পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মহিলা-মজলিস-নিউজিল্যাণ্ডের নারী মাওরি মহিল—দণ্ডায়মান ছুইজনের গায়ের পোষাক গাছের আঁশ দিয়া তৈয়ারী মাওরি জাতি সম্বন্ধে যাহা কিছু বলা হইতেছে তাহা সমস্তই অতীতের। কারণ বর্তমানে পরকীয় সভ্যতার প্রভাবে ভtহাদের পূর্বকালের রীতিনীতি সমস্তই একেবারে বদলাইয়া গিয়াছে। বৰ্ত্তমান সময়ের প্রায় প্রত্যেক মাওরির মধ্যেই শ্বেতাঙ্গরক্ত কিছু না কিছু আছে। তাহাদের প্রাচীন ব্যবসাবাণিজ্য নষ্ট হইয়াছে। প্রাচীন কালের নাচিবার ধরণ-ধারণ বালাষ্টয়াছে। তাহাদের মধ্যে এথনো যেটুকু মাওরিত্ব বর্তমান আছে, তাহাও খুব তাড়াতাড়ি বিদেশী সভ্যতার প্রভাবে লুপ্ত হইবে বলিয়া আশা করা যায়। মাওরি পুরুষেরা পালামেন্টে সভ্য পাঠাইবার অধিকার লাভ করিয়াছে ; নারীরা এখনো এই অধিকার লাভ করে নাই । - মাওরি সমাজে নারীর স্থান খুব উচ্চ এবু সন্মানের ছিল। নারী পুরুষের সমস্ত কাজেই সহায়তা করিত। নাচে গানে, শাসনে ব্যবস্থায়, এমন কি শক্রর সঙ্গে যুদ্ধ করিবার জন্যও তাহারা পুরুষদের সাহায্য করিত। বড় ঘরের মেয়েদের সমাজে খুব আদর ছিল। তাহার স্বামীর ধন এবং গৌরব দুইই বৃদ্ধি করিত। কোন সর্দারের পুরুষসস্তান না থাকিলে কঙ্কা-সন্তান পুরুষসন্তানের সমস্ত অধিকার লাভ করিত। সে-ই দলের সর্দার হইত। তাহার মৃত্যুর পর তাহার ছেলে বা মেয়ে সর্দার श्झेउ । মাওরি নারীদের অন্তঃকরণ স্নেহে পরিপূর্ণ। পুরাকালে স্বামী বা ভ্রাতার মৃত্যু হইলে, মাওরি নারীর আত্মহত্যার কথা শোনা যায়। মাওরি নারীর প্রতিহিংস গ্রহণের প্রবৃত্তির কথাও শোনা যায়। শোনা যায় অনেক রমণী স্বামীকে জব্দ করিবার জন্য নিজের শিশুসন্তানকে হত্য করিত। মাওরি জাতির মধ্যে “তাপু বলিয়া একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রচলন ছিল। “তাপু’র মর্থ কোন রোক