পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা} , , -్క^ বাপের কোলে মুখ রেখে অনেকদিনের জমানো স্থঃখের কা৷ কেঁদে বললে, “বাবা আমাকে এখান থেকে তুমি নিয়ে চল, এখানে আমার প্রাণ হাপিয়ে উঠছে।" হরিনাথ সাহসে বুক বেঁধে অক্ষরে বেয়ানের কাছে আজি পেশ করলেন। ইন্দিরার ননদ সরযুর শ্বশুরবাড়ী. গেলেই ম্যালেরিয়া ধরত, তাই আজ বছর দুইতিন ঃিনি ঘাপের বাড়ীতে আছেন, হরিনাথের অঞ্জি শুনে সবার আগে সরযু বললেন, “অবাকু করলে মা ! ছোটঘরে বিয়ে দিয়ে বাবার মান-সম্বম আর কিছু রইল না। নীহাটির বাবুদের কোন বউ আজ চার পুরুষের ম*্যে কবে বীপের বাড়ী রাত কাটিয়েছে তা ত শুনিনি। আমার জেঠিম, ঠাকুম সেই বিয়ের কনে ঘরে ঢুকেছিলেন, তার পর এ দেউড়ির সীমানার বাহিরে প্রথম শুয়েছেন চিতায় ।” মোহিনীমোহনের দেউড়ির বাহিরে কন্যার জন্য এমন স্বথশয্যার ব্যবস্থা করতে হরিনাথ মোটেই ব্যস্ত ছিলেন না। তিনি উড়ুনির আঁচলে চোখ মুছে বাড়ী ফিরে গেলেন। 举 壽 壽 嶺 তার পর অনেক দিন কেটে গিয়েছিল ; বাইরে ংসারের লোকের চোখে ইন্দিরা নন্দীহাটির বড়বাবুর একমাত্র পুত্রবধুর উপযুক্ত চাল-চলনই রক্ষা করত ; তার দারিত্র্যের অহঙ্কারটা সংসারের হাটে উচু করে ধরে বেড়াবার বয়স তার কেটে গিয়েছিল ; এখন অস্তরেই হয়েছিল সে-সবের স্থান । তার পিতা প্রথম দিন ফিরে যাবার পর আর কোনোদিন এ দেউড়ীতে ঢুকতে সে তাকে নিষেধ করে দিয়েছিল ; এ দেউড়ীর বাইরে প্রথম রাত্রি চিতায় কাটাবার জন্যে সে সম্পূর্ণই প্রস্তুত হয়েছিল। নীহাটির আত্মীয়-কুটুম্বের কাছে তার পিতা-মাতার কোনো পরিচয়ও আজকাল আর সে দিত না, শ্বশুরকুল পিতৃকুল আর স্বামীর মাতুল-কুলের তিন পুরুষের বাইরে কাউকে যে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করতে নাই একথাও সে আর ভুলত না, সকাল বিকাল সন্ধ্যায় এবং অন্নথ্রাশন আর বিবাহ-সভায় কখন যে কোন-রকম বেশভূষা করতে হয় তাও ইন্দিরার কণ্ঠস্থ হয়ে গিয়েছিল ; কোন বাড়ীর মানুষের সামনে কুি ওজনে হাসি ও মিষ্ট AMAAA AAAA AAAA AAAAMM MMS MMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA MMA AMA AMA AMA AMMeMSeA AMMMM MMAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAASAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA S 8e Y ASA SSASAS SAAA AAAAS AAAAA AAAAS AAAAA SAAAAA SAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAASAAA S কথা বিতরণ করতে হয় তার মাপেও আজকাল আর ইন্দিরার ভুলচুক ছিল না ; মোটের উপর বলা যেতে পারে নীহাটির আদর্শ বধূ বলেই আজকাল বাইরের ংসার ইন্দিরাকে জানত। কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার ঝোকে যে-সমস্ত পাঠ ইন্দিরা এতদিন ধরে আয়ত্ত করবার চেষ্টা করেছিল, তা তার পরীক্ষার পাঠই রয়ে গেল, অস্তরে সে তা গ্রহণ কবৃতে পারেনি। দাস দাসীকে আজ পর্য্যস্ত হাতে তুলে সে একটা কিছু দেয়নি বলে গৃহিণীর কাছে তারা অহরহ অমুযোগ করত ; গৃহিণী দুই হাতে তাদের দান করে হাস্যমুখে নীরবে বুঝিয়ে দিতেন “কাঙালের মেয়ে দিতে জানলে ত দেবে ?” বিবাহের ধৌতুক আর মাসিক হা তখরচের টাকা যোগ করলে ইন্দিরার . তহবিলে টাকার কিছু কমতি ছিল না, কিন্তু আজ পর্য্যন্ত তার কড়া-ক্ৰান্তি সবই থাজাঞ্চির খাতায় জমা ছিল ! হাতখরচের টাকা প্রতি মাসে যখন এসে আবার সেই খাতায় যোগ হত তখন মোহিনীমোহনের জানতে বাকী থাকত, না যে এ জমা দেবার অর্থ কি! গৃহিণীর কানেও অবশু কথাটা উঠত। তিনি আশা করেছিলেন বোনেদের বিবাহের সময় ইন্দির এই অর্থে বড়বকম কিছু যৌতুক করবে, কিন্তু ফলে দেখা গেল পিঠোপিঠি দুই বোনের এক মাসের মধ্যেই বিবাহ হওয়া সত্বেও ইন্দিরা মোটে যৌতুকই করল না। বড়ঘরে বিয়ে হয়ে মেয়ে যে কেমন পর হয়ে যেতে পারে হরিনাথ আত্মীয়-বন্ধুকে সৰ্ব্বদ। তাই বলে বেড়াতে লাগলেন এবং মোহিনীমোহন আর তস্য গৃহিণী বিস্মিত হয়ে হাল ছেড়ে দিলেন। বধুর স্বমতির আশায় তাদের জলাঞ্জলি দিতে হল। 举 壽 壽 কিশোরীমোহনেরও পিতার মত যশের আকাঙ্ক ছিল ; কিন্তু পিতা-পুত্রের পথ ছিল ভিন্ন। রায় বাহাদুর পিতা যখন রাজা বাহাদুর হবার চেষ্টায় ব্যাকুল, পুত্র তখন দেশভক্তের সপ্তম স্বর্গের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। পিতাপুত্রের এই ভিন্নমুখী পথ পরস্পরের জানা ছিল, কিন্তু পিতার স্বর্গটাকে পুত্র যে অবজ্ঞার চোখে দেখেন এবং পুত্রের স্বর্গের প্রতি পিতার যে কতখানি বিদ্বেষ তাও,