পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وج هاني হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক স্বজনী শক্তির সার্থকতায় । মাহুৰ-মাত্রের মধ্যেই স্বষ্টি করবার একটা স্বাভাবিক ইচ্ছা থাকে। এই ইচ্ছার সার্থকতা আমরা জগতের শিল্প সাহিত্য স্থাপত্য বিজ্ঞান দর্শন সৰ-কিছুর নিদর্শনের মধ্যেই দেখতে পাই। শুধু এইখানেই এর পরিসমাপ্তি মনে করলে চলবে না। মাটির ঘরের মেঝের পাত কঁথি, চালে টাঙানো শিকে, পিড়িতে অঁাকা আলপনা, মায়ের হাতে গড়া পিঠে পরমান্ন সবই সেই এক শক্তির পরিচয়। এই সব ক্ষেত্রেই নানারূপে মানুষ তার স্বষ্টি করুবার ক্ষমতাকে সার্থক করতে চায়। বাঙালীর ঘরের মেয়ের সচরাচর ঘরের বাইরে বেরোন না। ধারা বাইরে আসতে পারেন তাদের শক্তির ব্যবহার করবার নানা ক্ষেত্র ত তারা পাবেনই ; যারা আসেন না র্তারাও যাতে গৃহশিল্পের চর্চা করে অর্থ ও আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারেন, এবং আপন-অাপন প্রতিভাকে সার্থক করে তুলতে পারেন, বাণী-ভবন সেই চেষ্টাও যথাসাধ্য করবেন। মেয়েদের সর্বাঙ্গীন-কল্যাণ-কামনায় তাদের আর্থিক ও মানসিক উন্নতির জন্য এই যে ভবনটির প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তার শুভ উদ্বেগু সম্পূর্ণ সার্থক হোক, সকলে এই কামনা করুন । ঐ শাস্ত দেবী নিউজিল্যাণ্ডের নারী নিউজিল্যাণ্ডে বৰ্ত্তমানে যে জাতি বাস করে, তাহারা মাওরি। শ্বেতাঙ্গ সহবাসের ফলে ইহার এখন প্রায় পূরামাত্রায় সভ্য হইয়া উঠিয়াছে, এবং তাঁহাদের পিতাপিতামহদের আচার-ব্যবহার প্রায় লোপ পাইতে বসিয়াছে। বিগত কালে পুরুষ এবং নারীর জীবন এমন ভাবে জড়িত ছিল যে কেবল নারীর বিষয় বলিতে হইলে অনেক কিছু বাদ পড়িয়া যায়, এবং বর্ণনা অসম্পূর্ণ হয় । কাজে কাজেই নিউজিল্যাণ্ডের নারী সম্বন্ধে কিছু বলিতে হইলে পুরুষদেরও অনেক কথা বলিতে হয়। নিউজিল্যাণ্ডের প্রাচীন অধিবাসীরা পলিনেসিয়া হইতে প্রথম এই দেশে আগমন করে। নিউজিল্যাণ্ডবাসীরা প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [ २२* छां★, s* १७ AeMAAA AAAASASASS ہمصے_هم মাওরি নামেই বিশেষ ভাবে পরিচিত। পলিনেশিয়ার লোকেদের সহিত এই মাওরি জাতির অনেক বিষয়ে আশ্চর্ধ্য রকম মিল আছে-এক জাতির লোক না হইলে এই মিল থাকা সম্ভবপর হইত না। কিন্তু মূল পলিনেসিয় জাতির সহিত এই শাখা জাতির এমন কতকগুলি বিশেষ প্রকার অনৈক্য আছে যাহাতে বর্তমানে তাহাদিগকে পলিনেসিয় জাতি বলিলে ঠিক হইবে না। কোন সময় যে পলিনেসিয়ার একদল লোক এই দেশে আগমন করে তাহ স্থির করিয়া বলা যায় না। তবে একজন বিশিষ্ট ঐতিহাসিক অনেক প্রমাণাদির উপর ভর করিয়া স্থির করিয়াছেন যে নিউজিল্যাণ্ডে ৮৫• খৃঃ অন্ধে পলিনেসিয়দের প্রথম আগমন ঘটে। এই তারিখ সম্বন্ধে সন্দেহ থাকিতে পারে, কিন্তু ইহা একপ্রকার নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে যে ১২৫০ খৃঃ অবা হইতে পলিনেসিয়রা এই দেশে বাস করিতে আরম্ভ করে। ১৩৫০ খৃঃ অব্দে ইহারা নিউজিল্যাণ্ডে পাকা রকমে বসবাস স্বরু করে। এই সময় ইহারা দলে দলে নৌকায় করিয়া পলিনেসিয়া ত্যাগ করে এবং নিউজিল্যাণ্ডে পদার্পণ করে। " এই সময় হইতে ইউরোপীয়দের নিউজিল্যাণ্ড আগমন পৰ্য্যন্ত এই মাওরি জাতি বাহিয়ের জগতের সহিত কোন সম্বন্ধ না রাখিয়া নিউজিল্যাণ্ডে বাস করে। এমন কি তাহদের জন্মভূমি পলিনেসিয়ার সহিতও তাহাঁদের কোন প্রকার যোগ ছিল না। মাওরিদের চুল কোকৃড়া। পলিনেসিয়দের অপেক্ষা মাওরিরা বেশী শক্ত এবং পেশীবহুল। পলিনেসিয়ার সৰ্ব্বাপেক্ষা সাহসী এবং বলবান লোকদের বংশধর এই মাওরিরা। পলিনেসিয়া অপেক্ষা নিউজিল্যাণ্ডের মাটী শক্ত এবং এখানকার আবহাওয়া ভিন্ন প্রকারের। মাওরিদের এইখানে অধিক পরিশ্রম করিয়া চাষবাস করিতে হইত। যুদ্ধবিগ্রহও এখানে কম হইত না । ইহাতে মাওরিদের রক্তলোলুপত্ত্ব লোপ পাইবার অবসর পায় নাই । মাওরিদের ভিতর বংশগৌরব ষথেষ্ট পরিমাণেই ছিল। বড় ঘরের নরনারীর চরিত্রে এমন সমস্ত গুণ দেখা যাই যাহা সভ্যসমাজের উন্নততম স্তরের লোকদের মধ্যেও অনেক সময় দেখু যায় না। so