পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§§§ AeA AMAMA AM TA AAAAS AAAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS রাষ্ট্ৰীয় নানা ব্যাপারের জ্ঞান অন্ত সব দেশী সভ্যদের চেয়ে বেশী। তাহাক সভ্য করিলে ভাল হইত। প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্ট-সকলেরও ব্যয়সংক্ষেপ আবণ্ডক এবং তাহ করা অসাধ্য নহে । মোট কথা, বিদেশী দ্বার চালিত গবৰ্ণমেন্টের ব্যয় দেশী শাসনযন্ত্রের ব্যয় অপেক্ষা বেশী হইবেই। অতএব, ব্যয়সংক্ষেপের গোড়ার কথাই এই, যে, ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় কার্ধ ভারতীয়দের দ্বারাই নিৰ্ব্বাহিত হওয়া চাই। নতুবা भजण नाँहै । বঙ্গে অ-বাঙালী ভারতবর্ষের নানা প্রদেশের লোক বাংলাদেশে আসিয়া রোজগার করিয়া খায় ও ধনী হয় ; এখন নাকি গুর্থ ও তিব্বতীরাও অনেকে আসিতেছে। যে পরিশ্রম করিতে পারে, যাহার বিষয়বুদ্ধি আছে, যাহার ব্যবসা ও শিল্পের জ্ঞান আছে, সে ত করিয়া খাইবেই এবং ধনীও হইবেই। অন্তের প্রবৃদ্ধি দেখিয়া হিংসা করা ও তাঁহাদের নিন্দ করা ভাল নয় ; তাহাতে কোন লাভও নাই। কিন্তু বাঙালী ষে নিজের দেশে দরিদ্র, রুগ্ন, জীর্ণ-শীর্ণ ও অমানুষ থাকিতেছে ও হইতেছে, ইহাই দুঃখের বিষয় । সকল শ্রেণীর বাঙালীকেই অবিলাসী, পরিশ্রমী, কষ্টসহিষ্ণু ও উপার্জক হইতে হইবে। বিলাসিত ও আয়ামলোলুপত ছাড়িতে হইবে । মানুষের দৈহিক, মানসিক, নৈতিক, জাধ্যায়িক যত প্রকার উৎকর্ষ সম্ভব, তাতার প্রত্যেকটির দৃষ্টান্ত বাঙালী জাতির মধ্যে পাওয়া যায়। স্বতরাং আমাদের সমুদয় জাতিটিরই যে সৰ্ব্ববিধ উন্নতি হইতে পারে, এরূপ বিশ্বাস অমূলক নহে। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই অপরকে উপদেশ দিব, নিজে কিছু করিব না, এরূপ হইলে চলিলে না । যিনি যে অবস্থারই লোক হউন, তাহাকে নিজের শক্তির ও সময়ের সদ্ব্যবহার করিতে হুইবে । ধিনি গৃহী নহেন, তাহাকে অন্ততঃ নিজের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যয়ের সমান মূল্যের কাজ দেখাইতে হইবে। যিনি গৃহী তিনি ত ধৰ্ম্মতঃ পরিবার প্রতিপালন করিতে, পরিবারস্থ সকলকে স্বস্থ সবল রাখিতে, শিক্ষা দিতে, জ্ঞানে ধর্শ্বে উন্নত করিবার চেষ্টা করিতে বাধ্য। ইহা অর্থব্যয়-সাপেক্ষ । অতএব প্রবাসী—জাধাঢ়, ులిశివి ` SAM AA AM MMMMMMSMAMMMAMSeAMA AMAMAM AAAA AAAA AAAAA [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড ^ * ** *్క ^ తూ: 4ూ ట్కా ల్కో অর্থে পার্জন গৃহীর কর্তব্য। অর্থ উপার্জন না করা গুহীর পক্ষে অধৰ্ম্ম । কোন প্রকারে জন্তুর মত প্রাণধারণের পক্ষে যথেষ্ট জায় হইলেই তাহাকে যথেষ্ট মনে করা উচিত নয় ; কেননা, তাহার দ্বারা সকলের স্বস্থ-সবল থাকার ও জ্ঞান-উপার্জনের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে না। নানা প্রকারে দেশের ও সমাজের হিতসাধন করিতেও আমরা বাধ্য। কিন্তু তাহাও অর্থব্যয়-সাপেক্ষ । “আমৃত্যোঃ প্রিয়মস্বিচ্ছেল্পৈনাং মন্তেত দুর্লভামূ” । “আমরণ ধনসম্পত্তির চেষ্টা করিবে, তাহা দুলভ মনে করিবে না।” “গুায়ুপথে থাকিয়া পরিশ্রম করিবে এবং চিরজীবন আপনাকে ধনোপার্জনের অধিকারী জানিবে। পৃথিবী হইতে দারিদ্র্যদুঃখ দূর করা আনন্দস্বরূপ পরমেশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য জানিবে ।” “খদর পরিধান ও সৎকৰ্ম্মশীলতা” চর্খায় স্থত কাটিয়া হাতের তাতে তাহা হইতে কাপড় বুনিয়া, দেশের বস্ত্রের অভাব মোচন যত করা যায়, ততই মঙ্গল, ইহা আমরা বিশ্বাস করি। যাহাঁদের অধিকতর লাভজনক কোন কাজ নাই, এই উপায়ে তাহাদেৱ আয় হইতে পারে। এই জায় যদি খুব কম হয়, তাহা হইলেও ইহা, ছুর্ভিক্ষে গবর্ণমেণ্ট শ্রমীদিগকে যে মজুরী দেন, তাহ অপেক্ষা কম হইবে না। বৎসরের মধ্যে কয়েক মাস যাহার চাষ আদি কাজ করে, ও বাকী সময় বেকার অবস্থায় আলস্তে কাটায়, চরখায় স্থত কাটিলে তাহাদের কিছু আয় হয় এবং অলিস্ত নিবারিত হয়। চরখায় সুত কাটিয়া হাতের তাতে কাপড় বুনিয়া দেশের বস্ত্রাভাব যত দূর করিব, ততই, যে-টাকা বিদেশী স্বতা ও কাপড় ক্রয়ে ব্যয়িত হইত, তাহা দেশে থাকিবে । অতএব খন্দর প্রচলন দেশের ধনের অপচয় নিবারণের একটি উপায়। ভিক্ষোপজীবী হইলে, পরের গলগ্ৰহ হইলে, নৈতিক অধোগতি হয়, আত্মমৰ্য্যাদা লোপ পায়। আলস্ত স্বয়ং একটা মহৎ দোষ ; তদ্ভিন্ন উহা অন্ত অনেক দোষের জনক। এইহেতু চরখা ও তারে প্রচলন দ্বারা যে পরিমাণে লোকের আলন্ত দূর হইবে, সেই পরিমাণে দেশের নৈতিক উন্নতিও হইবে।