পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা } ভারতের কোন সতীই এই পদ্ধতিতে ঘর ছাড়েন নাই । তাই চাদ বেহুলাকে যাইতে মান করেন (দ্বিজ বংশীদাসের পদ্মাপুরাণ, ৩২৫ পৃষ্ঠা )। আমাদের দেশের সতীলক্ষ্মীদের মধ্যে এত বড় তেজ প্রায় দেখিতে পাই না। বেহুলার তেজ ও নির্ভীকতা বিবাহকাল হইতে । র্তাহার স্বামীসহ সমূত্রে ভাসিয়া পড়াও কম সাহসের কথা নয়। তারপর শ্বশুরবাড়ী স্বামী-সহ ডোম সাজিয়া যাওয়ার মধ্যে যে একটি পরিহাসপ্রিয়তা আছে তাহা খুব স্বাধীন ভাবে চলা-ফেরা করার অভ্যাস না থাকিলে আশা করা যায় না। দেবপুরীতে নৃত্য করিয়া দেবতা প্রসন্ন করা দেবদাসীর কাজ। তাহ বাংলা দেশের প্রথা নয়। তাহ তৈলঙ্গেরই বস্তু। বিজয়গুপ্তের পদ্মাপুরাণেও দেখি শিবপুর দক্ষিণে, ( २**, २२२, २st, २०० शृछैi) cनवशूद्रौe अभि१ ( २०७, ২ ৪ পৃষ্ঠা )। র্তার গ্রন্থেও কর্ণাটরাজ নরসিংহের কথা আছে (পদ্মাপুরাণ, ৭২ পৃষ্ঠা )। মনসা-পূজা সমুদ্রের হারমাদ দ্বীপে [ পর্তুগীজ ডাকাতদের দ্বীপ (তুঃ Armada ) ] হইত (পদ্মাপুরাণ, ১২২ পৃষ্ঠা )। বছাই হালুয়া অর্থাৎ চাষ, প্রথম পূজক (তথা বংশীদাসের পদ্মাপুরাণ, ৭২ খৃ: ) - সমুদ্রের দ্বীপে চাদ মনস-মন্দির দেখিতে পান ( বংশীদাসের পদ্মাপুরাণ, ১৮৪ পৃষ্ঠা )। আজ যে-সব প্রমাণ বলিলাম ইহার জন্য তো বিশেষ কিছু পরিশ্রম করা হয় নাই। আমাদের দেশের একদল তরুণ বিদ্যার্থীর ও একদল জ্ঞানতপস্বীর উচিত এইসব দেশে থাকিয়৷ তাদের রীতিনীতি, গ্রামদেবতা, গ্রামদেবী, পূজাপদ্ধতি, আল্পনা, ত্রতের কথা, দেবদেবীর কথা, প্রবচন, শিশুতুলান ছড়া, গল্প, রূপকথা প্রভৃতি, দেবদেবীর মূৰ্ত্তি, মন্দিরের গঠন, নিত্যব্যবহার্য্য বস্তুর গঠন, পাক করিবার কাপড়ে তসরের স্যায় পাকা রং করিবার উপায় రిసి(t TAAA AAAA AAAASASASS প্রণালী, শিশুদের খেলনা, নানাবিধ Decoration ( মণ্ডন ), বিবাহ প্রভৃতিতে স্ত্রী-আচার, নারীশিল্প প্রভৃতি তন্ন তন্ন করিয়া দেখা ও আলোচনা করা । এ বিষয়ে আমি আরও কিছু কিছু ভবিষ্যতে বলিব । বক্তব্য সব কথা আজ বলা হয় নাই। বাংলাতে মনসা-পূজাতে মহাভারত ও পুরাণাদিতে উল্লিখিত বাহকি ও তক্ষকের নাম আছে বটে এবং মনসাকে বাস্থকির ভগ্নী ও জরৎকারুর পত্নীও বলা হইয়াছে, কিন্তু তথাপি এই মনসা সেই যুগের নহেন। তখনকার নাগলোকের কথা বাংলায় নাগপূজার মনসার প্রভাবে তলাইয়া গেছে। বৌদ্ধ বাহুকি, অনন্ত, পদ্ম প্রভৃতিও নামেই আছেন। আসল চিত্রটি দেখি চেংমুড়ী মনসায় এবং তাহাকে ঠেকাইতে গিয়া শৈব চাদসদাগর হেঁতাল হাতে দাড়াইয়াছেন। এতবড় বাঙ্গালী বীরও নারীর চক্ষুর জলে হার মানিয়া মনসাকে অগত্য বামহাতে পূজা করিতে বাধ্য হইলেন । বাংলা দেশ যেমন দক্ষিণের রাজাদের ঠেকাইতে পারে নাই, তেমনি দক্ষিণের দেবতাদের ঠেকাইতে পারিল না। চাদসদাগর খুব কঠিন রকমের শৈব, কিন্তু গ্রাম-দেবীর কাছে তাকে মাথা নোওয়াইতে হইল। কারণ গ্রামদেবীর ভয় ও লোভ দেখাইয় প্রথমে নারীদের বশ করে ; কাজেই তখন পুরুষরা দীর্ঘকাল তাহাদিগকে ঠেকাইয় রাখিতে পারে না । * শ্ৰীক্ষিতিমোহন সেন

  • প্রবন্ধট ১০ই বৈশাপ ১৪২৯ শাস্তিনিকেতনে সান্ধ্য আলোচনা

সভায় পঠত। শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুব মহাশয় সভাপতি ছিলেন। তিনিও দুই-এক স্থলে কিছু কিছু নির্দেশ করিয়াছেন। কাপড়ে তসরের ন্যায় পাকা রং করিবার উপায় আাধপোয় হিরাকস, একসের জলে মিশাইয় এক পোয়ার কিছু কম বার্লার আঠা তাহাতে গুলিয়৷ দিবেন। তারপর খানিকটা গেরিমাট-চুর্ণ উহাতে দিয়া কাপড় ডিজাইবেন। কাপড়খান, খুব ভিজিলে—তুলিয়া د لا-س-{ه ه শুদ্ধ করিয়া চুণের জলে ভিজাইয়া, জলে ধৌত করিয়া লইবেন । ইহাতে কাপড়ে তসরের ন্যায় স্বন্দর পাকা ছোপ লাগিয়া যাইবে । শ্ৰী নগেন্দ্রচন্দ্র ভট্টশালী