পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8やbア جمعے خلاء জানিতে পারেন। প্রধান পরীক্ষক যে-কোন পরীক্ষার্থীর কাগজ পুনৰ্ব্বার পরীক্ষা করিয়া নম্বর কম বেশী করিতে পারেন। পাটনার নিয়মের কারণ এই সব। এরূপ নিয়ম না থাকিলে পরীক্ষার বিশুদ্ধতা রক্ষিত হয় না। লক্ষেীয়ে নিখিল-ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির বৈঠক অনেক তর্কবিতর্কের পর লক্ষ্মেীয়ে নিখিলভারতীয় কংগ্রেস কমিটি স্থির করিয়াছেন, যে, নিরস্ত্র আইন অমান্ত করিবার সঙ্কল্প এখন স্থগিত থাক্ ; আগে দেখা যাক, দেশ ইহার জন্ত প্রস্তুত কি না, এবং অস্পৃশ্বতা-দূরীকরণ, চরকা ও তাতের প্রচলন প্রভৃতি কাজ কোথায় কতদূর অগ্রসর হইয়াছে, তাহাও দেখা যাক। খিলাফং কন্‌ফারেন্সের কর্তৃপক্ষও এইরূপ স্থির করিয়াছেন। ইহা সমীচীন হইয়াছে। গবর্ণমেণ্ট সব প্রদেশে যেরূপ জোরে নিগ্ৰহনীতি চালাইতেছেন, তাহাতে সাত্বিকভাবে আইনঅমান্ত প্রচেষ্টার আবশ্যকতা ও, গবর্ণমেণ্টের নীতি ও ব্যবহার আমূল পরিবর্তিত না হইলে, প্রচেষ্টাটির কালক্রমে অবশুভাবিত আমরা স্বীকার করি। কিন্তু একটু অপেক্ষ করা দরকার। যাহার বীরত্ব ও উত্তেজনা ভাল বাসেন, তাহারা অপেক্ষা করিতে সম্মত না হইতে পারেন ; কিন্তু আইন অমান্ত করিবার প্রচেষ্টা অারন্ধ হইলে যে আইনসঙ্গত ও বেআইনী নিগ্রহ ও অত্যাচার আরম্ভ হইবে, তাহার প্রতিশোধ না দিয়া সাত্ত্বিকভাবে অক্ষুণ্ণ ও অটল দৃঢ়তার সহিত তাহা সহ করিবার ক্ষমতা জাতির জরিয়াছে কি না, ভাল করিয়া বিবেচনা করা উচিত। এরূপ প্রচেষ্টার জন্ত জাতীয় একতাও খুব দরকার ; নতুবা এক শ্রেণী দল বা সম্প্রদায়কে অন্ত শ্রেণী দল বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহজেই লাগান যাইতে পারিবে। সকল রকমের ভেদ ও ভাগ দূর করা সম্ভবপর নহে; কিন্তু প্রধান প্রধান জনসমষ্টির মধ্যে মনোমালিন্য বিদূরিত হওয়া দরকার। যেমন, হিন্দুসমাজের “অস্পৃশু” ও “অনাচরণীয়" জাতিদের অপমানবোধ ও মনের জালা বিনাশ করা দরকার। অস্পৃশ্বতা ও অনাচরণীয়তা বোধ কিরূপ অবিবেচনা ও প্রবালী—আষাঢ়, ১৩২৯ AMAeMAS AMM AMSASAMAMA MAeMeeMAe eMAeeSAMMSMe AAAA AAAA SAAAAA SAAAA AAAA AAAA SAAAAAe eA MAMAe AeM M MAAA AAAA AAAA AAAA S [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড নিষ্ঠুরতা হইতে জান্ড, তাহ পৃগু ও আচরণীয়ের স্থিরচিত্তে ভাবিলেই বুঝিতে পারিবেন। শ্বেতকায়েরা যে আমাদিগকে ঘৃণা করে, তাহ কেমন মিষ্ট লাগে ? স্বরাজলাভের জন্যই যে অস্পৃশ্বতা দূর করা দরকার, তা নয়। দেশ যদি সম্পূর্ণ স্বাধীন হইত, তাহ হইলেও মনুষ্যত্বের, ন্যায়ের, প্রেমের, ধর্মের মর্য্যাদা রক্ষা করিবার নিমিত্ত অস্পৃশ্বতা দূর করা অবিশ্বক হইত। শ্বেত-অশ্বেতের পরস্পর ভালবাসা বিলাতে "কলিকাতা ভেজে”র বক্তৃতায় লর্ড Catatagpo fontzņR, “Non-go-operation mistook hatred of Britain for love of lndia and acted accordingly." "সহযোগিতা-বর্জকের ব্রিটেনের প্রতি বিদ্বেষকে ভারতের প্রতি প্রেম বলিয়া ভুল করে এবং তদনুসারে কাজ করে।” এবম্বিধ গঞ্ছনা বা তিরস্কার খাইয়া অমনি, “ব্রিটেন, তোমাকে প্রাণের সহিত ভালবাসি,” সত্য বা মিথ্যা এরূপ কথা বলিতে অপমান বোধ হওয়া স্বাভাবিক । একটা কথা ইংরেজদের বুঝা উচিত। ছাগলের বাচ্চাকে যে ব্যক্তি ভোজন করে, সে সম্পূর্ণ সত্যবাদিতার সহিত বলিতে পারে, “হে ছাগশিশু, তোমাকে আমি বডড ভালবাসি”। ছাগলের বাচ্চাও রসিক হইলে সম্পূর্ণ সত্যবাদিতার সহিত স্বীকার করিতে পারে, “ম’রে যাই, বডড ভালবাস” ; কিন্তু সেইরূপ সত্যবাদিতার সহিত সে কখনই বলিতে পারে না, “হে ভোজনার্থী মহাশয়, তোমাকেও আমি বডড ভালবাসি।” কংগ্রেন্সের সভাপতিত্ব আগামী কংগ্রেসে কে সভাপতি হইবেন, তাহার আলোচনা হইতেছে। অালীম্রাতাদের প্রদ্ধেয়া জননীর নাম এই প্রসঙ্গে উল্লিখিত হইয়াছে। তাঁহাকে সভানেত্রী করিলে ভালই হয় । অসহযোগ আন্দোলনের আগেও নারীরা রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় অল্পাধিক পরিমাণে যোগ দিয়াছেন ; কিন্তু অসহযোগ প্রচেষ্ট অধিকসখ্যক নারীকে কাৰ্য্যক্ষেত্রে নামাইয়াছে,