পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য। ] সমাজেও কেবল পুরুষের শিক্ষা ও শক্তি বাড়িলেই জাতি ও সমাজ উন্নত, বলিষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠ হইতে পারে না। মহিলাকুলেরও শিক্ষা ও শক্তি বুদ্ধি একান্ত আবশুৰ । স্বথের বিষয় ইহা এখন আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের লোক বুঝিতে আরম্ভ করিয়াছেন এবং তদনুসারে কাজ করিতে কেহ কেহ অগ্রসর হইয়াছেন। "শ্ৰীশ্ৰী সারদেশ্বরী আশ্রম ও হিন্দুবালিক-বিদ্যালয়" এইরূপ একটি চেষ্টার ফল । ইহার একটি বিবরণপত্রী হইতে জানা ধায়, ণে, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের শিষ্য। আবাল্যসন্ন্যাসিনী শ্ৰী গৌরীপুরী দেবী অনূ্যন ত্রিশবৎসর কাল হিমাচলের নিভূত প্রদেশে তপস্যার পর ভারতবর্ষের সর্বত্র পর্য্যটন কালে মাতৃজাতির অবনতি এবং দুরবস্থা স্বচক্ষে দেখিয়া ব্যথিত হন । র্ত{হার গুরুদেবের আদেশে তপোবনের অনাবিল শান্তি ত্যাগ করিয়া প্রায় পচিশ বৎসর হইল তিনি মাতৃজাতির উন্নতিকল্পে এই আশ্রম ও বিদ্যালয়ের • প্রতিষ্ঠা করেন, এবং তদবধি একমনে অক্লান্তভাবে ইহার জন্য পরিশ্রম করিতেছেন । "বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষা ব্যতীত সংস্কৃত ব্যাকরণ, কাব্য, গীত উপনিবং প্রভৃতি এবং হুিদি ও ইংরেজী সাহিত্য শিক্ষা প্রদানের স্বব্যবস্থা আছে। শিল্পচর্চার মধ্যে বৰ্ত্তমানে সেলাইকাৰ্য্য, স্বতাকাটা এবং বয়-বয়নের উপযুক্ত বন্দোবস্ত রহিয়াছে; ক্রমে অন্যান্য গৃহশিল্প শিক্ষার বন্দোবস্তও হইবে। বিশেষভাবে লক্ষ্য করিবার বিষয় | যে স্বশিক্ষিত ব্রহ্মচারিণীগণই বিদ্যালয়ের যাবতীয় কাৰ্য্য স্বচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ করিয়া থাকেন।” চিরকৌমাৰ্য্যব্রতধারিণী জনসেবিকা এবং স্বগৃহিণী, উভয় প্রকার আদর্শ মারীর উপযোগী শিক্ষা এখানে দিবার চেষ্টা করা হয়। ইহার কয়েকটি ছাত্রী সংস্কৃত উপাধি পরীক্ষায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছে। আমরা এই বিদ্যালয়ে নিৰ্ম্মিত তোয়ালে দেখিয়া পীত হইয়াছি। আশ্রম ও বিদ্যালয় সংক্রান্ত কোন বিষয় জানিতে হইলে ৫ বি রাধাকান্ত জিউ ষ্ট্রীট, কলিকাভ, এই ঠিকানায় শ্ৰীশ্ৰী গৌরীপুরী দেবীর নিকট পত্র দ্বারা অথবা সাক্ষাং বিবিধ প্রসঙ্গ-—নারীশিক্ষা-সমিতি ફ૯૧ به عربه کیسه یی یین گیص ایمن করিয়া জানিতে হইবে। উহার সাহায্যার্থ টাকাকড়িও ঐ ঠিকানায় পাঠাইতে হইৰে। সাহায্যের ৰিণুেষ প্রয়োজন । গিরিডি বালিকা-বিদ্যালয় গিরিডি বালিক-বিদ্যালয় সম্বন্ধে অনেক জ্ঞাত্তব্য কথা “মহিলা মজলিস" বিভাগে মুদ্রিত হইয়াছে। গিরিড়ি স্বাস্থ্যকর স্থান। এখানে অপেক্ষাক্কত অল্পব্যয়ে বালিকার প্রবেশিকা পৰ্য্যন্ত শিক্ষণ পাইতে পারে । বাংলাদেশে নারীশিক্ষার এই একটি অন্তরায় আছে, যে, বালিকাদের বয়স একটু বাড়িলেই তাহার। আর স্বচ্ছন্দে খোলা জায়গায় চলাফিরা করিতে পারে না ; তাহাতে তাহদের মস্তিষ্ক চালনার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনমত অঙ্গচালনা না হওয়ায় দৈহিক ক্ষতি হয়। গিরিডিতে এই ব্যাঘাত নাই। তথায় বালিকা ও মহিলারা স্বচ্ছদে সৰ্ব্বত্র যাতায়াত করিতে পারেন ও করিয়া থাকেন ; ইহা তথাকার রীতি হইয়৷ দাড়াইয়াছে । নারীশিক্ষা-সমিতি বাংলাদেশে বালিকা ও মহিলাদের শিক্ষার নিমিত্ত ১৯১৯ খৃষ্টাবের জানুয়ারী মাসে নারীশিক্ষাসমিতি স্থাপিত হয়। বালিকাদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন, এই-সব বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষয়িত্রী প্রস্তুত করা, মাতাদিগকে শিশুপালন ও শিশুশিক্ষা শিখাইবার ব্যবস্থা করা, গৃহশিল্প শিখাইবার বন্দোবস্ত করা, এবং অসহায়া বিধবা ও অন্য নিঃস্ব স্ত্রীলোকদিগকে উপার্জনক্ষম করিবার মত শিক্ষা দিবার জন্য আশ্রম ও শিক্ষালয় স্থাপন, এই সমিতির উদ্দেশ্ব। এপর্য্যন্ত সমিতি দশটি নূতন স্কুল স্থাপন এবং একটি পুরাতন স্কুলকে দঢ়ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। ইহার মধ্যে চারিটি কলিকাতায়, এবং বাকীগুলি চব্বিশ-পরগণা ও হস্থলী জেলায় স্থিত। সাড়ে ছয় শতের উপর ছাত্রী এষ্ট-সব স্কুলে শিক্ষা পাইতেছে। সমিতি কলিকাতার ব্রাহ্ম-বালিকাশিক্ষালয়ে প্রস্থতি ও শিশুর কল্যাণ-সাধন বিষয়ে Cat邻了 ব্যক্তিদের দ্বারা সচিত্র বক্তৃতা দেওয়াইবার বন্দোবস্ত করিয়াছেন। ইতিমধ্যে শ্ৰীযুক্ত চুনীলাল বস্থ, বামনদাস মুখোপাধ্যায়, স্থবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত, নিবারণচন্দ্র মিত্র, ও