পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] SA S AJeeMA SAM MA S ee MS MS MS SM MAAA S তোমরা কুহুমটি কি লোহাগড়ে পাবে না।” - মা দুই চোখ কপালে তুলে গালে হাত দিয়ে বললেন, “শোন একবার কলির ছেলের কথা ! কথায় বলে বরটি না চোরটি। আমরা কি করব না-করব তার ভাবনা তোকে এখন থেকে কে ভাৰতে বলেছে রে ? তুই যা নিজের চরকায় তেল দিগে যা।” ছেলে বললে, “নিজের চরকায় তেল দিতে চাই বলেই ত চোরটি থাকৃতে পারছি না। সভা ভেকে প্রতিজ্ঞ করে তারপর লাখ টাকার জিনিষ ঘরে তুলে যে বলবে বিনাপণে ছেলের বিয়ে দিয়েছি, ও-সব দ্যাকামো আমাকে নিয়ে আমি করতে দেব না।” মা বললেন, “ওরে আমার শাক্যমুনি রে! কি করতে হবে শুনি ! হাড়ীর মেয়েকে ছেলের বউ করে আনতে হবে ? ভদ্রলোকের মেয়ে যে কোথায় দশ বিশ হাজার সঙ্গে না নিয়ে শুধু হাত নাড়তে নাড়তে শ্বশুর ঘর করতে যায় এও ত কখন শুনি নি।” ছেলে বললে, “এইবার তাহলে শোন। তোমরা যখন নেব না বলেছ তখন যে ভদ্রলোক না চাইলেও দিতে পারে তার মেয়েকে বউ করতে পাবে না। এ আমি বলে দিচ্ছি ; একথার আর নড়সড় নেই।” মা ঝঙ্কার দিয়ে বললেন, "কথার মারপ্যাচ না করে -সোজ-স্থজি বলনা কোন ছোটলোকের জামাই হবার সখ হয়েছে ?” বিশেষ কোনো ছোটলোকের জামাই হবার সখ যে কিশোরীমোহনের হয়েছিল তা নয়। কুহুমটি আর লোহাগড়ের জামাই না-হুবার সর্থটাই আপাতত তার খুব বড় হয়ে উঠেছিল । মোহিনীমোহন ছেলের কথা শুনে প্রথমটা একটু ক্ষুব্ধ আ { বিরক্ত হয়েছিলেন, কিন্তু সে কেবল ক্ষণিকের জন্ম। লোহাগড়ের মেয়ে না এনেও যে ছেলের বিয়েতে সংসারকে তাক লাগিয়ে দেওয়া যায় এই তথ্যটা প্রমাণ করবার দিকে অকস্মাং তার সমস্ত কোক গিয়ে পড়ল, তিনি বলল্লেন, “আচ্ছা তাই হবে। কাঙালের ঘরের মেয়েই আমি আন্‌ব। নীহাটির পরশপাথর যে SAS S S AAAAAMS YSD AAAAS AAAAAS S S S S S वांथांब्र नरक कद्भरङ মানের দায় SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAM MeM eeeMeMAMAMAM SMMAeMMMMAM MMAAA SAAA AAAA SAAAAMMAAAMM MeMAAASAASAASAASAA AAAS శ్రీనరీ ماني.. মাটিকেও সোনা করে তুলতে পারে এবার আমি তাই দেখাব ।” 款 মেয়ে খোজার ধুম লেগে গেল। নীহাটির বাবুদের এ এক নূতন খেয়াল ! এ বাড়ীর বধূদের নাক মুখ চোখ রং সব চিরকালই এদের মাপকাঠিতে মেপে নেওয়া হয় ঘটকদের তা জানা ছিল, কিন্তু বধূর পিতার দারিদ্র্য মেপে নেবার কোনো মাপকাঠির খবর তাঁদের জানা ছিল না। এবার একথা বেচারীরা প্রথম শুনলে। বড়বাবুর ভাবী বৈবাহিকের দীন মূৰ্ত্তি কল্পনা করতে তাদের মাথা লজ্জায় হেট হয়ে আসছিল কিন্তু বড়বাবুর মাথাটা গৰ্ব্বভরে যেন আকাশে গিয়ে ঠকৃতে চাইছিল। *. অনেক খুজে-পেতে বা দূর মনের মত দরিদ্র একটি বৈবাহিক পাওয়া গেল। মেয়েটিও রূপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল । মেয়ের বাপের ভিটেমাটি কিছুই ছিল না । স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বলে যে দুটো কথা আছে তাও তার ভাল করে জানা ছিল না, স্বতরাং কোনো রকম সম্পত্তি যে ছিল না সে ত বলাই বাহুল্য । একখানা মাত্র ভাড়াটে ঘর এবং রান্ন করবার মত একটুখানি ঘেরা বারাও নিয়ে কলিকাতার কোন সহরতলীর একটি একতালা বাড়ীতে ভদ্রলোকের দিন কাটত । এমন বড় ঘর থেকে তার মেয়ের সম্বন্ধ এসেছে শুনে বেচারীর দুই চোখে হু হু করে জল এসে পড়েছিল। অনেকে বলে আননেই তার চোখে জল এসেছিল, অনেকে বলে ভয়ে । মেয়ের বিয়ে দিতে তিনি একটু ইতস্তত: করবার উপক্রমও করেছিলেন। কিন্তু তার উপক্রমণিকার আগেই মোহিনীমোহন তাকে এমন চেপে ধরলেন যে দরিদ্র হরিনাথ আর কোনো কথা বলতে সাহস পেলেন না। অগত্যা বিবাহের সম্বন্ধ পাক-পাকিই হয়ে গেল। বিবাহ হয়ে গেল। পাক-দেখা, গায়ে-হলুদ, অধিবাস প্রভৃতি নানা অনুষ্ঠানের নামে মোহিনীমোহন চাল, ডাল, ঘি, তেল, ময়দ থেকে স্বরু করে টাকা, মোহর, অলঙ্কার বেণারসী শাড়ীর এমন প্লাবন স্বরু করলেন যে কারুর আর বুঝতে বাকি রইল না হরিনাথের কন্যার বিবাহের খরচটা কোথা থেকে হবে । বিবাহটী ষে ঘটা করেই হল তা বলাই বাহুল্য। তবে বিবাহ-সভায় इब्रिनोंथ छांप्लां