পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&gr\!» প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড চাহিয়াছিলেন, পারেন নাই। নাগকস্তার গর্ভজাত ব্ৰাহ্মণ তপস্বী তাহাদের রক্ষা করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মণ, দেবতা ও নাগদের মধ্যে বেশ ঐক্য ও প্রতির ভাব আছে। খাগুবদাহনে কৃষ্ণাৰ্জুন তক্ষকাদি নাগগণকে ও দানব প্রভৃতি নানাবিধ প্রাণীকে নিঃশেষ করিতে চাহেন। তখন দেখিতে পাই তক্ষক ইন্দ্রের সখা ( আদিপৰ্ব্ব, ২২৪ অধ্যায়, ৬ শ্লোক ) ৷ নাগের ( হস্তীরা ) শুণ্ডে জল আনিয়া বনকে দাহ হইতে বঁাচাইতে চাহে, কিন্তু পারিয়া ॐ नाहे ( यांनि, २२९, १०) । ङश्रृंनe था७दनांटश् ८मथ যায় ইক্স নাগদের সহায় ( আদিপৰ্ব্ব, ২২৭, ২৯ )। অগ্নি জীবকুলকে ধ্বংস করিতেছেন আর কৃষ্ণাৰ্জুনের অন্ত্রে পলায়মানেরাও রক্ষা পাইতেছে না (মহাভারত, আদিপৰ্ব্ব, ২২৮ অধ্যায় )। কেবল অরণ্য দগ্ধ করিয়া জন-বসতি বৃদ্ধি করিতে হইলে এরূপ নিষ্ঠুর হইবার প্রয়োজন ছিল না। কৃষ্ণাৰ্জুন যে নাগলোক ধ্বংস করিয়া অগ্নির তৃপ্তি করিতে চাহেন। কিন্তু তক্ষককে তো মারা গেল না। পূর্ব হইতেই কুরুক্ষেত্রে পালাইয়া তিনি রক্ষা পান। র্তাহার পত্নী জাপন পুত্ৰ অশ্বসেনকে রক্ষা করিতে গিয়৷ স্বয়ং মারা যান। অশ্বসেন অতি কষ্টে অগ্নিদাহ হইতে ब्रक भाहेबांब्र खछ भूभद्र भशा निग्न जगकिड डॉट्व পালায়। বহু অন্বেষণ করিয়াও যখন রুষ্ণাৰ্জুন তাহাকে পাইলেন না তখন তাহাকে শাপ দিলেন—“তুমি আশ্ৰয়হীন হইবে” ( মহাভারত, আদিপৰ্ব্ব, ২২৯ অধ্যায়, ১১ শ্লোক ) । সত্যই তো, তাহাঁদের আশ্রয় ছিল যে বন, তাহা দগ্ধ হইলে তাহার আশ্রয় আর রহিল কোথায় ? মনসা-পুরাণাদির মতে এই জন্তই অর্জন-বংশের সঙ্গে নাগদের চিরশত্রুত এবং পরীক্ষিতকে নাগের বিনষ্ট করে (বংশীদাসের পদ্মাপুরাণ, ১২৮ধূ: ) । সেই বনেই দেখিতে পাই মন্দপাল নামে এক মহর্বি ছিলেন। তিনি বিবাহ ও অপত্য উৎপাদন না করিয়া কৃচ্ছ তপ সাধন করিতে গেলেন । ফল হইল না । পিতৃলোকের গতি হইল না। দেবতার বলিলেন, বিবাহ করিয়া অপতালাভ কর (মহাভারত, আদিপৰ্ব্ব, ২৩১ অধ্যায়, ৫—১৪ মোক ) । মহর্বি মঙ্গপাল সহজে বহু সন্ততি চান। তিনি খাগুৰে তিৰ্য্যকৃযোনিজাত কন্যা चब्रिडॉरक विवांश् कब्रिब क्रांब्रिजन बकवानैौ श्रृंज थांश হন। তখন আবার তিনি লপিতাকে বিবাহ করেন। মন্দপাল অগ্নিকে স্তব করিয়া তার বংশধরেরা খাগুবে অগ্নিদাহে রক্ষা পাইবে এইরূপ অভয় পান ( মহাভারত, আদি, ২৩১ অধ্যায়, ২৩—৩৩ শ্লোক ) । বনদাহ-কালে ঋষিপত্নী, পক্ষিকস্তা জরিশ যখন তার চারি পুত্ৰ লইয়া বিত্রত তখন তার মনে হইল—“গমন-কালে তো মহর্ষি কহিয়া গিয়াছেন, জ্যেষ্ঠ পুত্র জরিতারি কুল-প্রতিষ্ঠা হইবে। সারিন্থৰ পিতৃগণের জন্য কুলবর্দ্ধন করিবে। তৃতীয় পুত্র স্তম্বমিত্র তপস্যা করিবে। চতুর্থ দ্রোণ ব্রহ্মবিদগণের শ্রেষ্ঠ হইবে” ( আদি, ২৩২ অধ্যায়, ৯,১• শ্লোক ) । কিন্তু এখন ইহাদের রক্ষা হয় কিসে ? শেষে পুত্রেরা মাতাকে বলিল, “আমরা মারা যাইবই। তবে তুমি আমাদের ত্যাগ করিয়া আত্মরক্ষা কর । এখনও সস্তানলাভের বয়স তোমার যায় নাই। তোমার আরও স্বন্দর সন্ততি হউক” ( আদিপৰ্ব্ব ২৩৩ অধ্যায়, ১৪ শ্লোক)। যাহা হউক পরস্পরবিযুক্ত হইয়াও ইহঁারা রক্ষা পান। যখন মহর্ষি মন্দপাল স্বীয় পুত্রদের খুজিতে জরিতার কাছে যাইতে চাহেন, তপন লপিত কহিলেন, “তুমি তো পুত্রের জন্ত যাইতেছ না। তাহারা সব নাকি ঋষি, তুমি নিজেই এসব কথা বলিয়াছ। তাদের তো তবে দগ্ধ হইবার ভয় কিছুই নাই । ( আদি, ২৩° অ, ৮ শ্লোক)। আসল কথা তুমি আমার সপত্নী জরিতাকে ভুলিতে পার নাই। এখন আর আমার প্রতি তোমার স্নেহ নাই। তবে তুমি তারই কাছে যাও যার জন্ত তোমার মন কাদে, আমি না হয় অনাথের মত ঘুরিয়া বেড়াই” (ঐ, ১১-১৩ শ্লোক ) । মন্দপাল কহিলেন, “আমাকে সেরূপ মনে করিও না। আমি দেহ-স্থখ চাই না, অপত্যই আমার একমাত্র লক্ষ্য কারণ তাহারাই বংশের আশ্রয় ও পিতৃগণের গতি” ( ঐ, ১৪-১৫ শ্লোক ) । মন্দপাল জরিতার কাছে গেলে তাহার কেহ কথা কহিলেন না। পুত্রদের বিষয় প্রশ্ন করিলে জরিত কছিলেন—“সে-সব খবরে কাজ কি ? তরুণী চাকহাসিনী লপিতার কাছেই যাও” ( ঐ, ২৫ মোক )। তখন মদ্যপাল ঋষি পুত্ৰগণকে কহিলেন, “আমি অগ্নির সঙ্গে পূৰ্ব্বেই