পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

308 সহজে জামাদের বিস্ময় ও শ্রদ্ধার উদ্রেক করে। তাই আজ ধোঁৰযুগের ভারতবর্ষ যে ভাবে আমাদের কল্পনাকে উদ্বুদ্ধ করে, স্বমূর ভবিষ্যতে বর্তমানের এই ভারতবর্ষও चांभांटनब्र चनांत्रङबश्नैग्नदमब्र कब्रनांरक टैंक ८ङभनहे डां८ब উৎ ত্ব ও অনুপ্রাণিত করিবে বলিয়া আমরা আশা করিতে পারি। তাছা ছাড়া, বর্তমানকে মানুষের মনে ধরে না, ভবিষ্যৎকে সে সন্দেহ করে ভয় করে, একমাত্র অতীতকেই লে ভালো করিয়া ধরিতে পারে বলিয়া তাহাকে সে বিশ্বাস করে এবং অন্তরের মধ্যে সহজেই বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, এইজন্তও শিল্পস্থষ্টির বিষয়বস্তু অনেক শিল্পী অতীত হইতে গ্রঞ্ছা করিয়া থাকেন। কিন্তু এসমস্ত ছাড়াও রোএরিকের শিল্পে অতীতের প্রধান্তের জার-একটি বড় কারণ আছে, তাহা তাহার অতীতের প্রতি আমুরক্তি। শৈশব হইতে রুশিয়ার, বিশেষত উত্তর রুশিয়ার অতীত ইতিহাসকে তিনি ভালবাসেন। তখন হইতেই উত্তর কুশিয়ার, নানা অদ্ভুত বীরত্বের কাহিনী, গুপ্ত-সম্পদের নানা রহস্যময় তথ্য, উপাখ্যান, কিম্বদন্তী তাহার শিশুকল্পনাকে ঐশ্বৰ্য্যশালী করিয়াছে। র্তাহার নিজের শরীরে রাজ-রক্ত প্রবাহিত, তার সেই অভিজাত-বংশীয় পূৰ্ব্বপুরুষদের স্মৃতির গৌরব তাহার শিশুচিত্তকে উদ্বোধিত করিয়াছে। বয়সের সঙ্গে তাহার এই অমুরক্তি বৃদ্ধি পাইয়াই চলে। সমগ্র রুশিয়ার অতীত ইতিহাস পুঙ্খানুপুঙ্খ অধ্যয়ন করিয়াই কেবল তিনি তৃপ্ত হন নাই, স্বয়ং বহু সময় ও উদ্যম ব্যয় করিয়া প্রত্নতত্ত্বের চর্চা করিতে আরম্ভ করেন । দীর্ঘকাল রুশিয়ার পল্লীতে পল্লীতে পৰ্য্যটন করিয়া যেখানে যাকিছু প্রাচীন ঐতিহের নিদর্শন, বাড়ী, গির্জা, দেবায়তন, মঠ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান সব পর্য্যবেক্ষণ করিয়া ফিরিতে থাকেন। বৃদ্ধ, ফকির, সন্ন্যাসী ও কৃষকদের সঙ্গে মিশিয়া তাহাদের সঙ্গে গল্পগুজবে তাহাদের অভাব-বেদনার কথার সঙ্গে সঙ্গে রুশিয়ার গৌরবময় অতীত জীবনেরও পরিচয় গ্রহণ করিতে থাকেন। পরবর্তী জীবনে তাহার প্রবাসী—অাষাঢ়, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড শিল্প-চর্চায় এইসব অভিজ্ঞতা হইতেই তিনি অনুপ্রাণনা লাভ করিয়াছেন। ইতিহাস হার মানিয়া গেলে ফিঙ্গাতীর শরণ লইয়াছেন, তাহাতেও যখন চলে নাই তখন অবলীলায় উপকথা-রূপকথার রাজ্যের দ্বারস্থ হইয়াছেন, डांशंe ®खग्न झलिब्रांब्रहे ७कांख निखात्र छिनिश । এই উত্তর রুশিয়াতে একদিকে রোএরিকের চিত্রের মতোই জীবন ও মৃত্যু যেন পরস্পরের প্রতিবেশী হইয়া বাস করিতেছে, শান্তিপূর্ণ স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্যের সঙ্গে হিমানীস্তব্ধ কালো-কষ্টির বিকটতার যেন পরিণয় ঘটিয়া গিয়াছে। আর-একদিকে ইহার অতীত ভরিয়া পতনঅভু্যদয়ের কত সহস্র বিচিত্ৰত ; এশিয়াবাসী যাযাবর ও তাতার দস্থ্যর কতবার ইহার বুকের উপর দিয়া ঝড়ের মতো বহিয়া গিয়াছে ; দেশবিদেশ হইতে কতবার নূতন নূতন ধৰ্ম্ম-আন্দোলনের স্রোত আসিয়া ইহার এক প্রান্ত হইতে অপর প্রাস্ত প্লাবিত করিয়াছে ; চলোৰ্শ্বি-মুখর সমুদ্রের বুক মথিত করিয়া বীরগৰ্ব্বী ভাইকিংদের বারংবার হান, ভল্কফু নদী বহিয়া স্ফীতপাল মণিখচিত তরবহরের কত বিজয়যাত্রা, স্বপ্নের অগোচর বহুমূল্য উপঢৌকনসহ কত বিদেশবাসী রাজঅতিথির আগমন, কত যুদ্ধ কত সন্ধি, কত বীরত্বের শৌর্য্যের অক্ষয় কীৰ্ত্তি ইহার অতীতের স্তরে স্তরে স্বপ্নের মতো সঞ্চিত হইয়া রহিয়াছে। লিওনিড, এণ্ডেয়েড-বলিতেছেন, “রোএরিক উত্তর কুশিয়ার একমাত্র কবি। উহার রহস্যময় আত্মাটিকে তাহার মতো করিয়া আর কেহই প্রকাশ করিতে পারে নাই, যে আত্মার পরিচয় প্রকাশ পায় উহার ধ্যানগম্ভীর কালে-কষ্টির পাহাড়ে, উহার স্নিগ্ধ স্তিমিত ফলপুপহীন বসন্তে, দীর্ঘ মেরুরাত্ত্বির জাগরণে। ইহা বস্তুতান্ত্রিক শিল্পীদের সেই নিরানন্দ উত্তর রুশিয়া নহে, যেখানে সব আলোর এবং সব জীবনের অবসান। ভগবানের সঙ্গে মামুষের সকলের চেয়ে সত্য সম্বন্ধের বাণীটিই এখানে নিরস্তর ধ্বনিত হইতেছে,— ‘চিরন্তন প্রেম ও চিরন্তন সজঘর্ষ’ ।” ঐ সুধীরকুমার চৌধুরী