পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] কৃষকেরা দেখিল ধান না বিক্রয় করিয়া চাল বিক্রয় করিলে অধিক লাভ হয় । তাহারা সকলে মিলিয়া সমবায়ু সমিতির অর্থে একটি ধান-কল বসাইল, নিজেদের ধান ভানিয়া লইল এবং উদ্ভূত ধান লাভে বিক্রয় করিল ; তাহাতে নিজেদের ধান ভানার ব্যয় কমিল কিম্বা আরও লাভ হইল । কিন্তু ঐ কলে যে-সমস্ত মজুর দিনু-মজুরী খাটিবে তাহাদের অবস্থা অ ! কলের মজুরদের অপেক্ষা একটুও ভাল না হুইবার কথা। এই কেন্দ্রভূত সমিতির স্বার্থই হইতেছে যত সস্তায় পারা যায় ধান ভানা । অন্যান্য মূলধনের অধিকারীর যে দোষ,-অপরকে বঞ্চিত করিয়া কলের বা ব্যবসায়ের লাভ বাড়ান,—সে লোভ বা প্রচেষ্টার জড় ইহাতে মরিবে না। সমবায়-সমিতি দ্বারা ছোট ছোট কেন্দ্রের ইষ্ট হইতে পারে, কিন্তু সমাজের গোড়ায় ধে অবিচার নিধনকে পিষ্ট করিতেছে তাহার প্রতিকার ইহাতে হইবে না । সমবায়-সমিতি একজাতীয় শ্রমিককে ধনিক করিতে পারে এই পৰ্য্যন্ত । সমবায়ের সঙ্ঘবদ্ধ চেষ্টায় কোনও একদল শ্রমিক ধনী হইলেও অন্ত ধনীর সহিত আর তাহার প্রভেদ থাকে না । দেখা যাইতেছে যে কোনও এক দল চৗষা বা শিল্পীর যদি ধনবান হইবার পথ মুক্ত হয় তাহা হইলেও সমষ্টি হিসাবে সমাজের বিশেষ হিত হইবে না। প্রথমে যে কথা আরম্ভ করা হইয়াছিল যে ক্ষেত-ভরা শস্ত থাকিতেও উৎপাদক চাষার অনাহারে থাকে তাহার প্রতিকার হয় না। ধনী ও নিধন, যাহারা খাটে ও খাটায়, তাহারা সকলেই একই সমাজের অঙ্গ। যদি এই ব্যষ্টির ভিতর পরস্পর প্রেমের সম্পর্ক থাকে তবেই সমষ্টির মঙ্গল । আর যদি একে অপরকে পীড়ন করিয়া সম্পদ সংগ্ৰহ করিবে এই ইচ্ছাই থাকে এবং তাহ কৰ্ম্মে প্রকট হয় তবে সে সমাজের অহিত কিছুতেই ঠেকান ধাইবে না। দেশের জনসাধারণ এখন চরকায় কিছু কিছু রোজগার করিতেছে। নিষ্কৰ্ম্মা কৰ্ম্ম পাইয়া ইহাতে কিছু অতিরিক্ত উপার্জন করিবে । কিন্তু বেশীদিন এই অবস্থা যে স্থায়ী হইবে তাহাই ব৷ কেমন করিয়া বলা যায়। পাটের বেলায় পাটের চাষীর অবস্থ যাহা হইন্সছিল, চরকার স্বতা কাপড়ের বেলায় তাহাই যে আংশিকভূবে হুইবে না, তাহা বলা যায় না । ভোগের অনাচার AMAMAMAMAMAeeAMAMMAMAeAMMMMMMAMAMAMAMAMMMMAAA SAA AAAA AAAMAMMAeeeAMAAAA 8Գծ جایی که تعبیمعهحاتمی تحصیه حبیبیح صحیحجه বস্তুত: কোনও অর্থনৈতিক নিয়মে উহ ন হইবার পথ নির্দেশ করে না। দেশের অন্তর্বাণিজ্য ণ্ড বহির্বাণিজ্য র্যাহাদের হাতে, সমাজের আর্থিক ব্যবস্থার চাবিটিও র্তাহাদের হাতে । তাহার যতই আর্থিক অসমত স্থষ্টি করিতে থাকিবেন ততই দেশের অহিত হইবে, বুভুকুর সংখ্যা বাড়িতে থাকিবে । সমাজের এক অংশের পক্ষে শত চেষ্টাতেও মানুষের মত বাস করা অসম্ভব হইবে । অবশ্য ইহা বরাবর চলিতে পারে না । ভৈরব একদিন ডমরুর তালে তাণ্ডব নৃত্যে মাতিয় উঠেন, অত্যাচারে অবিচারে জর্জরিত সমাজ বিধ্বস্ত হইয়া ধ্বংস হইয়া শিবের মঙ্গলাশীৰ্ব্বাদ লইয়া নূতন করিয়া জন্মগ্রহণ করে। মহাকালের এই লীলা পৃথিবীর বুকের উপর কতবার প্ৰলয়-নৃত্যে অভিনীত হইয়াছে। ● সমাজের ভিতর যে এতবড় একট। অবিচার চলিতেছে, তাহার জন্য কেবল মাত্র ধনী ও ব্যবসাদার সম্প্রদায়ই দায়ী অার সাধারণ শিল্পী ও কৃষক মেষের মত শান্ত ও নিরপরাধ এমন কথা আমি মোটেই বলিতেছি না। অত্যাচরিত্ত স্বযোগ-মত অত্যাচারীর উপর অত্যাচার করিতেছে । একই অবিচার-অত্যাচারের শৃঙ্খল সমাজ-শীর্ষ হইতে আরম্ভ হইয়া নিম্ন স্তর পর্য্যন্ত পহুছিয়াছে । কিছুকাল হইতে ভারতবর্ষ আপন সভ্যতা ও শিক্ষা ত্যাগ করিয়া পশ্চিমের ন্যায় আপাতস্বখের অভিলাষী হইয়া পড়িয়াছে । ھجیححمیھخم ےھ “শ্রেয়শ্চ প্রেয়শ্চ মনুষ্যমেতস তেী সম্পরীত্য বিবিনক্তি ধীর । শ্ৰেয়ো হি ধীরোহভি প্রেয়সে বুণীতে প্রেয়ো মন্দে যোগক্ষেমাদ বৃণীতে।” “শ্রেয় ও প্রেয় মনুষ্যকে আশ্রয় গ্রহণ করে। জ্ঞানী ব্যক্তি ইহাদের বিষয় সম্যক আলোচনা করিয়া ইহুদিগকে পৃথক বলিয়। জানেন । জ্ঞানী ব্যক্তি প্রেয় অপেক্ষ উত্তম বলিয়া শ্রেয়কে গ্রহণ করেন, আর অল্পবুদ্ধি ব্যক্তি যোগক্ষেম অর্থাৎ অপ্রাপ্ত বস্তুর প্রাপ্তি ও প্রাপ্ত বস্তুর রক্ষণ অভিলাষে প্রেয়কে গ্রহণ করে ।”—(কঠোপনিষং ১২২ ) । আমাদের দেশ পশ্চিমের ক্ষমতাদুপ্ত রূপের মোহে অভিভূত হইয়া শ্রেয়কে ত্যাগ করিয়া প্রেয়ের পশ্চাৎ গমন করিতেছে । কেৰল কেমন করিয়া ভোগ করিব ইহাই সমাজের সুরা