পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

رنه ع প্রবাসী—জাৰী, ১৩২৯ { ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড সরস্বতী কায়দা-মাফিক কথা বলতে জানৃত না বলে’ ইঞ্জিরা আমানবদনে বললে, “আমাৰ नििनीत्रे এ বাড়ীতে তার চিরকাল বদনাম ছিল। সে বলে বসল, “उवू शनि ना ऽिफ़ि-भाइ 5क्रफ़ि cषरञ्च निन कॉछेउ ! বিষের সঙ্গে খোজ নেই, কুলে পারা চক্র ।” তার গ্রাম্য রসিকতার আজ আর কেউ খুৎ ধরল না, বরং তার এই একটা বিক্রপের খোচায় বনিয়াদী বাড়ীর সমস্ত সভ্যতার আভরণ এক নিমেষে খসে পড়ল। মনের অমার্জিত কোণে যার যত আবর্জন ছিল, একট। উত্তেজনার নেশায় পড়ে সব কখন যে বাইরে বেরিয়ে এল, তা তারা নিজেরাই বুঝতে পারলে না। মামদ বললে, “একেই বলে-তোর শিল তোর নোড়া, ভাঙি তোরই দাতের গোড়া।” ক্ষেমদা বললে, “রোসো আমাদের কিশোরীর ঘুটেকুতুনীর জামাই হবার সখ হয়েছিল তার জের কি অমনি মিটবে ? এখন কপালে আরো কত হা-ঘরের বঁ-পায়ের লাথি আছে তাই দেখ, এই ত সবে কলির আরম্ভ।” ক্রমে স্বর আরো চড়তে লাগল, ইন্দিরার পিতৃপিতামহকে নানা অভদ্র সম্ভাষণের পর যখন নন্দীহাটির অন্তঃপুরিকাদের পোষাকী সভ্যতাটা অকস্মাৎ সচেতন হয়ে উঠল, তখন তারা মুখ সামূলে নিতেই লজ্জা বোধ করছিল। এতক্ষণ তারা যে অসভ্য ও অভদ্র ব্যবহার করেছে সেটা নিজেদের কাছে স্বীকার করতেই তাদের গৰ্ব্বে আঘাত লাগৃছিল। তাই নিজেদের লজ্জা ঢাকৃবার জন্তে তারা অভদ্রতাটাকে অন্যায়ের প্রতিবাদরূপে নিজেদের মনের কাছে খাড়া করে নিয়ে সেই পথেই আরো উৎসাহে এগিয়ে চলল। কিন্তু আসল সমস্যাট যেখানকার সেখানে রইল । মানুষের কথার বিযে মানুষকে যতখানি জর্জরিত করা যায়, ততখানি করে তারা গৃহিণীর দরবারে হাজির হল। সেখানে যে ইন্দিরার ডাক পড়ল তা বলাই বাহুল্য। গৃহিণী বললেন, "কাকে টাকাগুলো দিয়েছ বল। অমন করে লুকিয়ে রাখা কি ভদ্রঘরের বোয়ের উপযুক্ত কাজ ? এখুনি দাসীচাকর-মহলে জানাজানি হয়ে যাবে। ছোটলোকে আমাদের কথায় কথা-বলবে সেই কি ভাল হবে ?” লোককেই দিয়েছি।” সরস্বতী বললেন, “ওই যে সেই চুচমুখে ভাইট কাল ब्रांखिद्र cवल शहे शहै रूरब्र घरब्र हूकश्नि उांटकरे সব ধরে দেওয়া হয়েছে, বুৰুলে না ?” বেদনা-ক্লিষ্ট মুখ যথাসম্ভব শাস্ত করে ইন্দিরা বললে, “না আমার ভাইকে আমি একটা কানা-কড়িও झेिन् ि।” ক্ষেমদা বললেন, “বউ ষাহোক সাফাই জানে! ভাইকে দাওনি, ভেয়ের হাতে বাপকে পাঠিয়েছ বুঝি ?” ইন্দিরা বললে, “আমার বাবা মেয়ের টাকা পা দিয়েও ছোন না।” or কে যেন বললে, “কি নবাব বাদশারে!” সরযু বললে, “তবে তোমার কোন আপনার লোককে দিলে তাই বল না।” শ্লেষ বিদ্রুপে আবার চারিদিক ভরে উঠল । ইন্দিরা বললে, “বলব না।” গৃহিণীর মুখে আর কথা আসছিল না। দাসদাসীর দল সারাক্ষণ দালানে বারাগুয়ে ঘুরছিল। তাদের মুখের ভাব কি চলার গতিতে কৌতুহল ধরা না পড়লেও তারা যে-সব কথা সাগ্রহে সংগ্রহ করছিল গৃহিণীর তা বুঝতে বাকি ছিল না। তিনি রূদ্ধ রোষ অনেক কষ্টে চেপে বললেন, “বেীমা, আজ তুমি একবার বাপের বাড়ী আসতে যাও। অনেকদিন তাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয় নি।” ' ইন্দিরা বললে, “তাই যাচ্ছি।” ইন্দির ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে গেল । পিছনে তার “আপনার লোক” সম্বন্ধে তখনও সরবে বহু মন্তব্য চলছিল। গাড়ী চড়ে ইন্দিরা যখন বাপের বাড়ীর পথে বেরুল, তখন একবারও সে চোখ তুলে চাইতে সাহস করেনি। যে বাড়ীর বউ চিতায় শোবার জাগে কখনও শ্বশুরবাড়ীর বাহিরে যুমোয় না, তার এমন অসময়ে পিতৃদর্শনে যাত্রার অর্থ যে দাস-দাসী আত্মীয়-. কুটুম্ব সবাই কি বুঝেছে তা ভাবতেও ইন্দিরার মাথা কাটা যাচ্ছিল । •% -