পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা :) SAMAM MM MAM AAAA AAAA SAAAAA AAAA SAe AM AM AAAA AAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAASAAA S জানেন, ঐ জেলা কিরূপ গরীব। জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট প্রযুক্ত গুরুসদয় দত্ত লোকদের অর্থাগমের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়াছেন। বাকুড়া জেলায় অনেক হাজার পুকুর ও বাধ আছে । বহু বৎসর পক্ষোদ্ধার না হওয়ায় তস্থার জলকষ্ট নিবারিত হয় না, চাষের স্থবিধা হয় না, মাছও পাওয়া যায় না। যৌথ ঋণগ্রহণ-সমিতি গঠন করিয়া জলাশয়গুলি আবার ব্যবহারের উপযোগী করিবার চেষ্টা হইতেছে। উন্নত আধুনিক প্রণালীতে চামড়া কষ করিবার প্রক্রিয় স্থানীয় মুচিদিগকে দেখান হইতেছে। খেজুর রসের মত তাল গাছের রস হইতে গুড় প্রস্তুত করিবার পরীক্ষা হইতেছে। বাঁকুড়ায় তসরের কাপড় আগে খুব হইত, এখনও হয়। বিষ্ণুপুরে গরদের কাপড় আগে হইত, এখনও হয় । গালা বাকুড়ার একটি প্রধান পণ্যদ্রব্য । এই-সকলের দিকে এবং তুলার চাষের দিকে দত্ত-মহাশয়ের দৃষ্টি পড়িয়াছে। বাকুড়ার কয়েক জায়গায় উৎকৃষ্ট র্কাসার বাসন হয় । সকল জেলায় এইরূপ চেষ্টা হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিপন্ন রুশীয় মনস্বীদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা খবরের কাগজ যাহারা পড়েন, তাহার। সকলেই রুশিয়ার ভীষণ দুর্ভিক্ষের কথা জানেন । বিপন্ন লোকদের ছবিও আমরা মডার্ণ রিভিউ কাগজে ছাপিয়াছিলাম। তথাকার সাধারণ লোকদের অবস্থা ত খুব শোচনীয়ই হইয়াছে ; অধ্যাপক, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, ললিতকলাবিদ প্রভৃতি মানসিক শ্রমী মনস্বীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কারণ, যখন বিপ্লবে রুশিয়ার সম্রাটু লিঙ্কাসনচ্যুত ও নিহত হন, তখন দৈহিক শ্রমজীবীদের জব্র্যাহত প্রভুত্ব স্থাপিত হয় । তাহার মূলধনী এবং মস্তিক্ষজীবী শ্রেণীর লোকদের উচ্ছেদসাধনে রত হয় । তাহার পর যখন দেখা গেল, ধে, দৈহিক শ্রমে সব কাজ হয় না, তখন মস্তিষ্কজীবীদিগকেও অতি সামান্ত মজুরীতে শ্রমজীবী-গবর্ণমেণ্ট নিযুক্ত করিয়াছিল। এখন তাহাদের সেরূপ কাজও গিয়াছে । তাহীদের কেহ কেহ অনাহারে মারা পড়িয়াছেন। কেহ কেহ সামান্ত খাট বিছানা বাসনাদিও বিক্ৰী করিয়া কিছু খাদ্যদ্রব্য সংগ্ৰহ করিয়া বিবিধ প্রসঙ্গ—“মেরে লড়কে কী গিরফতারী” 8S> بیی هاحیه سیخ میمه جا ه - ح - سے rعیے کہا۔ بہ-۔ی سیم ছিলেন ; তাহ নিঃশেষ হওয়ায় অস্থিচৰ্ম্মসার দেহে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করিতেছেন। এইসকল মস্তিষ্কজীবীদের জন্য সাহায্য চাহিয়া পৃথিবীর সর্বত্র আবেদন যাইতেছে । আমাদের দেশে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিকট এই আবেদন অক্সফৰ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রুশীয় অধ্যাপক ছিলোগ্রাডফ পাঠাইয়াছেন । রবীন্দ্রনাথ বিনীত ভাবে এই কাৰ্য্যে নিজের অযোগ্যতা জানাইয়া, তাহা সত্ত্বেও দৈনিক কাগজগুলিতে অধ্যাপক ভিনেীগ্রাডফের চিঠির সাৰাংশ সমেত নিজের আবেদন ছাপাইয়াছেন । র্তাহার নিকট শাস্তিনিকেতন ডাকঘরের ঠিকানায় খিনি ধত অর্থ পাঠাইবেন তিনি তাহার প্রাপ্তি স্বীকার করিয়া যথাস্থানে পাঠাইয়া দিবেন। “মেরে লড়কে কী গিরফতারী” বিদেশী কাপড়ের দোকানের সামনে পাহারা দিয়া ক্রয়েছুদিগকে বুঝাইয়া নিবৃত্ত করিবার চেষ্টার অভিযোগে এলাহাবাদের শ্ৰীযুক্ত জাহিরলাল নেহরুর কারাদণ্ডের সংবাদ অন্য পৃষ্ঠায় দেওয়া হইয়াছে। র্তাহার মাতা শ্ৰীমতী স্বরূপরাণী দেবী এই উপলক্ষে দেশবাসীদিগকে অনুরোধ ও মনোবেদনা জানাইয়া হিন্দীতে যাহা লিখিয়াছেন, তাহা হাজার হাজার খণ্ড মুদ্রিত ও বিতরিত হইতেছে। তাহার শীর্ষদেশে লেখা আছে—“মেরে লড়কে কী গিরফতারী” “আমার পুত্রের গ্রেপ্তারী “ যে-সব কাপড় বিক্রেতা প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিয়া আবার বিদেশী কাপড়বেচিতেছিল, তাহদের এই কুকায্যের জন্যই ত জাহিরলালকে জেলে যাইতে হইয়াছে ! জননী স্বরূপরাণী বলিতেছেন :– "যে-সব ব্যাপারী ভাইদের কাজে আমার ছেলের জেল হইল, র্তাহীদের এখন কৰ্ত্তব্য কি? তাহীদেরই ত প্রতিজ্ঞ পূর্ণ করাইবার জষ্ঠ সে জেলে গেল। আমি আশা করি, প্রত্যেক ব্যাপারী নিজের নিজের পূর্ব-প্রতিজ্ঞার দৃঢ় থাকিবেন, এবং এলাহাবাদের বাজারে আর বিদেশী কাপড় ঢুকিতে দিবেন না। আমার এই ভরসা আছে, যে, এলাহাবাদবাসীরা এখন হইতে কেবল শুদ্ধ খন্দর পরিবেন, এবং যে বিদেশী কাপড়ের জঙ্ক আমাদের ছেলেরা জেলে যাইতেছে, তাছা গৃহ হইতে বাহির করিয়া দিবেন। বিশেষ করিয়া আমার ভগিনীদিগের নিকট প্রার্থনা করি, তাহারা যেন বিদেশী কাপড় স্পর্শ করাও পাপ মনে করেন ।” মাতা স্বরূপরাণী সৰ্ব্বশেষে বলিতেছেন ঃ —