পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতির পাঠশালা সূৰ্য্যের মত পথিবী কিরণ দেয় না কেন ? স্বর্ঘ্য চন্দ্র ও পৃথিবী প্রভৃতি এক-একটি গ্রহ, অনবরত শূন্যে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। অথচ স্থধ্যে এত আলো আছে আর পৃথিবীতে মোটে আলো নাই কেন ? যে জিনিস হইতে গ্ৰহগণ তৈয়ারী হইয়াছে তাহা উত্তপ্ত মেঘরাশি মাত্র। এই যে উত্তপ্ত মেঘ হইতে তৈয়ারী পৃথিবী তাহা এখন এমন ঠাণ্ড হইয়া গেল কিরূপে ? সূৰ্য্যত এখনো ভীষণ গরম। ইহার একটি কারণ এই যে যে-জিনিস যত ছোট তার উত্তাপ তত কম এবং তার উত্তাপ বড় জিনিসের উত্তাপের চেয়ে শীঘ্ৰ চলিয়া যায়। যে কারখানায় কাচ তৈয়ারী হয় সেখানে গিয়া আমরা যদি তিনটি কাচের বল তৈয়ারী করিতে বলি—একটি বড়, একটি অীর-একটু ছোট ও অপরটি খুব ছোট,—তাহ হইলে আমরা দেখিব যে তিনটি বল এক সঙ্গে তৈয়ার হইয়া বাহির হইলেও সৰ্ব্বাপেক্ষ ছোটটিই আগে ঠাণ্ডা হইয়া যাইবে, তার পরে ঠাণ্ড হইবে তার চেয়ে বড়টি ও সব-শেষে ঠাণ্ডা হইবে সকলের চেয়ে বড়টি। এখন স্বর্ষ্যের আকৃতি হইতেছে সব-চেয়ে বড় বলটির মত, তাই তার উত্তাপ এখনো এত তীব্র রহিয়াছে আর তার আলোও এত জলজল করিতেছে। পৃথিবী ঠিক ছোট বলটির মত, তাই এখন তার গা ঠাণ্ডা, অতএব সে আলোও দেয় না। শীতকালে হৃষ্টপুষ্ট বড় জোয়ান লোকের চেয়ে ছোট ছেলেদের গায়ে বেশী গরম কাপড় দিতে হয়। তার কারণ ছোট ছেলের গা বড় লোকদের cछदछ *ौज ॐां७ झहेब्रां यां★ । तन्नैौब्र शांद्र शृङ दछ ठांब्र উৰ্ত্তাপ ততক বেণী ও তত - বেশীক্ষণ থাকে। মোট শরীর হইতে উত্তাপ চলিয়া যাইতে সময় লাগে। সৌর জগৎ সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। চন্দ্র পৃথিবী অপেক্ষা ঠাগু, তার কারণ পৃথিবীর চেয়ে সে ছোট । . বালক সম্পাদক আমেরিকার এক প্রদেশে রিস্কৃফিলড়, পার্ক নামক স্থানে স্কুল ও কলেজের ছাত্র এবং অনেক বয়স্থ লোকদের লইয়া একটি জাতীয় সমিতি আছে। এই সমিতিতে সভ্য আছেন প্রায় চার বা পাঁচ শত । ইহাদের একটি কাগজ আছে, তাহা মাসে দুইবার বাহির হয়। এই কাগজের আগে বে-সব সম্পাদক ছিলেন র্তাহাদের সকলেরই বয়স পচিশের বেশী। এখন এই কাগজের সম্পাদক একটি বালক, তাহার বয়স চোদ্দ বছর, নাম জন্‌মিলটন হিনী। কাগজটির জন্ত লেখা বাছিয়া লওয়া, লেখা দেখিয়া দেওয়া, সমস্ত লেখার নাম ঠিক করিয়া দেওয়া ও সমস্ত ছাপা দেখা প্রভৃতি কাজ জনকে করিতে হয়। সে আবার ছাপাখানার কাজও অনেক শিথিয়াছে এবং নিজের একটি ছাপাখানা করিয়াছে। কাগজটির সম্পাদকীয় বিভাগের সবই জনকে লিখিতে হয়। এত অল্প বয়সে সে জাতীয় সমিতির সহকারী সভাপতি হইয়াছে। বারে বছর বয়স হইতেই কাগজ কি করিয়া চালাইতে হয় তাহা সে শিখিয়াছে। আমাদের দেশে এত অল্পবয়সের এমন বুদ্ধিমান ছেলে আছে কি ? লোকের মাথা ডিঙিয়ে হঁটি ছেলেবেলায় আমরা অনেকেই লম্বা লম্বা গাটওয়ালা বঁাশ লইয়া তাহার গাটে পা দিয়া খটখট হাটিয়া বেড়াইয়াছি । কোন কোন ছেলে বাশের খুব উচু গাটে পা দিয়া অসীম সাহসে ঘূরিয়া বেড়ায়। আমেরিকার নিউইয়র্ক