পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যl ] যতক্ষণ সে গাড়ীতে ছিল ততক্ষণ চোখ বুজেই সে কাটিয়েছে। নিজের মুখ দেখানোর লঙ্গাটা পরের মুখ না দেখে সে ভুলতে চাইছিল। जहब्रडनौब्र ८गई ७कडनां वाऊँौद्र नब्रछग्नि श्राएँौ त्रिद्वग्न থামূল। বাড়ীর জীর্ণ দেওয়াল আরও জীর্ণ হয়ে গিয়েছে, কেরসিনের টিনে ঘেরা রান্নার বারান্দা কত বর্ষার জল লেগে শতছিন্দ্র হয়ে এসেছে, তার গায়ের মর্চে খসে খসে চারধারে পড়েছে, তারি পাশে তেল হলুদের দাগে ভরা তার মায়ের ময়লা শাড়ীখানা একটা দড়ির উপর শুকোচ্ছিল । পুরোনে দিনের ছবিগুলি ইন্দিরার চোখে ভেসে উঠল ; কিন্তু ভাল করে সেগুলো তখন আর সে দেখতে পারছিল না। , ঘরের মধ্যে ইন্দিরার মা শুধু মেঝেতে শুয়ে পড়েছিলেন, তার পায়ের শব্দে চোখ চেয়ে ইন্দিরাকে দেখে তিনি কেঁদে উঠলেন, “ওরে আমার অল্প কোথা গেল রে!” ইন্দিরার বুকের ভিতর ছম্ ছন্ন করে উঠল। দরজা ধরে সে চুপ করে দাড়িয়ে রইল, কোন কথা জিজ্ঞাসা করতেও তার সাইস হচ্ছিল না। সমস্ত বাড়ীটার শোকাৰ্ত্ত মূৰ্ত্তি তার মনটা আরো অন্ধকার করে তুলেছিল। কান্নার শব্দে তার বাবা এসে দাড়ালেন । ইন্দিরা সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে চোখ তুলে একবার তার মুখের দিকে তাকাল। হরিনাথ বললেন, “আপিসে দু হাজার টাকার গোলমালের জন্তে আজ সকালে অনুপমকে পুলিসে নিয়ে গেল। কাল বাত্রে নাকি তোমার কাছে তার হাজার টাকা পাবার কথা ছিল, তুমি তা দাওনি বলে আজ তাকে জেলে যেতে হচ্ছে—এই কথা সে যাবার সময় বলে গেল । সন্তানের মঙ্গলের জন্তে তাকে চোখে দেখুবার অধিকারটুকুও বিসর্জন দিয়ে বড়ঘরে তাকে বিয়ে দিয়েছিলাম, ভগবান এই তার পুরস্কার দিলেন।” ইঙ্গিরার মাথার ভিতরে সমস্ত গোলমাল হয়ে গেল । একথা ত কাল অনুপম তাকে বলেনি। তবে বুঝি যাবার সময় বার বার এই কথাই সে ইঙ্গিরাকে বলতে চেয়েছিল। সে নিষ্ঠুর, অপমানের ভয় দেখিয়ে তাকে বিদায় করে দিয়েছিল। হায় ভগবান! আৰু কে বিশ্বাস করবে যে তার মান রক্ষার জন্তেই এত বড় বিপদকে সে বরণ করে নিয়েছে ! মানের দায় 8०१ যে পিতা তাকেই আজ সবচেয়ে বড় দোষী ঠিক করেছেন, তারই মান রক্ষার জন্তে যে সে আজ কতদিন ধরে কত রুদ্ধ বেদনা বয়ে বেড়িয়েছে তা কে বিশ্বাস করবে ? কিন্তু আর একজনের মানের কথা যে অনুপম কাল তাকে বলেছিল এর সঙ্গে তার সম্পর্ক কি ? সারারাত ইন্দির ঘরের মধ্যে চুপ করে বসে রইল। বেড়া আগুনের মত দারিদ্র্য আর ঐশ্বধ্য যেন তাকে ছুই দিক দিয়ে ঘিরে ধরেছিল । কোনদিকে তার নিস্তার নেই। সেখানে ছিল দারিদ্র্য তার অপরাধ, এখানে ঐশ্বধ্যই তার অভিশাপ। তার বাপ মা অপরাধিনী কন্যাকে একটা প্রশ্নও করলেন না, কুশলও জিজ্ঞাসা করলেন না । পুত্রের বিচ্ছেদ ও অপমানের ব্যথায় ইন্দিরার স্মৃতি যখন ইন্ধন, তখন তার দিকে কে ফিরে চাইতে পারে ? খোলা দরজার গোড়ায় বসন্ত দিনের ভোরের বাতাসে ইন্দির বসে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছিল । মেঝের উপর অশ্রুসিক্ত মুখে এলোচুলে তার মাও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাহিরের বারানায় হরিনাথও নিদ্রাতুর। সারারাত্রির জাগরণের পর সকালের রোদ ও তাদের ভোরের নিদ্রা ভাঙাতে পারেনি! এমন সময় দরজায় গাড়ীর শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে গেল। কিশোরীমোহন গাড়ীর থেকে লাফিয়ে নেমেই ঘরে এসে ঢুক্ল। ইন্দিরা তাকে দেখে মাথায় কাপড় দিয়ে উঠে দাড়াতেই কিশোরীমোহন মান হাসি হেসে বললে, “বাড়ী চল । এত অভিমান ভাল নয় ।” ইন্দিরা বললে, “চল, যেখানে নিয়ে যাবে যাই, এবাড়ীর কাছে আমি যা অপরাধ করেছি তাতে আমার সকল অপরাধ তুচ্ছ। এখানের চেয়ে বেশী অপমানের ভয় সেখানে আর আমার নেই।” কিশোরী বললে, “কি করেছ তুমি " ইন্দিরা বললে, “আমার দাদার মান বঁাচবে ভেবে আমি তাকে জেলের আসামী করে ছেড়েছি।” কিশোরী বললে, “তার জন্তে আমিই দায়ী। তোমার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে আমিই তাকে পাঠিয়েছিলাম। আমি ভীরু, দেশ উদ্ধারের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেবার প্রতিজ্ঞ করেছিলাম, কিন্তু তুলতে ত