পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసి, يبية معايبيه আর সকলকেই সেদিন কন্যাকৰ্ত্তা বলে মনে হচ্িেছল এই যা একটু ক্রটি। " নীহাটির বাবুদের বাড়ীতে নিয়ম ছিল বউ অনুবার সময় বাড়ীর পুরানো দাসীর হাতে তারা বধূর জন্য একপ্রস্থ গহনা ও পোষাক পাঠিয়ে দেন। দাসী বধুর পিতৃগৃহের বস্ত্র অলঙ্কার সবের বদলে শ্বশুর-গৃহের আভরণে নববধূর আপাদ-মন্তক আচ্ছন্ন করে তার পর পাৰীতে বউ তোলে। বধুর পিতা ধনীই হোন কি দরিদ্রই স্থোন র্তার ঘরের কোনো অলঙ্কার কি বেশভূষা অঙ্গে নিয়ে সীহাটির কোনো বধু কখনও শ্বশুরের পান্ধীতে পা দিতে £ांग्न नि । কিশোরীমোহনের বউ আনতে যেতে হবে। কিশোরীমোহনের মাছুষ-করা বুড়ে ঝি দেখলে শুভক্ষণ বয়ে যায় কিন্তু মায়ের ত বউ আনবার আয়োজনের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কিশোরীমোহনের জননী উচু পালঙ্কের উপর রূপের পানের বাটা কোলের কাছে নিয়ে শুয়ে আছেন, দাসীরা তার অঙ্গসেবা করছে আর মাঝে মাঝে গৃহিণীর বামহস্তের দক্ষিণ একটি করে পান গালে পুরছে । খাটের নীচে মেঝেতে গালিচার উপর কুটুম্বিনীরা কেউ শুয়ে কেউ বসে গৃহিণীর মন খুনী করবার জন্য র্তার রূপ, গুণ, ঐশ্বৰ্য্য, দয়া, দক্ষিণ্য, সব কিছুর সাত-মুখে প্রশংসা করছেন। কি জানি কোন পথে গৃহিণীর হৃদয় জয় করে ফেলা যায়। এইবেল সব কটা পথেই ঘুরে ফিরে দেখা ভাল। এ সময়ে স্বনজরে পড়তে পারলে ছেলের বিয়ের দক্ষিণাটা ভাল রকমই পাওয়া যাবে। খাটের গোড়ায় ইটু গেড়ে বসে গৃহিণীর ভাগ্নেবউ তার কঙ্কণ-শোভিত হাতখানা নাড়তে নাড়তে সবে বলতে স্বরু করেছেন, “ঢের ঢ়ের রূপসী দেখলাম কিন্তু আমাদের মামীমার—” এমন সময় বুড়ী ঝি এসে বললে, “বলি, হ্যাগ মা, নোতন বোয়ের গয়না কাপড় কি আর আজকে বার করে দেবে না ? বেলা কি মানুষের মুখ চেয়ে বসে থাকৃবে ?” গৃহিণী কিছু বলবার আগেই কিশোরীমোহনের দিদি বললেন, “সে-বাড়ী গিয়ে বলিস্ কনের মাকে, তোমাদের বাড়ীর গয়না-গাটি খুলে দাও, তারপর যদি প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড খুলে নেয় কিছু ত লোক পাঠিয়ে দিস আমরা গহনা পাঠিয়ে দেব।” ঘরে হাসির বন্ত বয়ে গেল । গৃহিণী হাই তুলে বললেন, “নে থাম্সরি, বাক্স থেকে ময়ুরকষ্ঠী বেণারসীট বের করে দে, একটা ত কিছু নৃন্ন পরিয়ে আনতে হবে।” ভাগ্নে-বউ বললেন, “যা বললে মামীম, হলই বা এ বাড়ীর কাপড়, তা বলে নূতন কনে বউ আসছে, পর কাপড় পরিয়ে কি আর পান্ধীতে তোলা যায়?” - শুভক্ষণে বউ এসে নামূল। গড়ের বাজনা, রক্ষন চৌকী, শাখের ফুৎকার, মানুষের চীৎকার, উলুধ্বনি, ছেলের কান্না, সব যেন পরস্পরকে হার মানাবার জন্তে সপ্তমে চড়ে উঠল। বন্ধুবরণের আর অভ্যর্থনার পূর্ণাঙ্গ অম্বষ্ঠান করে নন্দীহাটির বড়বাবুর একমাত্র পুত্রের বধূকে ঘরে তোলা হল । 嶺 肇 察 肇 হরিনাথের কন্যা ইন্দিরার ভাগ্যে ভাগ্যবিধাতা ধন জন, সম্পদ, ঐশ্বৰ্য্য সবই লিখেছিলেন কিন্তু মুখ কথাটা লিখতে বোধ হয় ভুলে গিয়েছিলেন। আজন্ম তার অভ্যাস একতালার একখানা ঘর আর বারাগুীয় দু-চারজন মানুষের মধ্যে থাকা, অকস্মাৎ এই বিপুল পাঁচমহল বাড়ীখানার অন্দরে এসে পড়ে সে নিজেকে যেন সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেছিল । শ্বশুরের বাড়ীর অভ্ৰভেদী মহিমা যত সে অনুভব করত ততই তার নিজের অস্তিত্বট তুচ্ছ হতে তুচ্ছতর হয়ে আসত। পিতার দীন আবাসের ছোট চারটি দেয়ালের মধ্যে সে নিজের অস্তিত্বের মহিমায় মহিমান্বিত ছিল কিন্তু এখানে তার মনে হত যেন একটা দৈত্যের যোজন-জোড়া ইায়ের মধ্যে সে সামান্ত একগ্রাস আহাৰ্য্যের মত এসে পড়েছে। এখানকার মানুষগুলোর দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সঙ্গে তার কোনই সম্পর্ক ছিল না, তাদের খাওয়া-দাওয়া বসবাসের ভাবনার সঙ্গে তার ভাবনার কোনে যোগ ছিল না, তাদের কোনো . কাজের ছায়া তার জীবনযাত্রার পথে পড়ত না, তার কাজের করে ভাবনা-চিন্তার ছায়াও তাদের স্পর্শ করতৃ না। একটা বাড়ীর মধ্যে এই যে এতগুলো હtf, এরা যে শুধু বাহিরের দিক থেকে নিজের নিজের আলাদা