পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ওল্প সংখ্যা ) , নাগরা দেবতাদের শরণ লন । কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্রিয় রাজাকে নাগদের দিয়া দণ্ড দেওয়াইয়াছেন। রাজা পৌষ্য ইহাদিগকে ভয় করেন, কারণ ইহারা বন হইতে লুকাইয়া আসিম কখন কি লইয়া পালায় তার ঠিক নাই ( মহাভারত আদি, পৌষ্য পর্ব, ১১২ শ্লোক, हेऊानि हेङानि ) । তারপর নাগের খুব ধনী ও তাহদের স্থানের নাম ভোগবতী । ইন্দ্রগ্রন্থের ঐশ্বর্ষ্যের পরিচয় দিতে গিয়া ব্যাস বলিয়াছেন—নাগদের দ্বারা ভোগবতী যেমন শোভাপ্রাপ্ত, পঞ্চ পাণ্ডবের দ্বারা ইন্দ্রপ্রস্থ সেইরূপ ( আদিপৰ্ব্ব, ২•৯, ৫• শ্লোক , নাগরা পুর-ও মন্দির-নিৰ্ম্মাণপটু। আর্ঘ্যর তেমন নিৰ্ম্মণপটু ছিলেন না। ময়দানব যে সভানিৰ্মাণ করেন তাতে দুৰ্য্যোধনও বোকা বনিয়া যান। তিনিও খাণ্ডববনবাসীদের ও আর্য্যদের সহায়তা করিবেন প্রতিজ্ঞ করিয়া রক্ষা পান। গঙ্গা বাহিয়া আরও পূৰ্ব্ব মুখে দেশের অর্থাৎ পৃথিবীর অভ্যন্তরে গেলে নাগ-লোক। এইজন্য ভীমকে গঙ্গায় ভাসাইলে তিনি নাগলোকে গিয়া উপস্থিত হইলেন। কারণ সেইখানে গঙ্গাজলের স্রোত গিয়া শেষ হইয়াছে ( মহা, আদিপৰ্ব্ব, ১২৮, ৫৫ ) । সেখানে গিয়া বাস্তুকির সঙ্গে ভীমের পরিচয় হইল। কুন্তীর পিতা কুস্তিভোজ রাজা বাস্থকির দৌহিত্র—কাজেই দৌহিত্রের দৌহিত্রকে বাস্থকি খুব আদর করিলেন ( মহা, আদি, ১২৮, ৬৫ ), তার পর নাগলোকে স্বলভ নানা রত্নাদি ভীমকে দিলেন (ঐ, ১২৮, ৬৬ )। স্থপর্ণদের তাড়াতেই নাগরা সমুদ্রের দিকে পলায়ন করে ( আস্তীক পৰ্ব্ব, ২৫, ২৬, ২৭ অধ্যায় ) । সেখানকার নিষাদেরাও গরুড়ের দলের কাছে পরাজিত হয় ( আস্তীক পৰ্ব্ব, ২৮ অধ্যায় )। নাগদেরই পূৰ্ব্বে সব রত্বের অধিকার ছিল । এই দেশের সব গূঢ় ধনের সন্ধান তারাই জানিতেন। তাই আর্ধ্যরা ভারতে আসিয়া ষপন সবই অধিকার করিতে লাগিলেন, তখন নাগের সুযোগ পাইলেই তাহা চুরি করিয়া লইত, তবে অশ্বসেনের স্থায় আশ্রয়হীন হওয়ায় ভুেগি করিতে পাইত না। তাই আমাদের দেশে যে ধন হারায় তাহাঁই নাগের কবলে মাধিয়াছে বলিয়া লোক বাংলায় মনসা-পূজা S AAAA S AAAAA AAAA AAAAeS eAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA SAA AAAA AAASA SAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAAAAASA SSASAS SS SAAAAAMSMSMSMSMSMS Sルお AeeMAMAAA AAAAS AAASASASS SSSS .جمع মনে করে । প্রোথিত ধনের কলসীতে নাগের বাস করে ও নাগের যক্ষের মত সব ধর্মই আগলাইয়া রাখে। এই বিশ্বাস এখনও প্রাকৃত জনের মধ্যে অতি সাধারণ । অৰ্জুন যখন যুধিষ্ঠির সহ বিরাজমানা দৌপদীর ঘরে প্রবেশ করিতে বাধ্য হইলেন তখন তিনি পূর্ব অঙ্গীকার মত দ্বাদশবর্ষব্যাপী ব্রহ্মচৰ্য্যব্রত গ্রহণ করিয়া বনে গেলেন। তখন গঙ্গার ধারে গিয়া অৰ্জ্জুন স্বানে নামিলে নাগকন্ত। উলুপী তাহাকে হরণ করিয়া লইয়া গেলেন। ( আদি, ২১৬, ১৩ ) । নাগকন্যা অৰ্জ্জুনের রূপে মুগ্ধা । সেই নাগরাজ-ভবনে যে অগ্নি ছিল সেই পবিত্র অগ্নিতেই অৰ্জুন যজ্ঞ করিলেন ( ঐ, ২১৬, ১৫ ) । অর্জনও তাহার রূপে মুগ্ধ হইয়াই তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন ( ঐ, ২১৬, ১৭ )। উলুপী কহিলেন—আমি ঐরাবতের বংশের কৌরব নাগরাজের কন্যা লেমীর রূপে মুগ্ধ, আমাকে বিবাহ কর ( ঐ, ২১৬, ১৮-২০ ) । অৰ্জ্জন কহিলেন—হে জলচারিণী, আমি ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করিতেছি ( ঐ, ২১৬, ২২ ) । উলুপী তখন চমৎকার যুক্তিতে বুঝাষ্টয়া দিলেন যে অৰ্জ্জুন বিবাহ করিতে অধিকারী ( ঐ, ২১৬, ২ -, ৩২ ) । উলুপীকে তিনি বিবাহ করিলেন । উলুপী আবার তাহাকে গঙ্গাদ্ধারে ফিরাইয়া দিয়া গেলেন, বর দিলেন সমস্ত জলচর তোমার বশ হুইবে ( ঐ, ২১৬,৩৬), অর্থাৎ সব জলচারী নাগের তোমার বশীভূত হইবে। এই জলচারিণী কথাটি উপেক্ষণীয় নহে। নাগের বাস্তবিকই জলাশয়ের তীরে, নদীর তীরে বাস করিত, তাহারাই জলের মালিক । বেদেও পাই— নাগের জলধারা অবরুদ্ধ করিয়া আৰ্য্যদের মূঞ্জিলে ফেলিতেছেন। লৌদ্ধসাহিত্যেও দেখি ইহারা সব নদীর উপর প্রভূত্ব করেন । ইহার নৌকাযোগে সৰ্ব্বত্র গমনাগমন করিতে পটু ছিলেন । এই কথা পুরাণেও পাই । এবং তাহারা সমুদ্রের দ্বীপে গিয়াও বাস করিতেছিলেন। ইহার কারণ পূৰ্ব্বেই দেখান হইয়াছে। ভারতসমুদ্রের দ্বীপে ইহারাই ভারতের পরিচয় বহন করেন। মহাযান লঙ্কাবতার গ্রন্থে দেখি সমূদ্রদ্বীপে নাগলোকে বুদ্ধ গেলেন ।