া গেল। সেদিন বিকাল বেলায় লাইব্রেরীতে আর্ট সম্বন্ধে আলোচনা-সভা বলিয়াছিল। আর্টের ধারার সহিত ধর্মের ধারা মানব ইতিহাসে কিরূপ মিশিয়া গিয়াছে ; ভারতে বৌদ্ধযুগে, ইয়োরোপে মধ্যযুগে, এইরূপ এক এক যুগে এক এক দেশে ধর্শের শিখায় আর্টের আরতি-প্রদীপ কিরূপ জলজল হইয়া উঠিয়াছে ; তারপর অমিতাভ বুদ্ধমূৰ্ত্তিতে ভারতের আর্ট গ্রীক রোমক আর্ট অপেক্ষ কোন উচ্চস্তরে গিয়া পৌঁছিয়াছে—এইসব নানা কথা রজত তাহার স্নিগ্ধমধুর কণ্ঠে বলিয়া যাইতেছিল। অজন্ট, স্বৰ্য্য মূৰ্ত্তি, তাজমহল, এক একটি কথা উচ্চারণ করিতেই তাহার মুখ দীপ্ত হইয় উঠতেছিল। মাধবী পিতার ডানপাশে এক কুশন-চেয়ারে বসিয়া চুপ করিয়ারজতের কথা শুনিতেছিল, শিল্পীর আনন্দোম্ভাসিত কমনীয় মুখের উপর তাহার চোখ বার বার গিয়া পড়িতেছিল। যোগেশ-বাৰু মাঝে মাঝে একটু মন্তব্য দিয়া আলোচনাকে অগ্রসৰু করিয়া দিতেছিলেন। রমলা কিছুক্ষণ সে ঘরে ছিল । ছবি দেখিতে সে ভালোবাসে, কিন্তু ছবি সম্বন্ধে আলোচনা, সৌন্দৰ্য্য সম্বন্ধে সুন্ন বিচার সে বোঝে না, ভালোবাসে না । কিছুক্ষণ শুনিয়া শ্ৰান্ত হইয়া একতলায় ড্রয়িংরুমে সে পিয়ানো বাজাইতে গেল । পিয়ানো বাজান কিন্তু বেশীক্ষণ হইল না। কিছুক্ষণ পরে যতীন আসিয়া ঘরে ঢুকিতেই রমলা গান শেষ না করিয়াই পিয়ানো বদ্ধ করিল। টুইড স্কট বদলাইয়া মুর্শিদাবাদতসরের স্কট গায়ে উঠিয়াছে। স্মিত-হাস্যে রমলা যতীনকে অভ্যর্থনা করিল বটে, কিন্তু এই হৃষ্টপুষ্ট ইঞ্জিনিয়ারটিকে পিয়ানো শোনাইবার ইচ্ছ। তাহার মোটেই হইল না। বলিল,—আপনার বন্ধু ওপরে আছেন, ডেকে দিচ্ছি। —ন, না, আপনি কেন উঠছেন—আপনার দাদা ভাল আছেন ? অনেকদিন দেখা হয়নি । প্রবাসী—জাৰা, ১৩২৯ ভালই,—বলিয়া রমলা চুপীি পুরাতনু পরিচয়ের স্বত্র ধরিয়া আলাপ করা তাহাৰু মোটেই ইছ না। মৃদ্ধ হাসিয়া রমলা বলিল-এর মধ্যে কাজ হয়ে গেল? আপনার ত অনেক কাজ, এত শীগৃগীস্থািট ? —ষ্ঠা, মোটরটা নিয়ে এলুম, কোথায় বেড়াতে যাবেন বলেছিলেন ? - —মোটর থাকূলে এখানে to বেড়াতে স্ববিধl, . আপনার বন্ধুকে ডেকে পাঠাচ্ছি। মনিয়া ঘরের কোণে ফুলদানিতে নূতন ফুল সাজাইয়া রাখিতেছিল, রমলা তাহাকে বলিল,—এই, ওপরে গিয়ে খবর দিয়ে আয় ত । মনিয়া বলিল,—কাকে ? to: রমলা অতর্কিতে বলিয়। ফেলিল,—দিদিমণিকে । লাইব্রেরীতে আলোচনা-সভার সম্মুখে গিয়া মনিয়া তাহার নিজের বুদ্ধির অনেকখানি খরচ করিয়া বলিল,— দিদিমণি, আজকের সকালের সাহেব এসেছেন, ছোটদিদিমণি আপনাকে পেড়াতে যাবার জন্ত ডেকে পাঠালেন। মাধবীর মুখ, রাঙা হইয়া উঠিল, সে তীক্ষস্বরে বলিল,—বল গে, এখন সময় নেই। মনিয়া ভীত হইয়া পলায়ন করিল। বহুক্ষণ পরে ড্রয়িংরুমে গিয়া খবর দিল, সবাই এখন গল্পে ব্যস্ত, কেউ আসতে পারবে না । বহুক্ষণ বসিয়াও রজত যখন নীচে আসিল না, তারপর উত্তর শুনিয়া রমলার কেমন রাগ হইল, সে বোকের মাথায় বলিল,—চলুন, আমরাই বেড়িয়ে আসি । অতি অনিচ্ছুক হইলেও কাজী-সাহেবকে টানিয়া লইয়া রমলা যতীনের সহিত বেড়াইতে বাহির হইয়া গেল। কাজী-লাহেব পিছনে বসিলেন, রমলা যতীনের পাশে সাম্নে বসিল। এ যন্ত্র টানিলে কি হয়, ও uffoon f: go, steering wheel foot cutoft মোটর কোনদিকে ঘোরাইতে হয়, ইত্যাদি নান প্রশ্নে হাস্তে পরিহাসে সে যতীনকে অস্থির করিয়া তুলিতে লাগিল। মোটরের বেগ যতই বাড়িতে লাগিল কাজীসাহেবের মূখ' ততই গভীর হইতে লাগিল আর রমলার দেহ-মন ততই আনন্দে উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিতে লাগিল ।