পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|రిసిe উলুপীর নিকট হইতে বিদায় লইয়া অৰ্জ্জুন হিমালয়ের পার্শ্ব দিয়া অগস্ত্যবট বশিষ্ঠপৰ্ব্বত প্রভৃতি তীর্থ দেখিয়া অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ দেশ দেখিলেন ( আদি, ২১৭ अक्षTश्न, ००३ ) । এ তে কেবল মহাভারতের আদিপৰ্ব্ব হইতে দেখান গেল। এইরূপ সমস্ত পুরাতন ইতিহাস খুজিলে নাগদের পরিচয় নানা ভাবেই পাওয়া যায়। বৌদ্ধসাহিত্যেও নাগদের বহু উল্লেখ আছে। তার মধ্যে মহাযান শাখা হইতে দুইএকটি স্থান দেখান যাক। বৌদ্ধ রাজা অশোকের বংশপ্ৰবৰ্ত্তক শিশুনাগ (বিষ্ণুপুরাণ)। মহাবংশ-মতে শিশুনাগ ছাড়া নাগদশক নামেও রাজা আছেন ( রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র কৃত নেপালের সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিতা ৭৮ পৃষ্ঠা )। স্বয়ম্ভূপুরাণ-মতে গৌড়রাজ প্রচগুদেব দেবী বীরবতীর ভক্ত ছিলেন। তিনি স্বয়ত্ব ক্ষেত্রের মহিমা শুনিয়া ভিক্ষু হইয়া শাস্তিকর নাম লন । তিনি ৫টি দেবস্থান প্রতিষ্ঠিত করান। তার পঞ্চমটির নাম নাগপুরী। নাগপুরী বরুণ নাগর অধিষ্ঠিত। সেখানে পঞ্চগব্য দিয়া পূজা করিলে বৃষ্টি লাভ হয় (স্বয়ম্ভূ-পুরাণ, ৭ম)। একবার নেপালে ৭ বৎসর অনাবৃষ্টি দুর্ভিক্ষ মহামারী হয়। দুঃখ শান্তির জন্য শান্তিকর অষ্টদল পদ্ম আঁকিয়৷ অষ্ট নাগকে আহবান করেন । নাগের আপিলেন। বরুণ নাগ পদ্মের মধ্যস্থলে বসিলেন । তিনি শ্বেতবর্ণ, ৰিভূজ সপ্তফণ। পূৰ্ব্বদলে নীলবর্ণ অচণ্ড নাগ বসিলেন। দক্ষিণ দলে মৃণালবৰ্ণ পঞ্চফণান্বিত পদ্মক নাগ। পশ্চিম দলে নবফণান্বিত কুঙ্কমবর্ণ তক্ষক নাগ । উত্তর দলে সপ্তফণাযুক্ত হরিদ বর্ণ বাস্থকি । দক্ষিণ-পশ্চিম দলে হরিদ বর্ণ শস্থ নাগ। উত্তর-পূৰ্ব্ব দলে ত্রিফণান্বিত শ্বেতবর্ণ কুদ্ধনাগ । উত্তর-পূৰ্ব্বে স্ববর্ণবর্ণ মহাপদ্ম নাগ—সব আসিলেন। দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব দলের অধিকারিণী নীলবর্ণ কর্কট নাগ আসিলেন না। গঙ্গাবতীর দক্ষিণে আধার হ্রদ হইতে শান্তিকর তাহাকে বলপূৰ্ব্বক আসিতে বাধ্য করিলেন। নাগদের পূজায় প্রচুর বৃষ্টি হইল। এই নাগদের রক্ত লইয়া শাস্তিকর পদ্মদলা লীন নাগঙ্গের চিত্র করাইয়া মাগপুর রক্ষা করিলেন। তাহাতে ছুর্ভিক্ষ প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩২৯ AeeMAeAAASAASAASAASAAASAAA SASAS A SAS AAAee SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS AAAAASAAAAS AAASASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS هخصیتخمیی { ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড AూA *. ও অনাবৃষ্টির প্রতিবার হইল (স্বয়ন্থ পুরাণ, ৮৮) পূৰ্ব্ববঙ্গেও প্রবচন আছে-“নয় নাগের ঘরে জয়কার श्ल” ; इंश cबोक-चांभTांन-छांउ । (छू:-दिखग्रखरश्वब्र পদ্মাপুরাণ, ৩• পৃষ্ঠা, ১১৫ পৃষ্ঠা । ) ভগবান ক্রকুচ্ছন্দ নেপালের বাগমতী নদীর তীর্থ বর্ণনায় বলেন—বাগমর্তীতে রক্ত স্ত্র নামে নাগ অাছে। কেশবতী নদীর সঙ্গে বাগমতীর সঙ্গমে চিন্তামণি তীর্থ। সেখানে বরুণ নাগ সৰ্ব্বকামফলপ্রদ। বাগমতী-রত্নবর্তী সঙ্গমে রামোদক তীর্থ। সেখানে পদ্ম নাগ কাম ও ভোগ পূর্ণ করেন। বাগমতী-চারুমতীর সঙ্গমে স্বলক্ষণ তীর্থ। সেখানে পদ্মনাগ সৰ্ব্বসৌভাগ্যপ্রদ। তার পর দ্বাদশ্ব পুণ্যস্থানের বিবরণে ক্রকুছন্দ বলেন যে সেখানে নৈমিত্তিক যোগ-স্বান হয়। যোগ বিশেষে অনন্ত হ্রদে অনন্ত নাগের পূজায় ধনলাভ হয় (স্বয়ম্ভু পুরাণ ৫৮)। মহাভারতের বনপর্বে ৮৩ হইতে ৮৫ অধ্যায়ে কয়টি নাগতীর্থের বর্ণনা আছে। লঙ্কাবতারের মতে বুদ্ধ মহাসমূত্রে নাগদের রাজধানীতে যান, তার পর লঙ্কায় মলয় পৰ্ব্বতে যান। রাব র্তার অর্চনা করেন। - কাশ্মীর, চাম্বা প্রভৃতি হিমালয় প্রদেশে অতি প্রাচীন নাগপূজা দেখিয়াছি, তাহাতে শিবের সঙ্গে কোনো বিরোধই নাই। সে-সব স্থলে নাগের জলধারা বা জলাশয়ের রক্ষক। বেদেও জলপ্রবাহের উপর নাগের হাত আছে দেখিতে পাই। জলের গতিই সৰ্পেরমত। বৃত্ৰও সৰ্পেরই স্বরূপ । কিন্তু মনসা নামে যে নাগদেবতার নূতন রূপ বাংলাদেশে আসিল তাহার মূল কোথায় ? ইহা নূতন, কারণ মনসাঁর পূর্ববর্তী শিব প্রভৃতি দেবতার পূজার সঙ্গে ইহার ভয়ঙ্কর বিরোধ । বাংলাদেশের মনসা-পূজায় এই আস্তীক স্তরটি সব নীচের স্তর। কারণ আমাদের মনসার প্রণামমন্ত্রটি এই—“তুমি আস্তিক মুনির মাতা, বাহুকি নাগের ভগিনী, জগৎকারু মুনির পত্নী, তোমাকে নমস্কার।” কিন্তু এই প্রাচীন নাগপর্বের কথা লইয়া মনসা ,ও চাদসাগরের বিবাদ ও শিবপূজার সঙ্গে নাগপূজার