পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মহলে থাকৃত তা নয়, এদের বনিয়াদী বাড়ীর পাচিলের মত এদের মনের মধ্যেও মস্ত মস্ত পাচিল তোলা ছিল। এদের স্বামীীর ঘরকন্নাও ছিল আলাদা। বাবুর খাস খানসাম আর গৃহিনীর খাস ঝির এলাকায় ষে কাপড়চোপড় বাসন আসবাব থাকৃত তা কখনও পরস্পরের গণ্ডী অতিক্রম করত না। বাবুর বাহির-মহলের মনেব মধ্যে অন্দর-মহলের স্ত্রীর অনধি .tর প্রবেশ সেবাড়ীতে অতিবড় হাস্যকর ব্যাপার ছিল। হরিনাথের স্ত্রী পুত্র কন্যার মত আত্মীয়-কটুম্বের সঙ্গে সুখ-দুঃখের ছোটখাট তুচ্ছ কথা বলা সে বাড়ীর লোকের অভ্যাস ছিল না। তাদের পদ-গৌরবের মর্য্যাদার কাছে স্বখদুঃখ লজ্জায় মুখ দেখাতে পারত না । ইন্দিরার কাছে তার শ্বশুরের প্রাসাদের এতগুলি মানুষ ছিল কেবল এত জোড়া চোখ । তাদের তীক্ষ চোখের সমালোচনা সে পদে পদে অনুভব করত কিন্তু তাদের মুখের কথায় ভুল সংশোধনের কোনো উপায় সে খুঁজে পেত না। এখানে পরীক্ষক ও সমালোচক ছিল অসংখ্য কিন্তু পরীক্ষার্থী মাত্র একজন, তার না ছিল কোনো নোটের খাতা না ছিল কোনো প্রাইভেট টিউটার । প্রথম দিন যখন ইন্দির শ্বশুর বাড়ীতে খেতে বসল, তখন তার থালার চারিপাশের বাটিগুলো তার চোখে ঠিক মৌচাকের অসংখ্য খোপের মতই লেগেছিল। মধুর সঙ্গে সেখানে স্থলের দেখা পাবারও আশঙ্কা তার যথেষ্ট ছিল । একলাই সে খেতে বসেছিল, চারিদিকে দরজা, জানালা, চৌকাঠ ঘিরে কুতুহলী আত্মীয়া আর কুটুম্বিনীর দল নীরবে নতদৃষ্টিতে তার আহারের পর্য্যবেক্ষণ করতে বসেছিলেন। তার একলার হাত আর মুখের উপর অতগুলো মানুষের একাগ্র দৃষ্টি অনুভব করে সে কেঁপে উঠুছিল, হাত বাড়তে পারছিল না। তাকে চুপ করে বসে থাকৃতে দেখে কে একজন বলে উঠল, “বেীমা, লজা কোরো না। হাতখানা বের কর।” অতি কষ্টে সে আড়ষ্ট হাতখানা থালার দিকে অগ্রসর করল। ইন্দিরার পাতের চারপাশে যে অসংখ্য ব্যঞ্জন সাজানো হয়েছিল তার অধিকাংশের সঙ্গেই তার চিরকালের অপরিচয় । সুতরাং কোনটা যৈ আগে স্বক্ষ করতে হবে তা সে ভেবে *ोझिल नां । दांख्नेौब्र शनि মানের দায় vరిసిసి কেউ তার সঙ্গে বস্ত তবে তার দেখাদেখি অনায়াসে এ পরীক্ষায় সে উত্তীর্ণ হতে পারত, কিন্তু তেমন কেউই ছিল না। দুচারজন কেউ যদি বা ছিল, তারা আজ যেন जवाहे छाम्ननििर्छ श्रृंत्रैौक्ररकङ्ग भङ निईब्र इष्ग्र ७d5श्णि । ইন্দির ভয়ে ভয়ে হাত বাড়িয়ে যে বাটিটা সৰ্ব্বাগ্রে ধর্ল সেট প্রায় শেষ পৰ্য্যায়ের অঙ্গ । তিনচারজন এক সঙ্গে ই ই করে উঠল, “ওকি বেী মা, এ-সব কি মুখেও একবার দেবে না ?” লজ্জায় ইন্দিরার সর্বাঙ্গ শিউরে উঠল। সে হাতখানা সরিয়ে নিয়ে আর-একটা ভুল পাত্রেই হাত দিল । মনে হল খুক্‌ খুক্ করে একটা চাপা হাসির শব্দ ঝরণার জলের মত লীলাভরে একদিক থেকে আর-এক দিকে গড়িয়ে চলে গেল। চকিতের জন্তে মুখ তুলে ইন্দির দেখলে অধিকাংশের মুখেই কোনোরকম বিকারের চিহ্ন নেই, কয়েকজন ঘাড়টা ফিরিয়ে মুখটা গুজে জাড় হয়ে বসেছে কিন্তু হাসির একটা স্পন্দন তাদের অঙ্গে তখনও ८१८ल शां८छ् । हेन्निब्रां श्रांज्रछे श्रञ्च दहन ब्रझेल । मर्नकদের কাছে যেটা হাস্যকর ঠেকেছিল অধিকাংশের অটল গষ্ঠীর মুখ দেখে ইন্দির সেটাকে তার পক্ষে একটা মারাত্মক অপরাধ মনে করে নিয়েছিল। অপরিচয়ের রহস্য তার বিভীষিকা আরো শতগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছিল। হয়ত নীহাটির এটাও কোনো একটা অনুষ্ঠান, যার অঙ্গহানির জন্যে একমাত্র ইন্দিরাই দায়ী। এই সবে সে একটা অপরাধ করে এসেছে আবার এ তার কি হল ? ঘরে ঢুকবার পর যখন প্রণাম আর আশীৰ্ব্বাদের পালা চলছিল, তখন গৃহিণী একজন বর্ষীয়সীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, “এই আমাদের বামুন ঠাকুরুণ।” ইন্দির চিরকাল জানৃত ব্রাহ্মণ মাত্রেই প্ৰণমা, তাই সে তাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে পায়ের ধূলো নিয়েছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মত ব্রাহ্মণঠাকুরাণী ইন্দিরার স্পর্শে শিউরে সরে গেলেন, সমস্ত ঘরখানায় সাড়া পড়ে গেল, দুরন্ত লজ্জা আর অপমানের একটা বহিঃপ্রকাশ অসংখ্য ক্রুদ্ধ সপের গর্জনের মত ঘরের এক প্রান্ত থেকে আর-এক প্রাস্ত পৰ্য্যন্ত শোনা গেল। কিন্তু তার পর এক মুহূর্তেই সব আবার নীরব। খুব যে একটা বড় অপ,াধ হয়েছে, পাচিকাকে প্ৰণাম করে সে যে নন্দীহাটির মুখ হাসিয়েছে একথা তাকে কেউ