পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8е е SSASAS SS T SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS न वळण निtणe नकाणब्र श्रीब्रख् भू१ चांद्र व शंभांप्नब्र শিহরণেই সে বেছিল। কিন্তু কেউ যে তাকে কোনো কথা বলে দিচ্ছে না, ভুল হলে কঠিন শাস্তি না দিয়ে কেবল মর্যাহত মুখ করে তার দিকে চেয়ে দেখছে এইটেই তার সৰ চেয়ে বড় দণ্ড হয়েছিল। বেচারীর বুকের ভিতরটা যেন পাথর হয়ে জমে আসছিল। যে ব্রাহ্মণীকে ইন্দির প্ৰণাম করেছিল, সে এতক্ষণ পরে বললে, “বৌদিদির বাপের বাড়ীতে কি টক ঝাল মিষ্টি সব সমান ?” গৃহিণী বধুর উপর অত্যন্ত চটেছিলেন, ব্রাহ্মণী স্বত্র ধরিয়ে দেওয়াতে তিনি বলে ফেললেন, “তা যেমন বাপের বাড়ীর ছিরি-ছাদ তেমন ত আচার-বিচার হবে!” ঝি-চাকরের সামনে হঠাৎ ঘরের কথা তুলে ফেলায় গৃহিণীর মধ্যাদার যেটুকু হানি হল, তার জন্তে পর মুহূর্তেই আবার ব্রাহ্মণঠাকুরাণীর উপরে চটে উঠে তিনি বললেন, “দেখ বামুন ঠাকুরুণ, দাসী-বাদী হলে দাসী-বাদীর মত হাল-চাল শিখতে হয়, বড়ঘরের কথায় মুখ সামূলে কথা বলবে।” গৃহিণীর কথায় ব্রাহ্মণী নীরব হলেন, সভাও অসময় বুঝে ভেঙে গেল, কিন্তু ইন্দিরার বুকের ভিতর আরো ছক দুরু করে কাপতে লাম্বল। তার গৃহপ্রবেশের উপক্ৰমণিকা তার সমস্ত ভবিষ্যতের রসভাণ্ডার যেন নিঃশেষে নিভৃড়ে ফেলে দিল। তারপর দিনে দিনে ইন্দিরার আরো অনেক খুং বাহির হতে লাগল। বউ ছধের বাটির তলশেযানিটুকুও জল দিয়ে খায়, বউ সকালের কাপড় বিকালে পরে, বউ ভাত খেয়ে উঠে থালার উপর বাটিগুলো তুলে রাখতে যায়, বউ যাকেতাকে বলে বসে তার মা কেমন রাখে কেমন মশলা বাটে । এই রকম ছোট বড় অসংখ্য দীনজনোচিত ক্ৰট ইন্দিরার প্রত্যহ ধরা পড়ত, কিন্তু আশ্চৰ্য্য এই যে তখনকার মত তাকে সাক্ষাৎভাবে কেউ এসম্বন্ধে সাবধান করে দিত না । তারা শ্বেনদৃষ্টিতে তার দোষ ক্ৰটি সব দেখে রেখে মনে গেঁথে তুলে রাখুত, কখন বা বক্রহাসিতে চকিতের জন্য ওষ্ঠে অবজ্ঞা ফুটিয়ে তুলত, আর ছমাস ছমাস পরে অকস্মাং সেইসব খোটার খোচা দিত। & কিশোরীমোহনের মামার বাড়ীতে ছেলে-বউকে মাস দুই পরে নিমন্ত্রণ করেছিল। যাবার সময় বউকে প্রবাসী—অাষাঢ়, ১৩২৯ S S AAAA AAAA AAAA SAAA SAAA AAAA AAAA SAAAAAeeA SAAAAAS AAAAAMAAAS SAAAAAA MeMMMA AMAAA AAAA AAAA S AAAAA AAAA AAAA S [ ૨રમ છીન; ડ્રમ સંહે AAAAAAAS AAAAASAAAAeMAe AA BMA SMAeMSeSeeeeS eSAeAeSMSS সাজিয়ে গুজিয়ে দিয়ে কিশোরীর মেজ বোন বললে, “দেখ ভাই বৌদি, সেখানে গিয়ে যেন জমাদার কি ঝাড়ুদারকে প্রণাম করে বোসে না। দাসী চাকর তারা সবাই সাফ কাপড় পরে, তোমার যদি চিনতে কষ্ট হয় দাদাকে জিজ্ঞেস করে নিও।” বড় বোন সরযু বললে, “আর ভাই, কিছু মনে করে না, কিন্তু তোমার মা যে খুব ভাল ঘুটে দিতে পারেন সে খবরটুকু মামীমাকে না দিলেও চলবে।” গৃহিণী বললেন, “আচ্ছ, আচ্ছ ওর বাপের বাড়ীর শিক্ষা-দীক্ষায় যদি ওটুকু ঘটে না আসে ত যা খুলী করবে। তোরা থামৃত।” সরযু বললে, “হ। থামলেই হলো কি না ? বাবার ত একটা মান মৰ্যাদা আছে, সেখানে গিয়ে বৌছেলে যদি এটাে পাত চাটে আর তেলীর ন্যাকড়া পরে পেত্নী সেজে সাত দিন কাটায় তাহলেই নীহাটির জয়-জয়কার পড়ে যাবে।” শাশুড়ী মুখের হাসি টিপে মুখখান ফিরিয়ে নিলেন। . নিষ্ঠুর কথার বাণে ইন্দিরার সৰ্ব্বাঙ্গ বিদ্ধ হয়ে আসছিল, তার ব্যথা বোঝবার মত একটি মানুষও এখানে ছিল না, কারণ স্বামী বড়ঘরের ছেলে, তাকে এ-সব কথা বলতে সাহস হত না। বাস্তবিকই ত তার শত ক্রটির ছিদ্র দিয়ে তার অতীতের দারিদ্র্য নগ্ন মূৰ্ত্তিতে অহরহ দেগা দেয়। হয়ত তার অভাব-পীড়িত দীন মনের পরিচয় পেয়ে স্বামীও অবজ্ঞায় নাসিক কুঞ্চিত করবে। কিন্তু যেচে সে অবজ্ঞার পথ করে দিতে ইন্দির . কিছুতেই পারবে না। ওই বাক হাসির বিষ এ বাড়ীর সকলের কাছেই সে পেয়েছে, বাকি আছে একটি মানুষের কাছে, তাকে নিজের হাতে গড়া সিংহাসন থেকে নিজের হাতে নামিয়ে ফেলবার ভয় ইন্দিরাকে মূক করে রেখেছিল। অথচ কাঙালের মেয়ে বলে তাকে সকলে অবজ্ঞা করে বলেই ধে সে শ্বশুরের রাজঐশ্বৰ্য্যটা রাজোচিতভাবে ভোগ করতে সঙ্কুচিত হয় একথাটাও তার জানিয়ে দিতে ইচ্ছা করত। এমনি করে দৈন্ত আর ঐশ্বর্ঘ্যের যুগল লাঞ্ছন সয়ে যখন ইন্দিরার দিন কাটছিল তখন, হরিনাথ এক দিন ভয়ে ভয়ে মেয়ের খোজ নিতে এলেন। ইন্দির