পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసి ఆ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [ २२ं खांशं, *त्र श्रु७ि. SAMA AMMAAAS AAASASAAA SASAMA AMMAMAAAS নন্দীহাটির বড়বাবুর তিনটি মেয়ে আর একটিমাত্র ছেলে । মেয়েদের বিবাহের সময় বড়বাবু যত হাজার টাকার দান-সামগ্ৰী দিবার অঙ্গীকার করেছিলেন তার চেয়ে পাঁচ-দশ হাজার বেশীই প্রত্যেককে দিয়েছিলেন। শুধু দিয়েছিলেন বললে যথেষ্ট হবে না, দেওয়াটা যে র্তার কাছে কতখানি সামান্ত ব্যাপার তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন একথাও বলা দরকার। বড়বাবু গহনা কাপড় বাসন আসবাব সব কিছুর দামের রসীদগুলি বরকর্ডাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এবং ভাল জিনিষ দিতে হলে টাকার মায়া করা যে - কতখানি দীনতার পরিচায়ক সে কথা অতিথি অভ্যাগত বরযাত্ৰী কন্যাযাত্রী সকলকেই কোন না কোন অছিলায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। নীহাটির বাবুদের মেয়েদের খাট কতখানি উচু, কত হাত লম্ব, কতখানি চওড়া না হলে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত হয় একথা জানতে এই-সব বিবাহ সভায় কম লোকেরই বাকি ছিল । ক চ ওজনের কয় প্রস্থ গহনা না হলে সে বাড়ীর মেয়ের ভদ্র-সমাজে মুখ দেখাতে লজ্জা বোধ করেন, এবং কত শ’ টাকা দামের কয়খানা সাচ্চ জরির বুটিদার বেনারসী শাড়ী বাক্সে না থাকলে র্তারা শ্বশুরবাড়ীর চেয়ে যমের বাড়ীর পথই শ্রেয় মনে করেন এ-সকল তথ্যও প্রতি কন্যার বিবাহে নিমন্ত্রিভা অন্তঃপুরিকার সযত্বে সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিলেন । নীহাটির বাবুদের অনেক-কালের বনিয়াদী ঘর। তাদের পাঁচমহল বাড়ীর পাকা ভিড় আর গাথুনি যেমন এতকাল ধরে অচল অটল হয়ে আছে, তেমনি चक्रण अफैल झटञ्च श्रांrछ् ऊँीएनब्र नश्नांtब्रव्र वाहेनকামুন রীতিনীতি। ছেলে-মেয়ের বিবাহে বর্তমান বড়বাবুর প্রপিতামহ যেসব নিয়ম প্রবর্তন করেছিলেন আজ পৰ্য্যন্ত সে সব নিয়মের একচুল পরিবর্তন করাতে বড় কেউ সাহস করেনি । বড়বাবুও কোনোদিন করতেন কি না সন্দেহ যদি না দুৰ্ভাগ্যক্রমে তার जैौवनकांप्न cत्रश्लङ शृङ्ग-श्ब्रश्ब्र श्रब भांख बांश्णांब्र বুকে এমন একটা ঝড় তুলে দিতেন। স্নেহলতা যখন প্রাণের চেয়ে মানকেই মানুষের কাছে বড় বলে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, সেই সময় নীহাটির বড়বাৰু ছিলেন তাদের সমাজের সমাজপতি। স্নেহলতার চিতার আগুনের আলোয় বড়বাবুরও চোখ ক্ষণিকের মত ঝলসে গিয়েছিল ; তাই তিনিও । ংশ নিয়মের দিকে না তাকিয়ে বাংলাদেশের আর দশজনের মত কতকগুলো প্রতিজ্ঞ করে ফেলেছিলেন। বড়বাবুর কপাল খুব মন্দ ছিল না ; কারণ র্তার তিন মেয়েরই তখন বিবাহ হয়ে গিয়েছে ; বাকি ছিল কেবল ছেলেটির। - - সাধারণ গৃহস্থ হয়ত মনে করতে পারেন এরকম সময় ছেলের বিয়ে বাকি থাকাটাই ত মন্দ ভাগ্যের কথ। । কিন্তু নীহাটির বাবুরা তা মনে করতেন না। তাদের টাকার অভাব ছিল না—ছিল ঐশ্বৰ্য্য দেখবার লোকের অভাব । স্বতরাং এরকম দিনে ছেলের বিবাহ দেওয়াতে তাদের নাম-যশও বাড়বার বেশী সম্ভাবন থাকৃবে, এবং ঐশ্বৰ্য্য দেখাবার পথেও কোন বাধা পড়বে না। বড়বাবু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মেয়েদের বিবাহে পণ দেবেন না এবং ছেলের বিবাহে পণ নেবেন না । পণ না দিলে তার মেয়েদের যে কি রকম স্বামীভাগ্য হত, তা ৰডুবাবুর খুব ভাল করেই জানা ছিল, কিন্তু একথাও সেই সঙ্গেই তার জানা ছিল যে তার তিনটি কন্যাই বিবাহিত । পুত্রের বিবাহে পণ না নেবার প্রতিজ্ঞাটা করা তার পক্ষে খুবই সহজ ছিল, কারণ যে-সব ঘরের সঙ্গে নীহাটির বাবুদের কাজ-কৰ্ম্ম চলত সে-সব ঘরে পণের দাবী না করলেও পাওনা কিছুমাত্র কম হয় না। আর যদি তা কম হুয়ও তাতে নন্দীহাটির ঐশ্বৰ্য্য-সমুদ্রের জলে জোয়ার-ভাটার খেলা দেখা যায় না। বড়বাবু রায় মোহিনীমোহন চৌধুরী বাহাদুরে পুত্র কিশোরীমোহন কলেজে-পড়া ছেলে পিতার, প্রতিজ্ঞার কথা শুনে সে মাকে বললে, “বাবা, যদি; সত্যি এ-রকম কথা বলে থাকেন, তবে কিন্তু ম: