পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ ৩য় সংখ্যা ]

  • যে তার অপমান হইয়াছে। তখন তিনি শৃগাল (শিব) বাহনে চড়িয়া শিবপুরে চলিলেন। অম্বাবর নিজের এক দুর্গ স্বষ্টি করিয়া তাহা পরিখাবেষ্টিত ও শম্বকণ্টকিত ওঁ এক শত শক্তিদেবী দ্বারা রক্ষিত করিয়া দ্বাদশফণাযুক্ত নাগকে পুরীবেষ্টন করাইয়া রাখিলেন। নাগ নগরতোরণের উপর বিষ-ফুৎকার করিতে লাগিল। অম্বাবরু স্বষ্টি তোলপাড় করিয়া জগং চুর্ণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। ব্ৰহ্মা বিষ্ণু শিবের ও সাতরাজার মাথা কাটা গেল ও আবার জোড়া দেওয়া হইল। রাজারা নিজের কাটাকাটি করিয়া মরিতে বসিল ।

কিছুদিন যায়। আবার নয়রাজা অম্বাবরুর পূজা ছাড়িয়া তিলক ধারণ করিল। দেবী দেবগিরিপুরে চলিলেন। প্রহরী বাধা দেয় । অম্বাবর ফলের পসরাধারিণী হইয়া আসিয়াছিলেন। তিনি সকলকে নিদ্রায় অচেতন করিলেন। তখন তিনি পসরা লইয়৷ হাকিলেন— “হে পূৰ্ব্বপাড়ার শূদ্ৰা ভগ্নীগণ, ও পশ্চিম শড়ার ব্রাহ্মণ ভগ্নীগণ, দক্ষিণ পাড়ার কাম্মা ভগ্নীগণ, ফল চাই ? অপূৰ্ব্ব ইহার শক্তি।” প্রহরী আসিয়৷ তাকে বেত মারিল। তিনি পসরা মাটীতে ফেলিতেই ভূমিকম্প হইল। তখন তিনি শৈব লিঙ্গায়েং (লিঙ্গপূজক ) মূৰ্ত্তি ধরিয়া ভস্ম মাখিয়া শম্বঘণ্টা বাজাইয়া "নমঃ শিবা” বলিতে বলিতে পুরীতে প্রবেশ করিলেন। তারপর অনেক কথা। অবশেষে শুকপক্ষী হইয়া তিনি নগরের তোরণের উপর বসিলেন। নয়জন শিবপূজক শিবপূজা করিতেছিলেন । হাতের শিব তপ্ত আগুনপ্রায় হইয়া উঠিল । শৈবের বলিলেন— “তোমার পুরী দগ্ধ হইতে চলিল, হে শিব, আমাদের ছাড়িয়া দাও, আমরা ঘরে ফিরিব । ঢের হইয়াছে, তোমার পূজা করিয়া আর ফল নাই। এখন মহা বিপদ উপস্থিত।” শিব প্রহরীদের বলিলেন—“বাহিরের কেহ কি আসিয়াছে ?” প্রহরীরা বলিল—“এক শিবভক্ত নারী আসিয়াছে মাত্র।” শিব এক প্রমথকে বলিলেন—“র্তাকে বাহির কর।” দেবী অনেক কষ্টে ধরা পড়িলেন । শিব র্তাকে তপ্ত দণ্ডে বাধিয়া মারিতে গেলে দণ্ড শীতল হইল । ন্যজন-শৈব আঘাত করিতে গেলে তাহাদের হাত স্তম্ভিত হইল। দেবীকে দলিতে গিয়া হস্তী স্তম্ভিত হইল। তপ্ত বাংলায় মনসা-পূজা AMMMMMMMAMeMe AeMAMAMAMAMAM AM AAA MMAM eM MM eAAA AAAA AAAAMMMAMMMSAS SSAS Sసిలి iA AMA MM AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAAM MA AMAM MAAA AAAA AAASA SAASAASSAAAAA AAAAMeeS পোলায় দেবীকে ভাজিতে গেলে খোলা জুড়াইয়া গেল । দেবী প্রচণ্ড হইয়া শুকমূৰ্ত্তি ধরিয়া কহিলেন—“হে শিব, আমার শক্তি বুঝাইয়া ছাড়িব । হে রাজা ও রাজপুত্রের, অামাকে পূজা করিবে কি ?” রাজা ও রাজপুত্রের কহিলেন—“হে অন্মাবক, আমরা স্ত্রীলোক দেবতা পূজা করিব না। নারীদেবতাকে হাত তুলিয়া প্রণাম করিতে পারিব না। নমঃ শিবায়’ ছাড়া অন্য নমস্কার উচ্চারণ করিব না। তারপর তুমি আবার দেবী নাকি ?” দেবী র্তাদের শfসাইলেন, রাজারা ভয় পাইলেন না। দেবী ক্রোধে কহিলেন পুর ধ্বংস করিবেন। শিব কহিলেন—“অন্মাবর যা খুলী করুন, তাকে দেবী বলিয়া পূজা করা হইবে না।” তখন অন্মাবর ঘোর নির্য্যাতন স্বরু করিলেন। নানা দুর্নিমিত্ত রোগ বিপং সব উপস্থিত হইল, সব ধ্বংস হইতে লাগিল, জল ও উষ্ঠান শুকাইল, ঝড় চলিল, গাড়ী গাড়ী মৃতদেহ বহিয়া নেওয়া কঠিন হইল। তথন নয় রাজা দুঃখে কষ্টে শিবকে অভিসম্পাত করিলেন—“তোমার জটার গঙ্গা রক্তধারা হউক, পাত্র ফাটুক, মালা ছিড়ক", ইত্যাদি । শিব ভয় পাইলেন না, তিনি সকলকে আবার প্রাণ দিলেন। তখন অন্মবন্ধ দেবগিরিতে ফুল বেচিতে গেলেন । বাজারে মূল্য জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন “সোনার ওজনে ফুল বেচিব।” রাজার শিবপূজার জন্য অন্মাবরুর পুরীতে সেই মহার্ঘ ফুল চুরি করিতে গেলেন। অন্মাবক তখনি রাজাদিগকে ধরিয়া শূলে পুতিয়া মারিলেন । শত্রুরা পরাজিত হইল। ( Village Gods of South India, pp. 124-137.) এই তো সেই পুথির গল্প। ইহাতে মনসা ও শিবের ঝগড়ার মত কথা আগাগোড়া পাই। শৈব রাজার চান্দসদাগরেরই মত। উত্তর-ভারতে বাংলার বাহিরে এরূপ গল্প শুনি নাই । মালাবার-উপকূলের দিকে প্রতি বাড়ীর একটি অংশ নাগের বাসস্থল বলিয়া পবিত্র রাখা হয়। সেই স্থানটি খুবই স্বন্দরব্রুপে গাছপালায় ঢাকিয় স্বত্ৰী করিয়৷ রাখিতে হয়। এক শ্রেণীর নম্বুদ্রি ব্রাহ্মণ নাগ-পূজার বিশেষ পুরোহিত। তারা ছাড়া সে নাগ-বাসস্থানে কেহ হস্তক্ষেপ করিতে পারে না । ( Ethno