পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્શ ન૬શrt ] جههایی * রমল৷ 8b-& কাজী সাহেব যোগেশ-বাবুকে জেবুন্নেসার পদ্য পড়িয়া দেখা পেলেন না বুঝি ? কিছু খাবেন ? একখান কাট্‌লেট শোনাইতেছিলেন= গবচে মন লায়লি হস্তম্ णि हुँ भख्श् भन्न श्७यांख् । সর ব-সহ রা মী-জনম লেকিন হায়া-ই-জেঞ্জির পান্ত । অর্থাং, প্রেমিক লায়লি যেমন প্রিয়তম মজলুর জন্ত পাগলিনী হইয়া মরুপ্রান্তরে ছুটিয় বেড়াইতেছিল আমার ইচ্ছা হয় আমিও তেন্নি করিয়া ছুটিয়া বেড়াই ; কিন্তু আমার পা যে সরমসম্বমের শৃঙ্খলে বাধা ! ড্রয়িংক্রম পার হইয়া যতীন পশ্চিমদিকের বারান্দায় আসিল। অদূরে ইউক্যালিপূটাসের গাছগুলির র্যাক দিয়া মাধবীর শাড়ীটা একটুখানি দেখা যাইতেছে। ঘুরিতে ঘুরিতে দক্ষিণদিকের বারান্দায় একেবারে রান্নাঘরের সম্মুখে আসিয়া যতীন বড় অপ্রস্তুতে পড়িয়া গেল। মনিয়া রান্নাঘরের দ্বারে দাড়াইয়াছিল। সে এক সেলাম করিল। ঘরের ভিতর রমলা রান্নার শব্দের সহিত তাহার কণ্ঠ মিশাইয়া চারিদিক গীতমুখর করিয়া তুলিয়াছিল। সেই কলগানে যতীনের বুক দুলিয়া উঠিল, সে-স্তব্ধ হইয়া দ্বারের কাছে দাড়াইয়া রমলার জাপানী ফ্যাসানে বাধা খোপার দিকে চাহিয়া রহিল। মনিয়া দুষ্টামির হাসি হাসিয়া ভাকিল,—দিদিমণি ! “কি,” বলিয়া প্যানটা উনানের উপর হইতে তুলিয়া ফিরিয়া চাহিয়া রমলা দেখিল, যতীন দ্বারে দাড়াইয়া । কালো চোখে হাসির বিদ্যুৎ ঠিক্রাইয়া রমলা বলিল,— এই যে, আমুন। যতীনের রৌদ্রদগ্ধ শক্ত মুখ তরুণীর গণ্ডের মত রাঙা হুইয়া উঠিল। রমলা একটি দেশী শাড়ী পরিয়াছিল, জুইকুলের মত সাদা কাপড়ের উপর লালপাড় রক্তের ধারার মত, দীর্ঘ আঁচল কোমরে জড়ানো, গেরুয়া ংএর ব্লাউজে উনানের আভা আসিয়া জলিতেছে, স্বপ্নভরা মুখ, রহস্যম্ভর কালে চোখ-সেই তরুণী মূৰ্ত্তির সন্মুখে যতীনু সত্যই হতবাক হইয়া গেল। to ८जांनां ब्र ख्रिब्र ੋੜ দিয়া রমনা বলিল,—বন্ধুর গরম গরম ? @ যতীন ধীরে বলিল, - না, আপনার সঙ্গে একটা কথা আছে । রহস্তের স্বরে রমলা বলিল,—কথা ? কি কথা ? যতীনের মুখের দিকে চাহিয়া কিছু বুঝিতে পারিল না, প্যানটা টেবিলে রাখিয়া বলিল,—আচ্ছ একটু দাড়ান, এই প্লেটটা ধুয়ে নি, আলুগুলো কুটে নি, মাংসটা চড়িয়ে দি— যতীন বিনীতস্বরে বলিল,—একা হলে ভাল হয়। ঠোট মুচুকাইয়৷ হাসিয়া রমলা বলিল,-বেশ, এই মনিয়া, আমার ঘরে টেবিলের উপর একখানা চিঠি আছে, এক্ষুনি ফেলে দিয়ে আয়। আর খানসাম, তোমার আর ত কোন কাজ নেই, বাজার যাও ত, একসের ভাল চাল নিয়ে আসূবে পোলাওর জন্য, আজ রাতে হবে, যত শীগগীর পার এসো—যাও— মনিয়া ও খানসামা চলিয়া গেলে, উনানে চাপানে ভাতের ইঁাড়ি হইতে একহাত ভাত তুলিয়া এক প্লেটে ফেলিয়া ভাতগুলি হাত দিয়া টিপিতে টিপিতে রমল হাসিভর স্বরে বলিল,—তারপর কি বলছিলেন ? “বলছিলুম,—” বলিয়া যতীন থামিয়া গেল, তাহার চোখমুখ রাঙা হইয়া উঠিল । দুষ্টামি ভরা চোখে তাহার দিকে চাহিয়া রমলা বলিল, —কি ? যতীনের মুখে কথা বাহির হইতে চাহিল না, সে চুপ করিয়া দাড়াইয়া টেবিল হইতে এক চামচ লইয়া প্লেটে টুং টুং শব্দ করিতে লাগিল । রমলা যতীনের দিকে একথান চেয়ার অগাইয়া দিয়া বলিল,—বন্ধন না, কষ্ট হচ্ছে, টুপিট খুলে ফেলুন, যা গরম রান্নাঘরে—কি, এক পেয়াল চা তৈরী করে দেব ? টুপিটা খুলিয়া টেবিলের উপর একটা চিনিভর পিরিচের ওপর রাখিয়া যতীন কোনরূপে বলিল,—না, থ্যাঙ্কস, দেখুন আপনাকে সে কথা ঠিক বলতে পারছি না, কিন্তু কিছু যদি মনে না করেন— হাড়ির মুখে সর চাপা দিয়া রমলা বলিল,—বলতে না পারেন, লিখে আনলেই পারতেন—মনে আবার করব কি ।